× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
This time Shabi is up in arms demanding the resignation of the VC
google_news print-icon

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

এবার-ভিসির-পদত্যাগ-দাবিতে-উত্তাল-শাবি
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
রোববার রাত ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল। এতে পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

পুলিশের হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ভাইস-চ্যান্সেলরের (ভিসি) নির্দেশেই পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে।

রোববার রাত ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। এতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এর আগে রাত ৮টার দিকে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন ভিসি। সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

তিন দফা দাবিতে রোববার বিকালে আন্দোলনকারীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ করলে সন্ধ্যায় অ্যাকশনে যায় পুলিশ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুলিশ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে একদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ ভিসির নির্দেশেই পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে।

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

এই বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার নির্দেশনা আসে। এমন নির্দেশনার পরপরই বিক্ষোভ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় তারা ‘পরীক্ষা কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হল কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শাহপরান হল ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের কিছু আবাসিক শিক্ষার্থীও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান।

রাত ৯টার পর বিক্ষোভকারীরা প্রধান ফটক ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও এসে যোগ দেন এই বিক্ষোভে। তারা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

রাত ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সায়েম আহমদ বলেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশেই আজ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আচমকা হল ছাড়ার নির্দেশে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এমনিতেই করোনার কারণে শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত, তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমরা এসব অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মানি না।’

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

শিক্ষার্থী মেহরাব হােসেন কায়েস বলেন, ‘আজকের ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অযোগ্য। যিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশনা দিতে পারেন, তিনি কোনোভাবেই উপাচার্য পদে থাকতে পারেন না। আমরা তার পদত্যাগ চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ‘‘উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরাই সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সবাইকে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে।’

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলনে নামে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের ছাত্রীরা। রোববার আন্দোলনের চতুর্থ দিনে এসে তা সহিংস রূপ নেয়।

উপচার্যকে ধাওয়া ও অবরুদ্ধ, আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার পর পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এর জের ধরে রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেন ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

যার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেন সিরাজুন্নেসা হলের সেই প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন বলেও জানান উপাচার্য। তার স্থলে বিশ্বদ্যিালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীকে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ

শাবি ছাত্রীদের আন্দোলনের তৃতীয় দিনে শনিবার সন্ধ্যায় হামলার অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারী ছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। যদিও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এই হামলার প্রতিবাদ ও তিন দফা দাবি আদায়ে রোববার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসের গোল চত্বর ও প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। কিছু ছাত্রও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

দুপুরের দিকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন ভিসি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রক্টর আলমগীর কবীরসহ কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

শিক্ষকরা জানান, উপাচার্য তাদের সব দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। তবে এ জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন তিনি।

তবে ছাত্রীরা এমন আশ্বাস না মেনে স্লোগান শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর তারা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন।

অবরুদ্ধ উপাচার্য

ছাত্রীরা যখন মিছিল করছিলেন তখন বাসভবনে যাওয়ার জন্য নিজ কার্যালয় থেকে বের হন ভিসি। তিনি বের হয়ে যাচ্ছেন এমন খবর আন্দোলনকারীদের কাছে পৌঁছার পর তারা সেখানে ছুটে যান। আন্দোলনকারীদের কয়েকজন উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভিসিকে ঘিরে ধরে ড. ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের ভেতরে নিয়ে যান।

শিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা ভিসিকে ধাওয়া করলে তিনি আইআইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন।

তবে ছাত্রীদের দাবি, ধাওয়া নয় বরং ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু উপাচার্য তাদের কথা না শুনে দৌড়ে আইআইসিটি ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

ভিসি আইআইসিটি ভবনের ভেতরে প্রবেশের পর ওই ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেলা ৩টার দিকে তারা ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ভিসি। শিক্ষার্থীরা ওই ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনস্থলে পুলিশের অবস্থান, উত্তেজনা

বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলে যায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য আইআইসিটি ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলা এড়াতে এ সময় আন্দোলনকারীরা হাতে ফুল নিয়ে পুলিশকে স্বাগত জানায়।
দীর্ঘক্ষণ পুলিশ নীরব অবস্থানেই ছিল।

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ

শিক্ষকরা আলোচনার মাধ্যমে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ভিসিকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হলে অ্যাকশনে নামে পুলিশ। সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে এগিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষে ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। পরে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পুলিশের লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক পিছু হটলেও পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ পর্যায়ে পিছু হটে পুলিশ। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এ সময় ক্যাম্পাসজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তখন গুলির ঘটনাও ঘটে।

গুলিতে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহর আলী শেখসহ ১০ পুলিশ সদস্যও আহত হন। আহত হন শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্তত ৫০ জন। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন।

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

সংঘর্ষ চলাকালে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও লাঠিপেটা করে পুলিশ। তাদেরও কয়েকজন আহত হন।

আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার পর ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে নিজ বাসভবনে নিয়ে যান পুলিশ ও শিক্ষকরা।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহর আলী শেখ বলেন, ‘আমরা হামলা করিনি। আমরা উপাচার্যকে মুক্ত করে আনতে গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরাই আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

‘সংঘাত থামাতে পুলিশ ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।’

