১০ মাসের প্রস্তুতি শেষে স্থিতিশীলতা ফান্ড যখন পুঁজিবাজারে কাজে লাগানোর প্রস্তুতি শেষ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থানের কারণে এই তহবিলের আকার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে তহবিল গঠনের প্রাথমিক পরিকল্পনা যখন করা হয়েছিল, সে সময় নগদ ও বোনাস শেয়ার মিলিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন হবে বলে হিসাব করা হয়েছিল।
এর মধ্যে বোনাস শেয়ার ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর নগদ লভ্যাংশ পাওয়ার আশা করা হয়েছিল বাকিটা।
তবে এই তহবিল গঠন নিয়ে আলোচনা এবং কোম্পানিগুলো শেয়ারধারীদের নোটিশ করার পর বহুজন তাদের লভ্যাংশ নিয়ে গেছেন বলে জানানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ৪০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে হিসাব করেছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
অবণ্টিত বোনাস শেয়ার মিলিয়ে তহবিল ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলেও সবশেষ হিসাব বলছে।
এই তহবিলের মধ্যে একটি বড় অংশ আসার কথা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি এই অর্থ না আসে, তাহলে আরও ছোট হতে পারে কমিটি।
সোমবার বিএসইসি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ কয়েকটি সংস্থার মধ্যে যে ভার্চুয়াল আলোচনা হয়, তাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অবণ্টিত লভ্যাংশ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এর কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, তিন বছর ধরে অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার তহবিলে দেয়ার ক্ষেত্রে আইনি বাধা আছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা আছে, কেউ ১০ বছর লভ্যাংশ না নিলে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। পরে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
যদিও বিএসইসি এখনও আশাবাদী, এই আইন তাদের তহবিল গঠনে বাধা হবে না। এর কারণ, এই অর্থ বা শেয়ারের মালিকানা চাওয়া হচ্ছে না। এই তহবিল কেবল অর্থের জিম্মাদার হবে। মালিকরা চাওয়ামাত্রই সেই অর্থ সংক্ষিপ্ততম সময়ে দিয়ে দেয়া হবে।
বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা তহবিল যেটি চাচ্ছি সেটি আমাদের জন্য চাচ্ছি না। এবং এই তহবিলে কার কত টাকা জমা হচ্ছে, তার পরিপূর্ণ তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। কেউ চালে তা এক মাসের মধ্যে তাকে বুঝিয়ে দেয়ার বিধান আছে।
‘বাকি সময়টিতে এই অর্থ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবহার করা হবে। এর জন্য আলাদা পরিচালনা পর্ষদও গঠন করা হয়েছে। এবং খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে তা পরিচালনা করার নীতিমালাও তৈরি করা হয়েছে। ফলে এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।‘
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এ নিয়ে আমাদের আলোচনার সুযোগ আছে।’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সমিতি ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিক লিস্টেট কোম্পানিজ’-এর মহাসচিব আমজাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে, তা দুই সংস্থার পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।’
ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ কত
বিএসইসির চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার আছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৪২টি।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৩৭০টি।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৭টি।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৬২ লাখ ৮০ হাজার ১২৪টি।
মার্কেন্টাইলে ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ২৮৯টি।
এক্সিম ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ১ লাখ ৮২৯টি।
ন্যাশনাল ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৮৪টি।
ওয়ান ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮৮টি।
ইস্টার্ন ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৯টি।
ইসলামী ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৯ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৫৫৩টি।
পূবালী ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৫ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৮১০টি।
সিটি ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৬১ লাখ ২৬ হাজার ৬২৩টি।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৯টি।
ব্যাংক এশিয়ার অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ২ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৭টি।
যমুনা ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৩৬ হাজার ৪১৯টি।
এবি ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৬২ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯টি।
ব্র্যাক ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৪টি।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৪৮ হাজার ৯৬৪টি।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ২ লাখ ১ হাজার ৩৫টি।
