× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
নতুন শেয়ার লোকসান গুণে শিক্ষা হলো কি?
google_news print-icon

নতুন শেয়ার: লোকসান গুনে শিক্ষা হলো কি?

নতুন-শেয়ার-লোকসান-গুনে-শিক্ষা-হলো-কি?
গত ডিসেম্বর থেকে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি ডোমিনোস স্টিল, রবি ও এনার্জিপ্যাকের শেয়ার লেনদেন শুরুর পর থেকে ছুটেছে পাগলা ঘোড়ার মতো। বুধবার লেনদেন শুরু করা মীর আকতারের ক্ষেত্রে দর বৃদ্ধির হার কিছুটা কম। তার পরেও দুই দিনেই ৫৪ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে উঠছে ১০০ টাকায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর লেনদেনের শুরুতে ডোমিনোস স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, রবি আজিয়াটা ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারের মতো হুলুস্থুল হলো না মীর আকতার হোসাইন লিমিটেডের শেয়ারে।

আগের তিনটি কোম্পানির শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন শুরুর পর টানা দাম বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখা গেছে, মীর আকতারের ক্ষেত্রে সেভাবে দেখা যায়নি।

পরপর দুই কার্যদিবসে মীর আকতারের দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রথম দিন যতটুকু বাড়া সম্ভব, ততটুকু বাড়লেও দ্বিতীয় দিনে যতটুকু বাড়া সম্ভব, ততটুকু বাড়েনি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকাভুক্তির পর প্রথম দুই কার্যদিবসে ৫০ শতাংশ করে আর এরপর ১০ শতাংশ করে দাম বাড়া সম্ভব।

নানা সময় দেখা যায়, নতুন শেয়ার এলেই কোম্পানির মৌলভিত্তি, শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ও আয়, লভ্যাংশ দেওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা না করেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন অনেক বিনিয়োগকারী। আর এই হুলুস্থুল শেষে দাম কমে এলে তাদের অর্থ আটকে যায় দীর্ঘদিনের জন্য। কেউ কেউ বড় লোকসান দিয়ে বের হন।

চলতি বছর রবি তালিকাভুক্তির পর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে। গত ২৩ ডিসেম্বর লেনদেন শুরুর পর টানা ১৩ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়ে শেয়ারের দর এক পর্যায়ে ১০ টাকার শেয়ার পৌঁছে ৭৭ টাকায়। কিন্তু এর পরেই আবার উল্টো চিত্র। কমতে কমতে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকায়।

এনার্জিপ্যাকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। গত ১৮ জানুয়ারি লেনদেন শুরু করা ৩১ টাকা আইপিওর শেয়ার টানা পাঁচ কার্যদিবস বেড়ে হয় ৯২ টাকা। পরদিন সকালেই তা উঠে ১০১ টাকা ৮০ পয়সায়। সেদিনই বিকালে দাম কমে দাঁড়ায় ৮৩ টাকা ৪০ পয়সা।

এরপর ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এই শেয়ারের দর এখন ৫৯ টাকা ২০ পয়সা।

ডোমিনোস স্টিলের লেনদেন শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর। টানা আট কার্যদিবসে ১০ টাকার শেয়ার বেড়ে হয় ৪৩ টাকা ৩০ পয়সায়। এরপর থেকেই কমতে থাকে। এখন এই কোম্পানির শেয়ার দর ২৩ টাকা ৫০ পয়সা।


নতুন শেয়ার: লোকসান গুনে শিক্ষা হলো কি?

এই পরিস্থিতিতে মীর আকতারের শেয়ার লেনদেন শুরুর আগেই পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে নানা কথা লেখা হতে থাকে। নতুন শেয়ার নিয়ে সাবধান করেন অনেকে।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এই কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হয়েছে ৬০ টাকায়। ১০ শতাংশ ছাড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার পেয়েছেন ৫৪ টাকায়। এই হিসাবে প্রথম দিন ৮১ টাকা এবং দ্বিতীয় দিন ১২১ টাকা ৫০ পয়সা হতে পারত।

প্রথম দিনে ৮১ টাকায় লেনদেন হয়েছে কেবল ৩২০টি শেয়ারের। সেই হিসাবে আসল লেনদেন হয়েছে মূলত দ্বিতীয় দিনে। এদিন বিক্রি হয় ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯১টি শেয়ার।

