আলোচিত ৪৯ মামলার আসামি একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার মা কমরের নেহার।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খাঁ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
কমরের নেহার রাজারবাগ দরবার শরিফের পির দিল্লুর রহমানের মুরিদ। সংবাদ সম্মেলনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে আকতার ই কামাল, ছোট মেয়ে ফাতেমা আক্তার, কাঞ্চনের মামাতো ভাই শাকেরুল কবির ও তার দুই বোন।
৮৪ বছর বয়সী কমরের নেহারের পক্ষে তার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মেয়ে ফাতেমা আক্তার।
কমরের নেহার তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তার স্বামীর মৃত্যুর পর কাঞ্চন সবার সম্পদ আত্মসাৎ করতে উঠেপড়ে লাগে। সম্পদ নিয়েই তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কাঞ্চন নানা সময় ভুয়া দলিল তৈরি করে মা ও অন্য ভাই-বোনদের সম্পদ দখল করার পাঁয়তারা করে। সম্পদের জন্য কাঞ্চন মায়ের বিরুদ্ধেই দুটি মামলা করে। এমনকি নিজের মায়ের নামের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে অন্য নারীকে মা বানিয়ে জাল দলিল তৈরি করে। এ ঘটনা সামনে আসার পর কাঞ্চনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
স্বামী ডা. আনোয়ার উল্লাহ ১৯৮৬ সালে রাজারবাগ পিরের মুরিদ হয়েছিলেন দাবি করে কমরের নেহার বলেন, ‘তিনি (স্বামী) জীবিত থাকার সময় আমি আমার বড় ছেলে ও মেয়ে রাজারবাগ পিরের মুরিদ হই।’
কমরের নেহার তার স্বামীর সম্পদের বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘আমার স্বামী আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ছিলেন। তিনি অনেক জমিজমা ক্রয় করেন। তার ঢাকার শেওড়াপাড়া, শাহজাহানপুর থানার শান্তিবাগে বাড়ি, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবাইলে ফ্যাক্টরি, তক্কার মাঠে জমি, পিলকুনিতে ৪টি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া তিনি নোয়াখালীতে পৈতৃক সূত্রে অনেক জমিজমা লাভ করেন। তার মৃত্যুর পর এই সম্পত্তিগুলো কাঞ্চনসহ সবার মধ্যে বণ্টন হয়, যা প্রত্যেকের সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট।
‘আমার স্বামী আমার জন্যও আলাদা কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন। আমার ও স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী, কিছু জমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করার নিয়ত করেছিলাম। কিন্তু আমার দানের বিষয়টি অন্য সন্তানরা মেনে নিলেও কাঞ্চন মানতে পারেনি। সে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে যেন আমি আমার ভাগের সম্পত্তিটুকু পুরোটাই তাকে লিখে দিই; কোনোভাবেই যেন মাদ্রাসায় জমি দান না করি। কাঞ্চন সম্পত্তির ওপর লোভ সামলাতে পারে না পেরে অন্য এক মহিলাকে মা বানিয়ে আমার জমির জাল দলিল তৈরি করে। ওই জাল হেবা দলিলের জন্য আমরা ২০০৯ সালে একটি মামলাও করেছিলাম যার নং ১৩৯২৬।’
কমরের নাহার বলেন, ‘…এক যুগ আগে কাঞ্চন আমাকে মৃত দেখিয়ে এবং তার একমাত্র বোন ফাতেমা আক্তারকে বাদ দিয়ে সকল সম্পদের ওয়ারিশনামা তৈরি করে। কাঞ্চনের বানানো জাল দলিল বাতিল করতে এবং আমার মেয়ের ওয়ারিশসত্ব ফিরিয়ে আনতে আমি আদালতের দ্বারস্থ হই। তখন কাঞ্চন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা শুরু করে। আমি তার মা হওয়া সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে দুটি, বড় ভাই আকতার ই কামালের বিরুদ্ধে সাতটি, বোনের বিরুদ্ধে তিনটি এবং তার মামাতো ভাই শাকেরুল কবিরের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে।’
২০১৪ সালে নিজের অংশ থেকে মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার নামে ৭৬ শতাংশ জমি দান করেন বলে উল্লেখ করেন কমরের নেহার।
তিনি বলেন, ‘এটা কাঞ্চন মেনে নিতে পারেনি। সে ওই জমিসহ আমার অংশের সম্পদ তার নামে লিখে দিতে আমাকে চাপ দিতে থাকে। সেই সাথে দানের জমি ফিরিয়ে দিতে রাজারবাগ দরবার শরিফ ও মুহম্মদীয়া জামিয়া শরিফ মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট লোকজনের ওপর মামলা-হামলা করতে থাকে। অনেককে সে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠায়। এমনকি মাদ্রাসায় যাওয়া বোরকা পরিহিতা নারীদেরও সে উত্ত্যক্ত করত। এরপর সে রাজারবাগ পিরের সম্পর্কে উল্টাপাল্টা বক্তব্য প্রচার করতে থাকে।
‘পির সাহেব নাকি আমাকে বাইয়াত করে ভুলভাল বুঝিয়ে আমার সব সম্পত্তি লিখে নিচ্ছেন। আমি নাকি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাদের বঞ্চিত করে পির সাহেবকে সব সম্পত্তি লিখে দিচ্ছি। এমন মিথ্যা সে মিডিয়ায় প্রচার করতে থাকে। আমি কোনো সম্পত্তি পির সাহেবকে লিখে দিইনি। যতটুকু সম্পত্তি আমি দান করেছি, সেটা একটা মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য; পির সাহেব বা দরবার শরিফের নামে নয়। আমি স্বেচ্ছায় ওই সম্পদ দান করেছি।’
