× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Iqbal arrested from Coxs Bazar
google_news print-icon

মণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার

ইকবাল
মণ্ডপে কোরআন রাখায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালের ফাইল ছবি (বাঁয়ে), কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি (মাঝে), এরপর গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে (ডানে)। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশ কিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়। ইকবাল হোসেন পরিকল্পিতভাবে মণ্ডপে কোরআন রাখেন বলে তদন্ত বেরিয়ে এসেছে।

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবালই কুমিল্লার ইকবাল।’

এর আগে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কক্সবাজার শহর থেকে ইকবাল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। সেই কুমিল্লার ঘটনায় জড়িত ইকবাল কি না তা কুমিল্লা পুলিশ যাচাই করে কনফার্ম করবে। তাকে কুমিল্লায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মোটামুটি নিশ্চিত সঠিক ব্যক্তিকেই ধরেছি। তাকে কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজ নাম ইকবাল বলে জানিয়েছেন। কুমিল্লা থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

অন্যদিকে কুমিল্লার এসপি ফারুক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইকবালকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হচ্ছে। তাকে কুমিল্লায় আনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম কক্সবাজার রওনা হয়েছে।’

মণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ এলাকায় ইকবালের তোলা ছবি

কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা ইকবালের ছবি সংগ্রহ করে কুমিল্লায় তার মা আমেনা বেগমকে দেখিয়েছেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক।

আমেনা বেগমও নিশ্চিত করেন, ছবিটি তার ছেলে ইকবাল হোসেনের।

দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।

মণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর চলে ভাঙচুর

ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশ কিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।

যেখান থেকে সাম্প্রদায়িক এই সহিংসতার শুরু, সেই নানুয়ার দিঘির পাড়ের মণ্ডপে কীভাবে উত্তেজনার শুরু এবং মূল মণ্ডপের বাইরে পূজার থিম হিসেবে রাখা হনুমানের মূর্তির ওপর পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো, সে বিষয়ে মঙ্গলবার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজবাংলা।

পূজার আয়োজক, এলাকাবাসী, তদন্তকারী কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার আগের রাত আড়াইটা পর্যন্ত মন্দিরে পূজাসংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি ছিল। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুজন নারী ভক্ত মণ্ডপে এসে হনুমানের মূর্তিতে প্রথম কোরআন শরিফটি দেখতে পান।

পরে বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি কোরআন শরিফটি রেখে যান মণ্ডপে। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেন তিনি। গদা হাতে তার চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে ওই এলাকারই কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়।

মণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার পর হনুমানের গদা হাতে হেঁটে যাওয়া ইকবাল

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসে মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা যুবকের নাম ইকবাল হোসেন। ৩০ বছর বয়সী ইকবাল কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে। নূর আলম পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।

তদন্তসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, মণ্ডপে কোরআন রাখায় যে চক্রটি জড়িত, ইকবাল তাদের একজন। তিনি কোরআন রাখার পর ভোরে আরেক অভিযুক্ত ইকরাম হোসেন (৩০) ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯-এ কল করেন।

ইকবালের সহযোগী সন্দেহে ইকরামসহ অন্তত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কুমিল্লা নগরীর শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারের সহকারী খাদেম হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদও রয়েছেন। এই মাজারের মসজিদ থেকেই কোরআন নিয়ে মণ্ডপে রাখেন ইকবাল।

মণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মাজারের মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে রওনা হন মণ্ডপের দিকে

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের যে অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়, সেখানে শুরুতে প্রবেশে ব্যর্থ হয়েছিলেন প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন। এরপর তিনি গিয়েছিলেন ওই মণ্ডপ থেকে কিছুটা দূরে দিগম্বরীতলার গুপ্ত জগন্নাথ মন্দিরে।

মণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
এই মন্দিরের তালা ভাঙতে ব্যর্থ হন ইকবাল