এই অবস্থার জন্য শিক্ষার্থীদেরই দায়ী করেছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ধাওয়া করে অবরুদ্ধ করার মাধ্যমে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তারা শান্তিপূর্ণ আলোচনার সব প্রস্তাব নাকচ করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

সংঘর্ষের পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে ক্যাম্পাসে নিজ বাসভবনে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকেন উপাচার্য।

সিন্ডিকেট বৈঠক শেষে রাত ৮টার দিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য।

এবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাবি

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল সেই প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন। তার পরিবর্তে বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা হলেও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম চলবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় আমরা বিপাকে পড়েছি। হুট করে ১২টার মধ্যে কোথায় যাব? করোনার কারণে এমনিতেই আমাদের শিক্ষাজীবন সংকটে। এখন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে আরও সমস্যায় পড়ব।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ সামিউল ইসলাম জানান, এটা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত; তাদের কিছু করার নেই।

সিদ্ধান্ত না মেনে কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
শাবিতে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি-জাবিতে বিক্ষোভ
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ‘ভিসির নির্দেশে’
পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে শাবি রণক্ষেত্র, শিক্ষক গুলিবিদ্ধ
ধাওয়ার পর উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলেন শাবি ছাত্রীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Mango pulp is falling in flames

দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি

দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে নওগাঁয়। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়ার পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব, তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আম চাষিদের মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আশড়ন্ড গ্রামের আম চাষি রবিউল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছে না সুফল।

শুধু রবিউল নয়, নওগাঁর সব আম বাগানগুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা।

আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আম চাষিরা জানান, টানা দুই সপ্তাহ ধরে গরম ও তাপপ্রবাহে কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। তাই চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

এমন অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বাড়তি যত্ন নিলে গুটি পড়া রোধ অনেকটাই সম্ভব।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর নওগাঁয় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার আশানুরূপভাবে আমের দেখা নেই। আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে রোদের তীব্রতায়।

চাষিরা জানান, খরা দীর্ঘস্থায়ী হতে থাকলে গুটিও ঝরতে থাকবে।

বৈশাখের শুরু থেকে তাপদাহে পুড়ছে নওগাঁ। শনিবার বেলা ১১টায় নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ উঠে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানায় জেলার বদলগাছী স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

আম চাষি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘১২ বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে আমার। এবার সব গাছে মুকুল কম এসেছিল। যেটুকু ছিল, তা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে তীব্র গরমে অধিকাংশ গাছের গুটি ঝরে গেছে। অনেক গাছ গুটিশূন্য হয়ে আছে। এতে উৎপাদন অনেক কম হবে বলে ধারণা করছি।’

পোরশা উপজেলার আম চাষি মোজাম্মেল ইসলাম বলেন, ‘এবার ৩০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গাছে গুটি কম থাকায় হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। গত বছর প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার অনেক কম পাব। অধিকাংশ গুটি ঝরে গেছে। ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছি।’

নিয়ামতপুর উপজেলার আম চাষি বিজন ঘোষ বলেন, ‘এবার ১৫ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছি। গুটি পড়া রোধে পানি, ওষুধ দেয়ার পরও তীব্র গরম আর রোদের কারণে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখি ঝড় হলে আম নষ্ট হতে পারে মারাত্মকভাবে।’

সাপাহার উপজেলার স্থানীয় বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, ‘এ এলাকা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকা। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ, কোনো বৃষ্টি নেই। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে।

‘যে সব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সে সব বাগানগুলোতে সেচ দেয়া হচ্ছে। আর যে সব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই, সে সব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে।’

এমন অবস্থায় তিনি সরকারের কাছে বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তার দাবি জানান।

এ বিষয়ে নিয়ে কথা হলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে, তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে।

‘আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়ার পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব, তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আম চাষিদের মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ
দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত
আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে দাবদাহ
কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A mother and two children died due to a broken electric wire

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল মা দুই সন্তানের

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল মা দুই সন্তানের বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারানো নারী ও তার দুই শিশু সন্তান। ছবি: নিউজবাংলা
পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশু সন্তানসহ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

প্রাণ হারানো তিনজন হলো উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ঢালমারা গ্রামের রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সনিয়া বেগম (২৫), তার ৯ বছর বয়সী ছেলে সালমান ও ১২ বছরের মেয়ে রেজবীনা।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মা ও তার দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পানির মধ্যে পড়ে রয়েছে। পাশে লেবু গাছ রয়েছে।

‘প্রথমে শিশু ছেলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। তাকে রক্ষা করতে মা ও বোন গিয়ে তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।’

ইউএনও জানান, ঘটনাস্থলে তিনিসহ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম রয়েছেন। তারা ঘটনার তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় দায়িত্বের অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিয়ামতি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা কামাল হাওলাদারের স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, বাড়ির পাশে বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ডোবায় পড়ে ছিল। দুই ভাই-বোন লেবু ছিঁড়ে খেলছিল। ওই সময় লেবু ডোবায় পড়ে যায়। ওই লেবু আনতে ছেলে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তখন মেয়ের চিৎকারে মা এসে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তখন মাকে ধরে মেয়েও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

তার কীভাবে ছিঁড়ে পড়ে ছিল, তা কেউ জানাতে পারেনি জানিয়ে মমতাজ বেগম বলেন, ‘বিদ্যুতের লোকদের বলা হয়েছিল বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া তার যেকোনো সময় ছিঁড়ে পড়তে পারে, কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।’

পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে বিষয়টি বলতে পারব না।’

আরও পড়ুন:
সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
এসির সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
ববি ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই: ইনান
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছয়জনের মৃত্যু: পবিসের তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত
ঈদের আগে-পরে ১৯ দিনের ছুটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed in Mymensingh autorickshaw hit by bus

ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২ দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা। ছবি: নিউজবাংলা
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলার তারাকান্দা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর এলাকা পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।’

ময়মনসিংহ সদরে বাসের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

উপজেলার আলালপুর এলাকা শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদরের আলালপুর এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলার তারাকান্দা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর এলাকা পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।’

তিনি জানান, এ সময় আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি মাঈন উদ্দিন।

আরও পড়ুন:
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chairman Tapan and member Ajith announced the award
ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা

চেয়ারম্যান তপন ও মেম্বার অজিতকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা

চেয়ারম্যান তপন ও মেম্বার অজিতকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা ফরিদপুরের ডিসির সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুখালীর ঘটনা পরবর্তী বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ফরিদপুরের ডিসি কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও মেম্বার এখন পলাতক। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে। বিমানবন্দর ও সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যাতে তারা দেশত্যাগ করতে না পারে।’

ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বারের সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুখালীর ঘটনা পরবর্তী সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিসি কামরুল আহসান তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ওয়ার্ড মেম্বার অজিত কুমার সরকারকে ধরিয়ে দিতে পারলে বা তাদের ধরতে কোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।

ডিসি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও মেম্বার এখন পলাতক। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে। বিমানবন্দর ও সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যাতে তারা দেশত্যাগ করতে না পারে।

‘এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে যেকোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদের পুরস্কৃত করা হবে।’

গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহের জেরে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচ শ্রমিক।

পিটুনিতে হতাহতের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়। এরই মধ্যে তিন মামলায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত
ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
মাথায় গুলি করে ইউএনও’র দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’
কক্সবাজারে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, দুই ছেলে পলাতক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tourists arrived at the beach and were declared dead at the hospital

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা অসুস্থ পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ছবি: নিউজবাংলা
ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঢলে পড়া এক পর্যটককে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান সাগরে গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি।

প্রাণ হারানো মতিউর রহমানের (৪০) বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।

ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

তিনি জানান, লাইফ গার্ড কর্মীরা ঘটনাটি দেখে তাৎক্ষণিক ওই পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, ‘সকাল ৯টার পরপরই সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা এক পর্যটককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন, কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।’

আরএমও বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে নাকি অন্য কোনো কারণে ওই পর্যটক মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মতিউরের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান এ চিকিৎসক।

আরও পড়ুন:
উখিয়া সীমান্তে অনুপ্রবেশ চেষ্টাকারীর গ্রেনেডে আহত যুবকের মৃত্যু
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা
সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চকরিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক বিতরণ সাবেক এমপি জাফরের
বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের দুই পয়েন্টের নাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three van passengers killed by truck in Bagerhat

বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত

বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত বাগেরহাটে শনিবার সকালে ট্রাকের চাপায় তিনজন ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার জানান, সকালে মোংলাগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

বাগেরহাটের খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো তিনজন হলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝননিয়া গ্রামের সাঈদ মোড়ল (৪৫), একই গ্রামের মো. আজাদ (৩৫) ও কুমরাই গাববুনিয়া গ্রামের মো. মনি (৪৫)।

এ ঘটনায় ট্রাকটির চালক যশোরের চৌগাছার চানাদা-আফরা গ্রামের বাসিন্দা গাজি সাফায়েত হোসেনকে (১৮) আটক ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মোংলাগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সাঈদ মোড়লের মরদেহসহ আহত দুইজনকে ট্রাকের চাকার নিচ থেকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়।

খুলনা-মোংলা জাতীয় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
15 were injured in the attack due to filing a case of assault

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫ আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছবি: নিউজবাংলা
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করায় ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় ‘হাতবোমার’ আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কানাইপুরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় দক্ষিণ কানাইপুরের প্রয়াত মালেক সরদারের ছেলে দুবাই প্রবাসী রিপন সরদার বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ একই এলাকার আনসার হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার লোকজন নিয়ে রিপনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে গত ২৩ এপ্রিল রিপন সরদারের স্ত্রী রুনিয়া বেগম বাদী হয়ে কালকিনি থানায় ২২ জনের নামে একটি মামলা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য, এরই জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় রিপনের চাচাত ভাই ও আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীদ পারভেজের সমর্থক জামাল সরদার স্থানীয় বাজারে যান। মাঝপথে সাবেক চেয়ারম্যান মিলন সরদারের কর্মী মহসিন লোকজন নিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় একাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি
ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ কর্মকর্তা দুর্নীতির মামলায় রিমান্ডে
সিংড়া উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ
‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত

মন্তব্য

p
উপরে