পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন শুরুর পর বিচার-বিবেচনা না করেই উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে আবার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
১০ টাকায় তালিকাভুক্ত ই জেনারেশনের শেয়ার টানা ৯ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে ৪২ টাকা ৮০ পয়সা হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় মূল্য পতন।
বৃহস্পতিবার দিন শেষে শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৫০ পয়সায়।
আরেক কোম্পানি লুব রেফ ২৭ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে দুই কার্যদিবসে সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে ৬০ টাকা ৭০ পয়সা হওয়ার পর শুরু হয় মূল্য পতন।
বৃহস্পতিবার দিন শেষে শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ১০ পয়সা।
কেবল এই দুটি শেয়ার নয়, গত কয়েক মাসে দেখা গেছে একই চিত্র। ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, রবি, এসোসিয়েট অক্সিজেন, ডমিনোজ স্টিল, এনার্জি প্যাক, মীর আকতার, তাওফিকা ফুডসের শেয়ারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
নতুন শেয়ার লেনদেন শুরুর পর প্রথম দুই কার্যদিবসে ৫০ শতাংশ বাড়ার সুযোগ আছে। এরপর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ১০ শতাংশ বাড়া বা কমার সুযোগ থাকে।
একটি ছাড়া প্রতিটি শেয়ারের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যে দামেই তালিকাভুক্ত হোক না কেন, প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ করে বেড়েছে। এরপর কোনো কোনো কোম্পানি টানা ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ কার্যদিবস প্রতিদিনই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করে বেড়েছে।
কোম্পানির আর্থিক পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীরা বিবেচনা করেন কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এ কারণেই।
আর এসব শেয়ারের প্রতিটিই বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করেছে। এরপর পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তীব্র সমালোচনা করে নানা পোস্ট দিয়ে আসছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।
নতুন শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের এই হুলুস্থুলের সুযোগ নিচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তারা উচ্চমূল্যে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।
সদ্য তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির মধ্যে চারটির তথ্যে দেখা গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তাদের অংশের শেয়ারের একটি অংশ বিক্রি করে তুলে দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
টানা ৮ দিন বেড়ে দর হারাল ১০ টাকা
প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটি লেনদেন শুরু করে ২৩ ফেব্রুয়ারি। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার দর মাত্র আট কার্যদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে হয়ে যায় ৪২ টাকা ৮০ পয়সা।
৪ মার্চ সর্বোচ্চ দর ওঠার পর সেদিনই অবশ্য দাম কমে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে।
৩ মার্চ সপ্তম কার্যদিবসে ৩৯ টাকা ৮০ পয়সায় শেয়ারটির লেনদেন হয় সর্বোচ্চ সংখ্যায়। হাতবদল হয় ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ৬১০টি।
আর সর্বোচ্চ দর ওঠে অষ্টম কার্যদিবসে দর হারানোর দিন হাতবদল হয় হয় ২৭ লাখ ২৪ হাজার ৮০৬টি।
এই শেয়ারটির ক্ষেত্রে দাম যত বেড়েছে, লেনদেনও তত বাড়তে দেখা যায়।
প্রথম দিন ১৫ টাকায় হাতবদল হয় ২০১টি শেয়ার। দ্বিতীয় দিন ২২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয় ৯ হাজার ৩৩২টি, তৃতীয় দিন ২৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয় ২৫ হাজার ৭৯৬টি, চতুর্থ কার্যদিবসে ২৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৭টি শেয়ার।
পঞ্চম কার্যদিবসে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার।
ষষ্ঠ কার্যদিবসে ৩২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয় ৩৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৬টি শেয়ার।
ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম কার্যদিবসে যারা শেয়ার কিনেছেন, তারা এরপর কেবল হতাশই হয়েছেন। টানা ঊর্ধ্বগতি থেকে এবার টানা পতন দেখছেন তারা।
বর্তমানে এর শেয়ার দর ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে সর্বোচ্চ দামে যারা শেয়ার কিনেছেন তারা এখন শেয়ার প্রতি ১০ টাকার বেশি লোকসানে আছেন।
ই জেনারেশনের প্রধান অর্থ কর্মকতা (সিএফও) মো. মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। আমরা সেদিকে নজর দিতে চাচ্ছি না। আমাদের ব্যবসা ভালো হলে বিনিয়োগকারীরা অবশ্যই শেয়ার কিনবেন। তবে আমাদের কোম্পানির অগ্রগতি প্রত্যাশা অনুযায়ী অনেক ভালো।’
দাম বাড়ার পর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। আর কিনেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
লেনেদেন শুরুর সময় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এই কোম্পানির ৩৬.৪২ শতাংশ বা ২ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার ছিল।
ফেব্রুয়ারি শেষে হিস্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩৯ শতাংশ শেয়ার।
শুরুতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ই জেনারেশনের শেয়ার ছিল ২৬. ১৯ শতাংশ। বর্তমানে আছে ২৭.২২ শতাংশ।
দুই দিন বেড়ে পাঁচ দিন কমল লুব রেফের দাম
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে লুব রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ার বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ২৭ টাকা করে।
৯ মার্চ লেনদেন শুরুর দিন ৫০ শতাংশ দর বৃদ্ধির সুযোগ ছিল। বেড়েছেও তা। সেদিন দর বেড়ে হয় ৪০ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু এই দরে বিক্রেতা ছিল না বললেই চলে। হাতবদল হয় কেবল ৪২১টি শেয়ার।