কোম্পানিটি দুই কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার ছেড়ে ১২৫ কোটি টাকা তুলেছে। এই হিসাবে চার ভাগের একভাগের কিছু কম শেয়ার দুই দিনেই হাতবদল হলো।

আগের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে মীর আক্তারের শেয়ারের লেনদেনের পার্থক্য হলো, দ্বিতীয় কার্যদিবসে এই কোম্পানিটি শেয়ারমূল্য প্রান্তসীমা তো স্পষ্ট করেইনি, উল্টো উঠানামা কমেছে।

সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৯৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। দিন শেষে ১০০ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইপিও লেনদেনের শুরুতে সার্কিট ব্রেকার দেওয়া হয়েছে মূলত একদিনে যেন শেয়ারের দর অতিমূল্যায়িত না হয়। বিনিয়োগকারীরা যেন কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল (মৌলভিত্তি) বিবেচনা করে শেয়ার কিনতে পারে। কিন্তু আমাদের হয়েছে উল্টো। বিনিয়োগকারীরা মনে করেছেন এই কোম্পানির শেয়ারের দর ক্রমাগত বাড়ছে, আরও বাড়বে। শেয়ার কিনতে হবে। কারণ তারা যখন শেয়ারের দর বাড়ে তখনই বেশি করে কেনে।’

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘আগে লেনদেন শুরুর দিন কোন সার্কিট ব্রেকার ছিল না। ফলে প্রথম দিনই শেয়ারের দর দুই তিনশগুণ বেড়ে যেত। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতো বিনিয়োগকারীরা।

‘এখন তা হওয়ার সুযোগ নেই। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখানেও মিথ্যা শেয়ার কেনার চাহিদা তৈরি করে কারসাজি চেষ্টা করা হয়।’

তিনি জানান, রবির শেয়ার লেনদেন শুরুর পর একটি সন্দেহজনক ঘটনা তারা ধরেছেন।


নতুন শেয়ার: লোকসান গুনে শিক্ষা হলো কি?

একটি বিও হিসাব থেকে পাঁচ লাখ শেয়ার কেনার আদেশ দেয়া হয়। পরে বিএসইসি থেকে সেই ব্রোকারেজ হাউজ ও বিও হিসাবের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। পরে সেই ক্রয়াদেশ তুলে দেয়া হয়।

বিনিয়োগকারী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়তে থাকলেই গুজব ছড়ানো হয়, দর আরও বাড়বে। এতে শেয়ার কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

‘সদ্য তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানি নিয়ে এসব গুজব ছড়ানো হয়েছে। ফলে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল বিবেচনা না করেই সেসব কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন। যারাই শেয়ার কিনেছেন তারাই এখন লোকসানে।’

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লাভের আশায় এসব কোম্পানিতে অনেক বেশি বিনিয়োগ করেছে বিনিয়োগকারীরা। মূল্য সমন্বয়ে কিছু নতুন বিনিয়োগ হলেও কম লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বের হওয়ার প্রবণতাই বেশি এখন বিনিয়োগকারীদের।’

নতুন শেয়ারে হুমড়ি খেয়ে পড়ার সময় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ও সম্পদমূল্য কতটা বিবেচনা করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

রবি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর সময় দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল চার পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।

অন্যদিকে এনার্জিপ্যাক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রথম প্রান্তিকের পর ডায়ালুটেড ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) ৩৫ পয়সা। ডায়ালুটেড শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৪৮ টাকা ৭৪ পয়সা।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নতুন কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে এবং কখন শেয়ার কিনতে হবে সেটা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কেনা উচিত।’

২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলের শেয়ার কিনে বিপুল পরিমাণ লোকসানে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৭৫ টাকায় ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬৭ টাকায় যে শেয়ার পেয়েছেন, সেটির দাম কয়েক দিনেই উঠে যায় ১১১ টাকা ৬০ পয়সায়।

বেশি দামে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনেন ভালো মুনাফার আশায়। কিন্তু প্রথম বছরে শেয়ারপ্রতি এক টাকা নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও দ্বিতীয় বছর আবার এক টাকা নগদ মুনাফা দিয়েছে রানার।

এখন শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৬০ পয়সা।

২০ ডিসেম্বর লেনদেন শুরু করে বিমা খাতের কোম্পানি ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স। এই খাত নিয়ে এখন বাজারে চলছে নানা আলোচনা। প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।