আরও পড়ুন: কোরআন রাখতে আরেকটি মন্দিরেও গিয়েছিলেন ইকবাল

মন্দিরটির গেটের তালা লাঠি দিয়ে ভাঙতে ব্যর্থ হন ইকবাল। এরপর আবার ফিরে আসেন নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে। এ সময় পূজাসংশ্লিষ্টদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তিনি কোরআন শরিফটি হনুমানের ওপর রাখেন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর কোরআন রেখে হনুমানের গদা হাতে ফিরে আসেন ইকবাল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইকবাল গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন:
চাঁদপুরে সহিংসতা: আদালতে জামায়াত নেতার স্বীকারোক্তি
মণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কোরআন রাখতে আরেকটি মন্দিরেও গিয়েছিলেন ইকবাল
চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলা: গ্রেপ্তার আরও ৯
উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় বক্তা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
5 marriages of security guards in police identity

পুলিশ পরিচয়ে ৫ বিয়ে নিরাপত্তা প্রহরীর

পুলিশ পরিচয়ে ৫ বিয়ে নিরাপত্তা প্রহরীর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর কাঠালতলা এলাকা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন শাকিল। ছবি: নিউজবাংলা
মিরপুর মডেল থানার ওসি মহসীন বলেন, ‘রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এক মেয়েকে একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তিনি মিরপুর নিয়ে যান। বিয়ে করবেন বলে ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেন। এরপর নিজেই নিজের বিয়ে পড়েন।’

পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে ৫টি বিয়ের অভিযোগে শাকিল হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ‘পুলিশ’ পরিচয় দিলেও পেশায় তিনি নিরাপত্তা প্রহরী (সিকিউরিটি গার্ড)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার মনিপুর কাঠালতলা এলাকা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।

এ সময় তার বাসা থেকে পুলিশের ১টি পরিচয়পত্র, ১টি ক্যাপ, ১ জোড়া জুতা, ১টি ওয়ারলেস সেট ও ১টি ৫০ টাকা সমমূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাকিল একজন প্রতারক। তার নাম শাকিল হলেও তিনি সবাইকে পরিচয় দেন রানা নামে।

‘একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করলেও তিনি নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের এএসআই হিসেবে। মানুষ যাতে বিশ্বাস করে, তাই ওই নামে তিনি আইডি কার্ড ও পুলিশের ক্যাপ বানিয়েছেন, পুলিশের জুতা ও ওয়াকিটকিও কিনেছেন।’

তিনি বলেন, ‘ভুয়া পরিচয়েই তিনি বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের নামে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। কিছুদিন থাকার পর পালিয়ে যান।’

এভাবে তিনি ৫টি বিয়ে করেছেন বলে জানান ওসি মহসীন।

ওসি বলেন, ‘রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এক মেয়েকে একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তিনি মিরপুর নিয়ে যান। বিয়ে করবেন বলে ৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেন। এরপর নিজেই নিজের বিয়ে পড়েন।

‘বিয়ের কিছুদিন পরই তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় মেয়েটির কাছে। এরপর তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি জানালে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন শাকিল।’

তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মেয়েটি ধর্ষণের মামলা করেছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ইউনিসেফের নাম করে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা
ফেসবুকে নারী সেজে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হাবিপ্রবির ছাত্র
বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে ২ নাইজেরিয়ানের পার্সেল ফাঁদ
সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্র
‘র‌্যাপিড ক্যাশ’ চক্রের টার্গেটে বাংলাদেশসহ তিন দেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government has given the budget of looting smartly Amir Khosrow

স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট দিয়েছে সরকার: আমির খসরু

স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট দিয়েছে সরকার: আমির খসরু বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘বাজেটের আকার বাড়ছে ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা করা হচ্ছে সরকারের লুটপাটের সুবিধার জন্য। গত ৭ বছরে ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে। সরকার ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে। এই ঘি খাওয়ার টাকা বাংলাদেশের জনগণকে শোধ করতে হবে।’

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে ‘স্মার্টলি লুটপাটের’ বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য একইসঙ্গে বলেছেন, এই বাজেট সরকার দিচ্ছে, না আইএমএফ দিচ্ছে তা-ও দেখার বিষয়। মূলত আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী সরকারকে বাজেট দিতে হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর বিকেলে রাজধানীর বনানীর নিজ বাড়িতে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তার বাড়িতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করছেন উল্লেখ করে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমির খসরু। বলেন, ‘এ ধরনের একটা সরকার দেশের জন্য কী ধরনের বাজেট দেবে তা বোঝাই যাচ্ছে। বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া শুনতেও রাজি নয় তারা।’

বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘সরকার লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে প্রচার করছে। অথচ দেশে রিজার্ভে টাকা নেই।

‘বাজেটের আকার বাড়ছে ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা করা হচ্ছে সরকারের লুটপাটের সুবিধার জন্য। গত ৭ বছরে ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে। সরকার ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে। এই ঘি খাওয়ার টাকা বাংলাদেশের জনগণকে শোধ করতে হবে।

‘দেশের ভেতরে ব্যাংকগুলো থেকে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে, দেশের বাইরে থেকে যে পরিমাণ ঋণ নেয়া হচ্ছে, এই ঋণের ভার আগামী প্রজন্মকে নিতে হবে।’

করের খাত বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘এই সরকার তাদের অর্থনীতির যে মডেল তৈরি করছে, সেখানে ট্যাক্সের পুরো চাপ সাধারণ মানুষের ওপর। সাধারণ মানুষ এখন ঋণ করে চলছে, তাদের জমা শেষ হয়ে গেছে, তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকা সীমিত করছে।

‘অথচ জনগণের ট্যাক্সের এই টাকায় তারা যে পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি চালু করেছে, তারা লাভবান হচ্ছে। এই টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, পুরো চাপটা পড়ছে জনগণের ওপর। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়াবে।’

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাজেট সরকার দিচ্ছে না আইএমএফ দিচ্ছে সেটাও তো দেখার বিষয়। আইএমএফ যে গাইডলাইন দিচ্ছে তাতে তো সুনিশ্চিতভাবে বলা হয়েছে যে কী কী করতে হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি কী কারণে আজ নিম্ন পর্যায়ে এসে নেমেছে।

‘এসব কারেক্ট করার জন্য আইএমএফের যে শর্ত, সেই শর্ত মেনে চলছে সরকার। মূলত আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী তাদেরকে বাজেট দিতে হবে। আবার তার বাইরে যদি অব্যাহতভাবে লুটপাটের অর্থনীতি, পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি চলতে থাকে, সেটা অন্য কথা।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বিপদে আছে। আইএমএফের শর্ত না মানলে বাজেট সাপোর্ট থাকে না। আবার আইএমএফের শর্ত মানলে তাদের লুটপাটের পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় সরকার অর্থনীতিকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে বের হতে হলে এটার রাজনৈতিক সমাধান হতে হবে। রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদ, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে ও জবাবদিহিতা থাকবে।

সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘বাজেট হচ্ছে জনগণের চিন্তার প্রতিফলন, রাজনীতির চিন্তার প্রতিফলন। আজ যেখানে অবৈধ দখলদার সরকার বসে আছে, তাদের বাজেটে তো রাজনীতির চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে না; সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে না। তাদের নিজেদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে।’

আমির খসরু বলেন, ‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে গত ৩০ বছরে যে স্থিতিশীলতা আমরা সৃষ্টি করেছিলাম সেটা এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এটা করা হয়েছে একটা দলীয় চিন্তার ভিত্তিতে পৃষ্ঠপোষকতার লুটপাটের অর্থনীতির মডেল তৈরি করে।’

কেউ কেউ বলছেন, সরকার নির্বাচনী ব্যয়ের বাজেট দিচ্ছে। নতুন কোনো সরকার এলে তাদের জন্য এই বাজেট বাস্তবায়ন কতটা চ্যালেঞ্জ হবে।- এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘বাজেটে বড় বড় অঙ্ক দিচ্ছে, আর বাংলাদেশের মানুষকে অবকাঠামোর কথা বলছে। কিন্তু ৯ মাসে বাজেটের ৩৬ শতাংশও পূরণ করতে পারেনি। আর বড় বড় অবকাঠামোতে যে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে, সে জন্যই তো আজকে ডলার সংকট, ব্যাংকে টাকা নেই, শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে।’