উত্তরা ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৭ কোটি ৯৭ লাখ ৬৬ হাজার ১১৯টি।
ট্রাস্ট ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৩৭ হাজার ৪৮৭টি।
রূপালী ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৫৮টি।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৯১ হাজার ৭৩১টি।
এনআরবিসির অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ১ হাজার ৩৯৭টি।
নতুন তালিকাভুক্ত সাউথবাংলা ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার আছে ৩৪ হাজার ২২১টি শেয়ার।
এসব ব্যাংকের হাতে অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ কত আছে, সেটি অবশ্য গত ১ সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবণ্টিত লভ্যাংশ কত
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৪৪টি।
ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫১৯টি।
পিপল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ১ কোটি ৭০ লাখ ১৫ হাজার ১৬টি।
মাইডাস ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৬৬ হাজার ১৪৭টি।
উত্তরা ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৫ হাজার ৬২৯টি।
প্রাইম ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৩ হাজার ৪০৯টি।
প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৭৯ হাজার ৩৯টি।
ইসলামী ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ১ হাজার ১৫৬টি।
বিআইএফসির অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৭৯টি।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৬৪৯টি।
ইউনিয়ন ক্যাপিটালের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৪ হাজার ৭৮৩টি।
বিডি ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৪ হাজার ৪২২টি।
ফিনিক্স ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৮ হাজার ৭৬টি।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ৬ হাজার ২৮টি।
ফাস ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ১ হাজার ২৯৭টি।
ফার্স্ট ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৩টি।
ফারইস্ট ফাইন্যান্সের অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশ আছে ২ হাজার ৫৮৫টি।
এসব কোম্পানির অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ কত, সেটিও ১ সেপ্টেম্বর করা তালিকায় উল্লেখ নেই।
তহবিলের ভাবনা যেভাবে
নিয়মিত লেনদেন না করা বা দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের কারণে ব্যাংক হিসাব বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে যায়। এতে নগদ লভ্যাংশ ব্যাংক হিসাবে জমা হয় না। একই কারণে বিও হিসাব নবায়ন না করলে শেয়ার (স্টক) লভ্যাংশ জমা না হয়ে তা কোম্পানির কাছে ফেরত চলে যায়। কোম্পানি এগুলো সাসপেন্ডেড হিসাবে জমা দেখিয়ে আর্থিক বিবরণী তৈরি করে।
ভারতে এ ধরনের অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজারের জন্য ব্যবহার করা হয়। দেশেও এই অর্থ ব্যবহার করে কীভাবে পুঁজিবাজারকে উন্নত করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়।
গত বছরের শেষে এই তহবিল গঠনের আলোচনা ওঠে। আর ২৭ জুন প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে এই তহবিল গঠন নিশ্চিত হয়। কিন্তু এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তির খবর আসেনি।
তহবিল পরিচালনায় পর্ষদ কী করছে
এই তহবিল পরিচালনার জন্য গত ২২ আগস্ট ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্যদ গঠন করা হয়েছে, যার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।
পরিচালনা পর্ষদে আরও আছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক তানজিলা দিপ্তী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া, চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ফজল বুলবুল, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সিডিবিএলের স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ তারেক এবং এ কে এম দেলোয়ার হোসেন ।
এই পর্ষদ এখন পর্যন্ত কেবল একটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে যে পরিমাণ অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা পড়ার কথা, তার চেয়ে কম পড়ার বিষয়টি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়ে দেয়া হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছে, সেটি যাচাই করে দেখা হবে। এ জন্য নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
৪০ শতাংশ শেয়ারে বিনিয়োগ, ৫০ শতাংশে মার্জিন ঋণ
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই তহবিলের ৪০ শতাংশ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ারে। ৫০ শতাংশ অর্থে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ দেয়া হবে। আর ১০ শতাংশ অর্থ অতালিকাভুক্ত কোম্পানি বা সরকারি সিকিউরিটিজ, স্থায়ী আমানত ও বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যাবে।
এই তহবিলের মার্জিন ঋণের সুদহার কত হবে, সেটি অবশ্য প্রজ্ঞাপনে বলা নেই।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য