বিমা খাতের চাঙাভাবের মধ্যে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের দাম লেনদেন শুরুর ১৩ দিনে উঠে যায় ৫৪ টাকায়। সেটিও কমে এখন লেনদেন হচ্ছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সায়।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেসব কোম্পানির শেয়ারের দর প্রথম বেড়ে আর বাড়ে না সেসব কোম্পানির ভালো নামে তালিকাভুক্ত হলেও আসলে তাদের ফান্ডামেন্টাল ভালো না। তাই বিনিয়োগকারীদেরও কোম্পানি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে যারা ইস্যু নিয়ে আসে তাদেরও জবাবদিহিতার মধ্যে থাকা ‍উচিত।’

আরও পড়ুন:
নতুন শেয়ারে হুলুস্থুল, পরে হতাশা
বিনিয়োগকারীদের কাছে ইউনাইটেডের ৭১ কোটি শেয়ার
মীর আক্তারের আইপিও লটারির ড্র বৃহস্পতিবার
শেয়ার বিক্রেতা নেই এনার্জিপ্যাকে, আগ্রহের শীর্ষে বিমা
ব্যাংকের শেয়ারে ফিরছে বিনিয়োগকারীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Open discussion in Madaripur demanding stay in Dhaka Division

ঢাকা বিভাগে থাকার দাবিতে মাদারীপুরে উম্মুক্ত আলোচনা

ঢাকা বিভাগে থাকার দাবিতে মাদারীপুরে উম্মুক্ত আলোচনা

মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিভাগ ছাড়ব না, অন্য বিভাগে যাব না-ব্যানার ও স্লোগানে এক উম্মুক্ত আলোচনা সভা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর পৌর কমিনিউটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী, মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ ৪ উপজেলার মানুষ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মাদারীপুর জেলাকে ঢাকা বিভাগ থেকে নবগঠিত ফরিদপুর জেলার সাথে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন গণমাধ্যম, পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন উম্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাদারীপুর জেলা বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা থেকে ১৯৮৪ সালে স্বতন্ত্র একটি আলাদা জেলা হিসেবে গঠিত হয়েছিল। তখন থেকে মাদারীপুর একটি সম্পূর্ণ আলাদা জেলা। এ জেলার মানুষের চলাচল, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিসিয়াল কাজ-কর্ম, সংস্কৃতি সবই ঢাকার সাথে হয়ে থাকে। মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরে এ জেলার মানুষের তেমন কোনো চলাচল নেই। পদ্মা ব্রিজ মাদারীপুর অংশ থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ৩৭ কি. মি. এবং মাদারীপুরের শেষাংশ টেকেরহাট বন্দর থেকে ফরিদপুরের দূরত্ব ৫০ কি.মি.। আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা মাদারীপুরবাসী ফরিদপুর বিভাগে যাব না, আমরা ঢাকা বিভাগেই থাকব, প্রয়োজনে এ জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত। তারা আরও বলেন, এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না এলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব, প্রয়োজনে রক্তও যদি দিতে হয় তবে তাই দেব- ঢাকা বিভাগ ছাড়ব না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The family of two families suffer from voluntary

দুই পরিবারের স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তিতে ১০০ পরিবার

এলাকাবাসীর মানববন্ধন
দুই পরিবারের স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তিতে ১০০ পরিবার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই পরিবারের স্বেচ্ছাচারিতায় রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক পরিবার। বাধ্য হয়ে রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহাম্মদ আলী প্রধান প্লাজার সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিল। মানববন্ধন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি আব্দুল্লাহপুর গ্রাম থেকে শুরু হয়ে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা দোলোয়ার হোসেন, শুধু দুটি পরিবারের জন্য আমরা প্রায় একশটি পরিবারের ছয় শতাধিক সদস্য অবর্ণীয় দুর্ভোগে রয়েছি। বারবার তাদের রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হলেও তারা আমাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন জনগণের রাস্তার জায়গা বন্ধ করে ওই জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে তাই বাধ্য হয়ে আমাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মাত্র দুটি পরিবারের জন্য একশ পরিবারের মানুষ জিম্মি হয়ে রয়েছে। দুটি পরিবারে আপত্তিতে ১০০০ ফুট রাস্তার ৮২ ফুট বাদে বাকি অংশের কাজ শেষ হয়েছে দীর্ঘদিন। আমাদের অবস্থা এ রকম একজন মানুষ মারা গেলে তার খাটিয়া বের করা যায় না। একজন লোক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাস্তার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে আমরা মাঠে নেমেছি।’