আমীর খসরু আরও বলেন, যে জন্য তারা (সরকার) আইএমএফের কাছে ধার করছে, বিশ্বব্যাংকের কাছে ধার করছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ছাপাতে হচ্ছে। টাকা ছাপিয়েও কুলাতে পারছে না। সুতরাং এখান থেকে বের হতে হলে একটা অবৈধ দখলদার সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার হতে হবে, জবাবদিহির সরকার হতে হবে।

আরও পড়ুন:
বাজেটে প্রস্তাবিত পদক্ষেপ বাস্তববর্জিত: সিপিডি
নির্বাচনী সুবিধা নেয়ার বাজেট: জাপা
প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষিত প্রবাসীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Budget to take electoral advantage Japa

নির্বাচনী সুবিধা নেয়ার বাজেট: জাপা

নির্বাচনী সুবিধা নেয়ার বাজেট: জাপা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত নয়। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকারে জড়িতরা এর অ্যাডভান্টেজ পাবে। এটা অর্থ দিয়ে ইলেকশন পার করার একটা পলিসি হতে পারে।’

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে নির্বাচনমুখী বাজেট বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলটি মনে করে, এই বাজেট বাস্তবসম্মত নয়। সরকার-সংশ্লিষ্টরা এই বাজেটকে পুঁজি করে নির্বাচনী সুবিধা নিতে পারে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এক লাখ কোটি টাকা বেশি বাজেট করা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করলেও রাজস্ব আদায়ের বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এটাকে আমরা বাস্তবসম্মত বাজেট বলে মনে করছি না। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার এর অ্যাডভান্টেজ (বাড়তি সুবিধা) পাবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার খুব অল্পই অর্জিত হয়েছে। তারপরও নতুন বাজেটে চলতি অর্থবছরের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটা অর্জিত হবে না।

‘বাকি থাকে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। এখন যে পরিস্থিতি ইচ্ছা করলেই যে বিদেশি ঋণ পাবে বা অভ্যন্তরীণ ঋণ নিতে পারবে তা তো নয়। কাজেই আলটিমেটলি বাজেটটা ওয়ার্কঅ্যাবল হবে না, এটা আমাদের ধারণা।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় সব কিছুর ওপর পরোক্ষ করা আরোপ করা হয়েছে। যেগুলো অনেক মানুষ, সাধারণ মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এটা আরও বেশি ওপরের দিকে যাবে।

‘মানুষের আয় কমে গেছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। বাজেটে কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, গরিব- এ তিন শ্রেণির বেঁচে থাকার জন্য বাজেটে প্রভিশন থাকার দরকার ছিল। কিন্তু তা রাখা হয়নি। এ কারণে এটাকে জনবান্ধব বাজেট বলা যাচ্ছে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। অথচ উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। পরিচালন ব্যয় আগে যা ছিল সেটাই অনেক বেশি ছিল। পরিচালন ব্যয় খুব খোলামেলা জিনিস। যেখানে-সেখানে অর্থ ব্যয় করা যায়। হয়তো নির্বাচন সামনে রেখে সরকারে জড়িতরা এটার অ্যাডভান্টেজ নেবেন। এটা অর্থ দিয়ে ইলেকশন পার করার একটা পলিসি হতে পারে।’

আরও পড়ুন:
ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ
প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষিত প্রবাসীরা
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের
প্রস্তাবিত বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে: ওবায়দুল কাদের
বাইসাইকেলের চাকা ঘোরাতে বাড়ছে খরচ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Threatened to shoot the magistrate

ম্যাজিস্ট্রেটকে পেলেই গুলি করে হত্যার হুমকি

ম্যাজিস্ট্রেটকে পেলেই গুলি করে হত্যার হুমকি প্রতীকী ছবি
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মোবাইল ফোনে দুই দফা কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই হুমকি দেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মোবাইল ফোনে দুই দফা কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই হুমকি দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত নিজেই বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে ঢাকায় এসেছি। আজ সকাল ৮টা ৪৪ মিনিট ও ৮টা ৪৮ মিনিটের দিকে দুটো কল আসে। একটি +৫৭২৫৮২৪৭৮, অপরটি +৮৮০১৯৪২২০৬০৩১ নম্বর থেকে। কল করে আমাকে যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করবে, জবাই করবে এসব কথা বলেছে৷’

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাবিক হাসান বলেন, ‘প্রতীক দত্তকে মোবাইল ফোনে হুমকির ঘটনায় ঢাকার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার নিরাপত্তা ও হুমকির বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রুয়েটের ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে উড়ো চিঠি, সাদা কাপড়
‘তোর জন্য দুটি গুলিই যথেষ্ট’
বখাটেদের হুমকিতে অনিশ্চিত চার ছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষা
পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছি: সালওয়া
সাবেক এমপিপুত্রের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী সালওয়াকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami Leagues joyous procession welcoming the budget

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে। ছবি: নিউজবাংলা
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণমুখী বাজেট দেয়ায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান বক্তারা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ ও ছাত্রলীগ।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা হয়।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণমুখী বাজেট দেয়ায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান বক্তারা।

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগের
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। ছবি: নিউজবাংলা

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের টানা ১৫তম বাজেট পেশ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ।

গুলিস্তান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের সেখানেই শেষ হয়।

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

ছাত্রলীগ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল বের করে।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

আরও পড়ুন:
আগামী অর্থবছর থেকেই সর্বজনীন পেনশন স্কিম: অর্থমন্ত্রী
আইন ও বিচার বিভাগে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব
১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাস এখন ১ হাজার ৭৪ টাকা
ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধের দাম কমতে পারে
স্বর্ণ আনতে দিতে হবে দ্বিগুণ শুল্ক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zapas letter to Speaker to make Fakhrul Chief Whip of Opposition

ফখরুলকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ করতে স্পিকারকে জাপার চিঠি

ফখরুলকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ করতে স্পিকারকে জাপার চিঠি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। ফাইল ছবি
ফখরুল ইমাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের সভাপতিমণ্ডলীর সবশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মশিউর রহমান রাঙ্গা এখন আর দলের কেউ নন। তাই তিনি সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন নাা। দলের সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি রেজুলেশনও হয়েছে। সেই চিঠিটিই স্পিকারকে দেয়া হয়েছে।’

মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে অভিজ্ঞ সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হিসেবে চায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। জাতীয় সংসদের স্পিকারের দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। দলের পক্ষে বৃহস্পতিবার ওই চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন আরেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে জানান, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের স্বাক্ষর সংবলিত চিঠিটি বৃহস্পতিবার স্পিকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এটি পার্টির রেজুলেশন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফখরুল ইমাম ময়মনসিংহ-৮ আসর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সৎ ও সজ্জন হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিবিদ জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ থেকে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরে দলাদলির অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

রাঙ্গা এক সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন। মহাজোট সরকারে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে- রংপুরে মিল্ক ভিটার জমি দখল, সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ঘুষ-বাণিজ্য এমনকি জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্টির পেছনে কলকাঠি নাড়েন তিনি।

জাতীয় পার্টিতে রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে রাঙ্গার বিরুদ্ধে। দল থেকে বহিষ্কারের পর প্রকাশ্যেই দল ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে রওশন এরশাদের পক্ষে অবস্থান নেন তিনি। পরে ক্ষমা চাইলেও দল তাকে ফিরিয়ে নেয়নি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইমাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের সভাপতিমণ্ডলীর সবশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মশিউর রহমান রাঙ্গা এখন আর দলের কেউ নন। তাই তিনি সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন নাা। দলের সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি রেজুলেশনও হয়েছে। সেই চিঠিটিই স্পিকারকে দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
একক না জোটবদ্ধ নির্বাচন তা পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত: জিএম কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Peoples suffering will be eased in the proposed budget Obaidul Quader

প্রস্তাবিত বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রস্তাবিত বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে: ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এ বাজেট প্রণীত হয়েছে।’

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন।

সংসদ থেকে বের হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে যে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এ বাজেট প্রণীত হয়েছে। এ জন্য এটাকে জনবান্ধব বলছি।’

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন:
আইন ও বিচার বিভাগে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব
১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাস এখন ১ হাজার ৭৪ টাকা
ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধের দাম কমতে পারে
স্বর্ণ আনতে দিতে হবে দ্বিগুণ শুল্ক
দেশে তৈরি মোবাইল সেটের দাম বাড়ছে

মন্তব্য

p
উপরে