পিরের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাঞ্চন কুৎসা রটাচ্ছেন উল্লেখ করে কমরের নেহার বলেন, ‘সে প্রচার করে, আমি নাকি আমাদের শান্তিবাগের বাড়ি পির সাহেবকে লিখে দিয়েছি, পির সাহেবের মেয়ের বিয়েতে স্বর্ণের মুকুট দিয়েছি, জাপান থেকে তার পাঠানো একটা গাড়ি পির সাহেবকে দিয়ে দিয়েছি। এসবই ভিত্তিহীন, মিথ্যা কথা। কাঞ্চনের সাথে আমাদের পারিবারিক বিরোধ। সেটার সাথে পিরকে জড়িয়ে মাদ্রাসার জায়গাটা দখল করতে চায় সে।’
কাঞ্চনের মায়ের দাবি, জাপান থেকে ফিরে এসে তার ছেলে ১৯৯৫ সালে রাজারবাগ পিরের মুরিদ হন। এমনকি তার দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানও রাজারবাগ দরবার শরিফে হয়।
ছেলের বিরুদ্ধে দীর্ঘ অভিযোগ পাঠ করার পর কমরের নেহার ও তার পরিবারকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে চাইলে তারা জানান, কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে তারা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেননি। তারা শুধু তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এরপরও কাঞ্চনের জাল হেবা দলিল সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর না দিয়ে সংবাদ সম্মেলনস্থল ছাড়েন।
পরিবারের সব অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে একরামুল আহসান কাঞ্চন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মা-ভাই-বোন পির সাহেব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। পিরের কয়েকজন সহযোগী মাদ্রাসার দানের বাইরেও আমাদের আরও জায়গা হাতিয়ে নিবার পাঁয়তারা করছিল, এটা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। তখন আমি বাধ্য হয়ে আমার মায়ের কাছ থেকে গোপনে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জের ১৭১ শতাংশ জায়গার হেবা দলিল তৈরি করি। আর তাতে উল্লেখ করা হয়, আমার মায়ের মৃত্যুর পর আমার মায়ের অংশের ওই জমির মালিক হব আমি, আমার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে ও আমার ছোট ভাই বাদল।
‘আমার মা, বড় ভাই ও বোন যেহেতু পিরের মুরিদ। আর তারা ওই সম্পদ পিরকে দিয়ে দিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাই আমি এই কাজ করেছিলাম। আমার যদি সম্পদের প্রতি লোভ থাকত তাহলে তো সব আমার নিজ নামেই নিতাম। আমার ছোট ভাই আর ভাতিজাদের নাম রাখতাম না।’
কাঞ্চনের দাবি, ‘পিরের লোকেরা যে আমাদের সম্পদ নিয়ে যাচ্ছিল তার প্রমাণও মিলে ওই হেবা দলিল করার কিছুদিন পর। আমার মায়ের কাছ থেকে ওই ১৭১ শতাংশ জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে নেয় পিরের লোকজন। তখন তারা সেই অংশের কিছু জমি একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়।
‘তখন আমার তৈরি করা হেবা দলিল সামনে আসলে তারা বিপদে পড়ে যায়। তখন মাকে দিয়ে আমিসহ আমার ছোট ভাই ও দুই ভাতিজার নামে দুটি মামলা করানো হয়। একটি মামলায় জমি ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে মায়ের সাথে আমাদের আপস হয়। অন্যটি এখনও চলছে।’
মাকে মৃত দেখিয়ে বোনের অংশ বাদ দিয়ে ওয়ারিশনামা তৈরির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাঞ্চন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। যদি এমনটা হতো তাহলে তো আমার মা আমার বিরুদ্ধে মামলা করত। তাদের জিজ্ঞেস করেন মামলা কেন করল না।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের শেষ দিকে কমরের নেহার বলেন, ‘সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক এই বিরোধে কাঞ্চন একটি পক্ষে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে পুরো পরিবার এক আছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে কমরের নেহারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার বড় ছেলে, মেয়ে, ভাগ্নে, ভাগ্নিরা। তিনি দাবি করেছিলেন, ভিডিও কলের মাধ্যমে ওই সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন ছোট ছেলে কামরুল আহসান বাদল ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে বাদল ও তার পরিবারের সদস্যদের সেখানে যুক্ত থাকার দৃশ্য চোখে পড়েনি।
নিউজবাংলা যোগাযোগ করে বাদলের পরিবারের সঙ্গে। টেলিফোনে কথা হয় বাদলের স্ত্রী তসলিমার সঙ্গে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ওই সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলাম না। আমাদের কাছে তো ভিডিও কল করার মতো কোনো ফোনই নাই।’
ভিডিও কলে যুক্ত থাকার কথা কেন বলা হলো, তা জানতে চাইলে তসলিমা বলেন, ‘তা বলতে পারব না। আমরা কাঞ্চন ভাই বা আমার শাশুড়ির বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমাদের এসব থেকে দূরে রাখেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য