প্রসঙ্গত ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাউশিয়া বহুমুখী উন্নয়ন সমিতি মার্কেটের পিছনে যারা বসতি তৈরি করেছেন তারা মূলত বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষ। শুরুতে বিক্ষিপ্তভাবে বসতি তৈরি করলেও বর্তমানে এটি একটি গ্রাম যার নাম আব্দুল্লাহপুর। সম্প্রতি ওই দুই পরিবারের সদস্যরা রাস্তাটির এই অংশ দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে থাকলে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Shardi Durgobas ended with the immersion of the idol

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
চন্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। পরবর্তী ৫ দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।
সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে বুড়িগঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। একই সময়ে তুরাগ নদীতে চলে বিসর্জন। সড়কে পুলিশের টহল ও নদীতে ছিল নৌপুলিশের টহল। ফায়ার সার্ভিসের টিমও দায়িত্ব পালন করে।
এদিকে গতকাল দুপুরে পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বের হয় বর্ণাঢ্য এক বিজয়া শোভাযাত্রা। বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিতে দুপুরের পর থেকেই ভক্তরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন পলাশীর মোড়ে।
পরে শত শত ট্রাক প্রতিমা নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। ঢাকেশ্বরী থেকে শুরু করে প্রতিমা যাত্রাটি শহীদ মিনার, হাইকোর্ট, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, গোলাপ শাহ মাজার, কোর্ট এলাকা হয়ে সদরঘাট পৌঁছে। রাস্তায়, বিভিন্ন ভবনে পুলিশ ছিল সতর্কাবস্থায়। রাস্তার পাশে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হলেও ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিমাটি রেখে দেয়া হয়। কিন্তু পূজার কাজে ব্যবহৃত দেবীর ফুল, বেলপাতা ও ঘট বিসর্জন দেয়া হয়।
প্রথা অনুযায়ী প্রতিমা বিসর্জনের পর সেখান থেকে জল এনে (শান্তিজল) মঙ্গল ঘটে নিয়ে তা আবার হৃদয়ে ধারণ করা হয়। আগামী বছর আবার এ শান্তিজল হৃদয় থেকে ঘটে, ঘট থেকে প্রতিমায় রেখে পূজা করা হবে। রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ধ্যা আরতির পর মিশনের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এরপর ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করেন ও মিষ্টিমুখ করেন।
সারাদেশে এ বছর ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৫৮ টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্বেচ্ছাসেবক কমিটি করা হয় মণ্ডপ পাহারার জন্য।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BNP leader VP Jasims premature death of district and metropolitan BNP

বিএনপি নেতা ভিপি জসীমের অকাল মৃত্যুতে জেলা ও মহানগর বিএনপির শোক

বিএনপি নেতা ভিপি জসীমের অকাল মৃত্যুতে জেলা ও মহানগর বিএনপির শোক

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসীম উদ্দীন (৫৬) মারা গেছেন।
তার অকাল মৃত্যুতে জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপি শোক প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাবেরা আলাউদ্দিন। ভিপি জসীম উদ্দীন তার দেবর।
তিনি জানান, গত রোববার রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ব্রেনস্ট্রোক করলে দ্রুত তাকে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি।
মৃত্যুকালে ভিপি জসীম উদ্দীন এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন,বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া তাহের সুমন, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সাবেক মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহবুবুল আলম চপল, বিএনপির কুমিল্লা দঃজেলার নব কমিটির সদস্য মোজাহিদ চৌধুরী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Watermelon bins beam and lou