পরের দিন দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৬০ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত। এই দামেই বিক্রি সেদিনের শেয়ার। সর্বোচ্চ দামে হাতবদল হয় মোট এক কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ২৭টি শেয়ার।
পরের দিন লেনদেন শুরুর পর দাম আরও এক টাকা বাড়ার পরই পড়তে থাকে। টানা ৫ কার্যদিবস দাম কমে এখন দর দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ১০ পয়সা।
৪০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রেতা না থাকলেও বিনিয়োগকারীরা ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ২৪টি শেয়ার বিক্রি করেছেন আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কায়।
নতুন শেয়ার হিসেবে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো এই কোম্পানিটি পর পর তিন দিন সবচেয়ে বেশি দাম হারানোর তালিকায় ছিল।
সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়ায় কোম্পানির শেয়ার বিক্রিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকরীরা কতটা সক্রিয় তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
তবে লেনদেনের শুরুতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কাছে ২৯ দশমিক ৫০ শাতংশ শেয়ার।
তৌফিক (সৌভাগ্য) দিল না তাওফিকা
১০ ফেব্রুয়ারি লেনদেনে শুরুর পর ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে টানা বাড়তে বাড়তে বাড়তে ২৭ টাকা ১০ পয়সায় উঠে যায় এই কোম্পানিটির শেয়ার।
এরপর কমতে কমতে বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ২১ টাকা ৮০ পয়সায়।
এই কোম্পানির ক্ষেত্রেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মুনাফা নিয়ে শেয়ার তুলে দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
লেনদেন শুরুর দিন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ বা ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৩ হাজার শেয়ার ছিল।
ফেব্রুয়ারি শেষে তা ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
শুরুতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ছিল ২৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ আর এখন আছে ২৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি আলোচনা তিন কোম্পানির দরপতনে
এ্যানার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীরা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে –আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার পেয়েছেন ৩১ টাকা দরে। লেনদেন শুরু হওয়ার ৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ারের দর ১০০ টাকা উপরে উঠে।
বৃহস্পতিবার কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার দর দাঁড়ায় ৪৬ টাকা ৫০ পয়সায়।
এ কোম্পানিটির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে বেশি দরে শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে গেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকরীরা।
লেনদেন শুরুর সময় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার।
ফেব্রুয়ারি শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিক্রি করা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের পুরোটাই কিনেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
শুরুতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ছিল ২৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। এখন আছে ২৮ দশমিক ০২ শতাংশ।
৫৪ টাকায় লেনদেন শুরু করা মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের শেয়ার দর দ্বিতীয় দিনই উঠে যায় ১১৭ টাকায়। এই শেয়ারটির এখন দাম ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রথম দিন শেয়ারের দাম বাড়ার সুযোগ ছিল ৮১ টাকা পর্যন্ত। এই দামে শেয়ার বিক্রি হয়েছে মাত্র ৭৩০টি। অথচ পরে এর চেয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রি হয়েছে লাখ লাখ।
বৃহস্পতিবার ৭৬ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯৯টি।
এই কোম্পানির ক্ষেত্রেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও হিস্যা কমেছে।
লেনদেন শুরুর সময় কোম্পানির ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। ফেব্রুয়ারি শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীা বিক্রি করছেন ৩৫ লাখের বেশি শেয়ার, যা এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
শুরুতে এই কোম্পানির ৪২ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার ছিল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। এখন আছে ৪৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
চলতি বছর নতুন কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে রবির শেয়ার কিনে। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিটির শেয়ার দর টানা ১৫ কার্যদিবস বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণ।
৭৭ টাকা ১০ পয়সা দাম উঠার দিন সেদিনই দাম কমে যায়। এরপর কমতে কমতে এখন দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা।
লেনদেন শুরুর সময় রবির শেয়ারের ২.৯৬ শতাংশ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। তাদের কোটার এক তৃতীয়াংশ শেয়ারই বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির ২ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে শুরুতে শেয়ার ছিল ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ৭.৯২ শতাংশ।
বিশ্লেষক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মন্তব্য
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা লেনদেনের প্রথম কয়েকদিন শেয়ার বিক্রি না করায় দর বাড়তে থাকে। পরে যখন সর্বোচ্চ দর উঠে তখনই বেশি দরে শেয়ার বিক্রি করতে থাকে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা কিনলেও পরে আর মুনাফা করতে পারে না।’
বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্যও কোটা ছিল এবং তা লক-ইন ছিল। কিন্ত সে সময় বলা হলো লক-ইন থাকায় শেয়ার সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে দাম বেড়ে যেত। এ কারণে লক উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:সিলেটের জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে গতিরোধ ও বিক্ষোভের ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহিদ খানকে প্রধান আসামি করে ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক ওবায়দুল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্তে কিছুটা সময় লেগেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযানে নেমেছে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও অবরোধ সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহিদ খানকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে, দ্বিতীয় আসামি হিসেবে রয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও আজির উদ্দিন। এ ছাড়াও মামলায় আরও সাতজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।’
গত শনিবার (১৪ জুন) জাহিদ খান ও আজিরের নেতৃত্বে জাফলংয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এতে বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়িবহরের গতিরোধ করা হয়। ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তার বাড়ি ঢাকা বিভাগে। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৩ জন।
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলা এই একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত মহান জাতীয় সংসদীয় আসন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক অবস্থান পূর্বধলা উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে নেত্রকোণা জেলা শহর এবং এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। পূর্বধলা উপজেলা গঠিত হয়েছে ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে, যেগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
আয়তন ৩০৮.০৩ বর্গ কিঃমিঃ। মোট জনসংখ্যা-৩,১০,৮৩৪। পুরুষ-৪৯.২৭%, মহিলা-৫০.৭৩%। মুসলমান-৯৪.৮০%, হিন্দু-৪.৮১%, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান- ০.১৯% এবং অন্যান্য-০.২০%। এখানে গারো ও হদি নামক দু’টি আদিবাসী সম্প্রদায় আছে। তাদের পরিবারের সংখ্যা- ৪৪৫টি। মোট ভোটার-২,৭০,৬৯৯ জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। পুরুষ ভোটার: ১,৩৭,৯১৬জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। মহিলা ভোটার:১,৩২,৭৮২ জন ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রাপ্ত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্র সংখ্যা: ২,৩৬,১০৩। বিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২,১০,৭৯১। অবিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২৫,৩১২।
এবার পূর্বধলা সংসদীয় আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান। তিনি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস (তথ্য ক্যাডার)। সাবেক বিসিএস জুডিশিয়ারী (সহকারী জজ) (কোয়ালিফায়েড ফর বিসিএস-২২)। সাবেক লেকচারার, আইন বিভাগ, কুইন'স ইউনিভার্সিটি।
সলিসিটর ফর ইংল্যান্ড, এন্ড ওয়েলস হাইকোর্ট। প্রিন্সিপাল সলিসিটার অফ মওদুদ ল'চেম্বার্স সলিসিটর্স, লন্ডন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা ও এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
এছাড়াও তিনি বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান। বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান বলেন, ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে প্রতিটি ঘরে বিএনপি'র একত্রিশ দফা বার্তা নিরচ্ছন্ন ভাবে পৌছানোর দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়ীতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে একেকটি পরিবারের ও গ্রাম্য জীবন তথা উপজেলার সার্বিক জাতীয় সমস্যা, উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি সার্বিকভাবে ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কাজ করে যাবে। আমাদের স্লোগান ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে যেই আগামীর নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আসবে আমরা তার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবো। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রিহীন, অসৎ লোক, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এমন স্বার্থপর তথা জনগণের আস্থার পরীক্ষায় ফেল করা কোনো ব্যাক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে আমাদের প্রাণের সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র হাই কম্যান্ডসহ বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চাইবেন না। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী চাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পূর্বধলাসহ সারা বাংলাদেশে বিএনপি'র দলের হয়ে জনগণের সেবায় বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক। আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কঠিন ও কঠিনতর হবে। পেশিশক্তির দিন শেষ এবং দিন শেষে জনগণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিশ্বাস করি পূর্বধলার জনগণ জননেতা নির্বাচনে কোনোক্রমেই ভুল করবেনা। প্রাণের পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের নিমিত্তে অবশ্যই একজন সৎ, যোগ্য, দুর্নীতি বিরোধী, দেশপ্রেমিক, নিঃস্বার্থ একজন যোগ্য ব্যক্তিকে খোঁজে নেবে পূর্বধলাবাসী। সে জন্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বধলার মনোনয়ন বিএনপির হাইকমান্ড ভেবেচিন্তে নির্ধারণ করবে। সকল জাতীয়দাবাদী নেতৃবৃন্দ, কর্মী সমর্থক, শুভানুদ্ধায়ীদেরকে ধানের শীষের সমর্থনে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পূর্বধলা ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী দলীয় সংহতির ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের দৃপ্ত আহবান জানাই। ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই, একতাই বল। পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়নে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেতা তারেক রহমানের একত্রিশ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র মেরামতে ঐতিহাসিক ভাবে জাতীয় মুক্তির ভূমিকা পালনে সবাই অংশগ্রহণ করি। পূর্বধলার সকল সম্মানিত নাগরিকের আস্থা, ভালোবাসা, কল্যাণ ও পছন্দের প্রতীক হউক ধানের শীষ।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই। তাই শতভাগ আশাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন।
ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার ফলে সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।
এ লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পেইন-এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ওয়ার্কশপ ও সেশন। এর বাইরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের নারীদের জন্য সহজে ও সুলভ মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহরে সুবধর্িাথরে জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে ফ্রেশ অনন্যা।
ফ্রেশ অনন্যা-ই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন, যাতে রয়েছে ডাবল লেয়ারড অ্যাডভান্সড অ্যাবজর্পশন টেকনোলজি। সুবিধা ও উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে, ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এ ব্যবহার করা হয়েছে এয়ারলেইড পেপার এবং এডিএল লেয়ার। যা নিশ্চিত করে আরও দ্রুত শোষণ এবং সুরক্ষা। তাই পিরিয়ডের দিনগুলো কাটে আরও বেশি স্বস্তিতে।
ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ইত্যাদি।
ভারতে এবার উড়াল দেওয়ার পরই বিধ্বস্ত হয়েছে যাত্রীবাহী একটি হেলিকপ্টার। এতে, পাইলটসহ সাত আরোহী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় হেলিকপ্টারটি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।’
অ্যারিয়ান অ্যাভিয়েশন নামের একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার সংস্থার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ তীর্থপথের নিকটবর্তী একটি বনাঞ্চলে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাইলট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে আসা তীর্থযাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যাওয়ায় মরদেহগুলো মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
ভারতের অন্যতম চারটি তীর্থস্থানের একটি কেদারনাথ। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সেখানে ভ্রমণ করেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলটিতে পৌঁছাতে অনেকেই হেলিকপ্টার সেবার ওপর নির্ভর করেন।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটলো। মাত্র তিন দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দেশটির আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
এ ঘটনায় বিমানে থাকা ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রুর মধ্যে ২৪১জনই নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৭০ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিমানটি আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ছাত্ররা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে কর্মকর্তাদের ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন।
সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে সিইসি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আপনাদেরকে যতকাজ দিয়েছি, কোন কাজে আপনারা ব্যর্থ হননি। টাইম ফ্রেমের মধ্যেই আপনারা সব কাজ করেছেন। সুতরাং নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যা বাকি আছে, অনেকগুলো আমরা এগিয়ে নিয়েছি। আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়ে আছে। এখন সবাই মিলে ফিনিশিং দিতে হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিব, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, আমাদের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করা, আইন অনুযায়ী কাজ করা, বিবেক সম্মতভাবে কাজ করা।
সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা থাকব রেফারির ভূমিকায়। যারা খেলবে খেলুক। খেলে যারা জিতবে জিতুক।
আমাদের দায়িত্ব হবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে দেয়া। সেটা করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সবসময় বলে যাচ্ছেন, আমি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। কিসের ওপর ভিত্তি করে উনি কথাটা বলছেন। এই যে উনি ওয়াদাটা দিচ্ছেন, বিশ্বব্যাপী দিচ্ছেন। আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ওয়াদাটা দিচ্ছেন।’
সাতক্ষীরার আ.লীগের সংরক্ষিত আসেনের সাবেক এমপি রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বিলাশবহুল বাড়িতে ২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের মেজর ইফতেখার আহমেদ।
সাফায়াত সরোয়ার রুমন আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এবং তার মা রিফাত আমিন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ.লীগের সাবেক সভানেত্রী ও আ.লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ছিলেন।
যৌথবাহিনীর অভিযানের শুরুতেই দুইতলা হতে রুমন লাফিয়ে নিজতলা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন যৌথবাহিনী রুমনকে আটক করে বাড়িতে তল্লাশি করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
সেনাবাহিনীর মেজর ইফতেখার আহম্মেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ শতাধিক ইয়াবা বড়ি ও একটি রাইফেল, একটি তলোয়ার এবং মদ ও খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে এবং সাবেক এমপির ছেলে সাফায়াত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য