তরমুজ-বাঁশি-বেগুন ও লাউসহ এনসিপিকে ৫০ প্রতীকের তালিকা ইসির

তরমুজ-বাঁশি-বেগুন ও লাউসহ এনসিপিকে ৫০ প্রতীকের তালিকা ইসির

৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিজেদের মার্কা বাছাই করতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে ইসির দেওয়া ৫০টি প্রতীকের তালিকায় নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী শাপলা অন্তর্ভুক্ত নেই।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এনসিপি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে, যা প্রাথমিক পর্যালোচনায় বিবেচিত হয়েছে। আবেদনপত্রে প্রতীক হিসেবে পছন্দের ক্রমানুযায়ী শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন উল্লেখ করা হয়; যা পরে পরিবর্তন (শাপলা, লাল শাপলা বা সাদা শাপলা) করা হয়। উল্লেখ্য, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯ (১) অনুযায়ী প্রার্থিত প্রতীক শাপলা অন্তর্ভুক্ত নেই।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার বিধান উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আদেশ বা বিধিমালার অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনও দল মনোনীত সব প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত প্রতীক থেকে পছন্দ করা যেকোনও একটি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে এবং এইভাবে বরাদ্দ করা প্রতীক দলটির জন্য সংরক্ষিত থাকবে, যদি না তারা পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত প্রতীকগুলোর মধ্য থেকে অন্য কোনও প্রতীক লাভের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে। দলের নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১)-এ উল্লিখিত প্রতীকের তালিকা থেকে বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

যে ৫০টি প্রতীক থেকে এনসিপিকে তাদের মার্কা পছন্দ করতে বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে– আলমারি, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ি, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রথমে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোনের যেকোনও একটি প্রতীক তাদের দেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। তার কিছু দিন পর সে আবেদনে সংশোধন এনে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা দেওয়ার আবেদন করে।

এদিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসি সচিব বলেছেন, এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। আমাদের ১১৫টার যে শিডিউল করা হয়েছে সেখানে শাপলা প্রতীক নেই। নিয়মটা হলো, সংরক্ষিত প্রতীক যেটা আছে সেটার ভেতর থেকে একটা নিতে হবে। সে প্রতীকে যদি শাপলা না থাকে তাহলে দেওয়ার সুযোগটা কোথায়?

গত ২২ সেপ্টেম্বর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আমরা আজও শাপলা, সাদা শাপলা, লাল শাপলা চেয়েছি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরছি না। এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এই তিনটি প্রতীকের মাধ্যমেই নিবন্ধন হতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
I will not give a discount to any destroyer in Bangladesh in Bangladesh RAB Director General

সম্প্রীতির বাংলাদেশে কোনো নাশকতাকারীকে ছাড় দেব না: র‌্যাব মহাপরিচালক

সম্প্রীতির বাংলাদেশে কোনো নাশকতাকারীকে ছাড় দেব না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) এর মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, সারাদেশে ৩৩ হাজারের উপরে পূজামণ্ডপ রয়েছে। আমরা তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এটা শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ না। আপনারা যারা সুধী সমাজের ও রাজনৈতিক নেতারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, পূজামণ্ডপের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামোটি ভালোভাবেই পূজা সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের সম্প্রীতির বাংলাদেশ ও সকল ধর্মের বাংলাদেশে কোনো নাশকতাকারীকে আমরা কোনোভাবে ছাড় দেব না।

গত বুধবার বিকেলে নারাণগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপের মধ্যে ৪৯টি মণ্ডপে কিছু নাশকতাকারী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। তবে আমরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত ১৯ জনের বেশি নাশকতাকারীকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব এখন পর্যন্ত যেভাবে চলেছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সবচেয়ে ভালো হতো যদি এই ধরণের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে না থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেদিন আমরা পালন করতে পারবো, সেদিনই প্রকৃত আনন্দ হবে। এখন আমাদের এভাবেই করতে হচ্ছে। আশা করি, সেদিন আসবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিএনপি নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনসহ প্রমুখ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Feni is celebrated on the anniversary of the Diabetic Association

ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমিতির সম্মেলন কক্ষে কেক কেটে আলোচনা সভার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। গত বুধবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির এডহক কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই বর্ণীল আয়োজনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সহসভাপতি ও সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম, এডহক কমিটির সদস্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠাকালীন গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরেন বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. তবারক উল্ল্যা চৌধুরী বায়েজিদ, আজীবন সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, সাহাব উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ ও মো. শাহ আলম বাদল। বক্তব্যে সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন কার্যনির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদসহ সকল পর্যায়ের সদস্যদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করা হয়। প্রয়াত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

এছাড়া বক্তারা সামাজিক প্রতিষ্ঠানটির সেবামূলক কার্যক্রম যাতে অক্ষুন্ন থাকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

এডহক কমিটির কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন খান এবং সদস্য ডা. নুর মোহাম্মদ ও মোহাং নাছির উদ্দিন (তছলিম), নবীন ও প্রবীণ আজীবন সদস্যরা এবং এই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে