× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বিএটিবিসি বার্জারে মুনাফা পেতে দুই বছর
google_news print-icon
বেশি বোনাসের করুণ পরিণতি-৬

বিএটিবিসি, বার্জারে মুনাফা পেতে দুই বছর

বিএটিবিসি-বার্জারে-মুনাফা-পেতে-দুই-বছর
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টস ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কারখানা ও কার্যালয়ের ছবি।
লভ্যাংশ হিসেবে অনেক বেশি হারে বোনাস শেয়ার দেয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারে শেয়ারদর উল্লম্ফনের প্রবণতা আছে। কিন্তু উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীরা বড় অঙ্কের লোকসান দেন। তবে বহুজাতিক দুটি কোম্পানি বড় অঙ্কের বোনাস ঘোষণার পরও দাম ধরে রাখতে পেরেছে। পাশাপাশি শেয়ারসংখ্যা কয়েক গুণ বাড়ানোর পরও নগদে লভ্যাংশ বাড়াতে পেরেছে তারা।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো এক বছরের জন্য শতভাগ বা তার চেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিএটিবিসি ও বার্জার পেইন্টের শেয়ার মুনাফা দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। তবে এ জন্য দুই বছর সময় লেগেছে।

অবশ্য ব্যাপক আকারে বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার পাশাপাশি কোম্পানি দুটি প্রতিবছরই আকর্ষণীয় হারে নগদেও মুনাফা দিয়েছে। বোনাস দিয়ে শেয়ারসংখ্যা বাড়ালেও নগদ মুনাফা কমেনি কোনো কোম্পানির।

২০১০ সালে ৫০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে এক বছর পাঁচটি বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর আকাশচুম্বী দরে শেয়ার কিনেও লোকসান হয়নি বিনিয়োগকারীদের।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেছেন, কোনো কোম্পানি যদি সত্যিকার অর্থে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় এবং এর অংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার ইস্যু করে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চায়, তাহলে লোকসান হওয়ার কারণ নেই। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এই কাজই করেছে।

গত তিন বছরে পরিশোধিত মূলধন সবচেয়ে বেশি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএটিবিসি। ৬০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন তিন গুণ বাড়িয়ে ২০১৮ সালে সমাপ্ত বছরের জন্য ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি। সঙ্গে ঘোষণা করে ৫০০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৫০ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ।

সে সময় কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে হয় ৪ হাজার ৭৭৬ টাকা। লভ্যাংশ দেয়ার পর সমন্বয় দর দাড়ায় ১ হাজার ৫৯২ টাকা।

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আবার ২০০ শতাংশ বোনাস প্রস্তাব করার পর এই শেয়ারের সমন্বিত দাম দাঁড়ায় ৫৩০ টাকা ৭০ পয়সা। এখন দাম তার চেয়ে বেশি।

তবে প্রথমবার কিন্তু মূল্য সমন্বয়ের পর এই দর ধরে রাখতে পারেনি কোম্পানিটি। পরের বছর একপর্যায়ে এক হাজার টাকার মধ্যে চলে আসে তা। ওই বছর কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৪০ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

বিএটিবিসি, বার্জারে মুনাফা পেতে দুই বছর
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়

অর্থাৎ শেয়ার সংখ্যা তিন গুণ করার পরও নগদ লভ্যাংশ আগের তুলনায় কমেনি, বরং বেড়েছে। আগের বছর একটি শেয়ার তিনটি হওয়ার পর নগদ তুলনার হিসাবে নগদে লভ্যাংশ প্রায় আড়াই গুণ হয়ে যায়। তবু শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় উৎকণ্ঠাতেই থাকে বিনিয়োগকারীরা।

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পুঁজিবাজারে যে ধস নামে তাতে বিএটিবিসির শেয়ার দাম আরও পড়ে যায়। একপর্যায়ে তা নেমে যায় ৮২৮ টাকা ৭০ পয়সায়।

পরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর শেয়ারদর আবার বাড়তে থাকে। আর ২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আবার বড় অঙ্কের বোনাস শেয়ার দিতে পারে, এমন গুঞ্জন ছড়ানোর পর শেয়ারদর আবার বাড়তে থাকে।

এই বছরের জন্য আবার ২০০ শতাংশ বোনাস ও শেয়ারপ্রতি ৬০ টাকা নগদ (৩০ টাকা দেয়া হয় অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে) লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারদর ১ হাজার ৮০০ টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়। তবে রেকর্ড ডেটের আগে তা কমতে কমতে এবার ১ হাজার ৫৫৪ টাকায় নামে।

করোনা সংক্রমণের পর শেয়ারমূল্যে ধস ঠেকাতে যে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়া হয়, তাতে ঠিক হয় বিএটিবিসির সর্বনিম্ন দাম হবে ৯০৬ টাকা ৭০ পয়সা। তবে বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর এই দাম এখন হয়েছে ৫১৮ টাকা।

বোনাস সমন্বয়ের পর দাম এর চেয়ে বেশি বেড়েছে পর পর দুই কার্যদিবস বেড়ে দাম ৫৯৮ টাকা ৫০ পয়সা হয় ৭ মার্চ। পরের দিন দাম ৬১৮ টাকা থেকে উঠে আবার দাম পড়তে থাকে। বুধবার ৫৬৭ টাকা ৮০ পয়সায় ক্লোজ হয়।

২০১৮ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার পর যারা সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি কিনেছেন, তাদের শেয়ারসংখ্যা ৯ গুণ হতে যাওয়া অবস্থাতেও শেয়ারপ্রতি ৩৭ টাকার মতো লাভে আছেন। পাশাপাশি সমন্বিত শেয়ারের হিসাবেও শেয়ারপ্রতি ৩৯ টাকার বেশি নগদে মুনাফা পেয়েছেন।

মুনাফা দিয়েছে বার্জারও

আরেক বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ বোনাস ও ২০০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২০ টাকা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তখন কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় তিন হাজার টাকা হয়ে যায়।

মূল্য সমন্বয়ের পর দাম প্রায় দেড় হাজার টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়। যদিও পরে সে দাম কোম্পানিটি ধরে রাখতে পারেনি। একপর্যায়ে তা কমে হয়ে যায় ১ হাজার ২০৮ টাকা।

তবে এখন সমন্বয় করা দামের চেয়ে এই কোম্পানির শেয়ারদর বেশি। বুধবার কোম্পানিটির লেনদেন শেষ হয় ১ হাজার ৯২৫ টাকায়। যদিও পরদিন দাম ১০০ টাকার মতো কমে যায়।

তারপরও যারা ২০১৮ সালের লভ্যাংশ নিতে সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি কিনেছেন, তারাও এখনও বেশ ভালো লাভে আছেন।

বিএটিবিসি, বার্জারে মুনাফা পেতে দুই বছর
বার্জার পেইন্টসের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া ছবি

বিএটিবিসির মতোই শেয়ারসংখ্যা বাড়ানোর পরেও বার্জারের বিনিয়োগকারীরা নগদে মুনাফা আগের চেয়ে কম পাননি, বরং বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

২০১৯ সালের জন্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি ২৫০ শতাংশ অর্থাৎ ২৫ টাকা এবং ২০২০ সালের জন্য শেয়ারপ্রতি ২৯৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৯ টাকা ৫০ পয়সা নগদে লভ্যাংশ পেয়েছেন।

২০১৮ সালের বোনাস হিসাব করলে নগদের এই মুনাফা ওই বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

মুনাফা দিয়েছে ফার্মা এইডও

ওষুধ ও রাসায়ন খাতে কোম্পানি ফার্মা এইড ২০১০ সালে ফার্মা এইড ৫০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে পাঁচটি বোনাস শেয়ার দেয়ার পর ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি ১৮ হাজার ৭০০ টাকা হয়ে যায়।

সেদিন যারা কেনেন, তাদের সমন্বয় করা দাম পড়ে ৩ হাজার ১১৬ টাকা। ১০ টাকা অভিহিত মূল্য হওয়ার পর সে দাম দাঁড়ায় ৩১১ টাকা ৬০ পয়সা।

বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪১৩ টাকা। এই কোম্পানিটি ২০১৫ সালে শেয়ারপ্রতি আড়াই টাকা, পরের বছর তিন টাকা, ২০১৭ সালে সাড়ে তিন টাকা এবং ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের জন্য ৫০ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়ও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি আয় যেখানে ছিল ৭ টাকা ৫২ পয়সা, সেটি বাড়তে বাড়তে ২০২০ সালে হয় ১৬ টাকা ৮২ পয়সা।

করোনা সংক্রমণের মধ্যেও গত ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা কম।

বেশি বোনাসে ব্যাপক লোকসান যেসব কোম্পানিতে

এই তিনটি কোম্পানিতে উচ্চমূল্যে লাভ হলেও গত কয়েক বছরে যেসব কোম্পানি ১০০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার দিয়েছে, সেগুলোর শেয়ার উচ্চমূল্যে কিনে পকেট ফাঁকা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

মুন্নু অ্যাগ্রোর ২০১৮ সালে ৩৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে শেয়ার মূল্য প্রায় ছয় হাজার টাকা উঠে যায়। কিন্তু কোম্পানিটি ব্যবসা বাড়াতে পারেনি। পরের দুই বছরে তারা যথাক্রমে ২০ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়। কিন্তু তাদের আয় ক্রমেই কমছে। বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানে আছেন।

আরেক আলোচিত কোম্পানি স্টাইলক্রাফট ২০১৭ সালের জন্য ৮০ শতাংশ, ২০১৮ সালের জন্য ৪১০ শতাংশ, ২০১৯ সালের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস দিয়ে তিন বছরেই শেয়ার সংখ্যা ২৩ গুণ করে। কিন্তু তারাও ব্যবসা বাড়াতে পারেনি। উল্টো ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি ৯৫ টাকা মুনাফা করা কোম্পানিটি পরিণত হয়েছে লোকসানিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তারা শেয়ার প্রতি এক টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে।

২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুই বছরের মধ্যে শেয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন গুণ করে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে জেমিনি সি ফুড। বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে কোম্পানিটি গত বছর কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে লোকসান আরও বেড়েছে।

২০১৭ সালে প্রথমবার ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২০ টাকা ৭১ পয়সা। পরের বছর ১৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার বছরে আয় কমে হয় ১৩ টাকা ৬ পয়সা। ২০২০ সালে সেই কোম্পানি শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৯ টাকা ৮৩ পয়সা।

ব্যাংকিং খাতের ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রায় এক দশক পরে ২০১৮ সালে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়। এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ওই বছর শেয়ারদরও বেড়ে যায় শতভাগের বেশি। উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে এখন বিপাকে বিনিয়োগকারীরা।

২০১৩ সালে তালিকাভুক্তির পর ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়ে আলোচনায় আসা ফ্যামিলি টেক্সের বিনিয়োগকারীরা আরও বিপাকে। ওই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারদর ৭৪ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও পরে মালিকরা ঘোষণা না দিয়ে উচ্চমূল্যে শেয়ার বিক্রি করে লাপাত্তা হয়ে যান। এখন শেয়ারদর কমতে কমতে দুই টাকার ঘরে নেমেছে।

বিশ্লেষক মত

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত এই অর্থনীতিবিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের বোনাস শেয়ারের নামে যা হয়েছে তা পুরোটাই আইনবহির্ভূত। নিয়ম হচ্ছে, কোম্পানির চাইলেই বোনাস দিতে পারবে না, কেন দিতে চাচ্ছে তার কারণ জানাতে হবে। সেটি কতটা যৌক্তিক সেটিও মনিটরিং থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএসইসির অনেক দায়িত্ব আছে। কিন্তু আগের যে কমিশন ছিল, তারা সেটি ভালোভাবে পরিপালন করেনি।’

দেশীয় কোম্পানিগুলো শেয়ারদর ধরে রাখতে না পারলেও বিদেশি কোম্পানিগুলো পারছে কেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোম্পানি বোনাস শেয়ার দেবে যখন কোম্পানির হাতে টাকা থাকবে এবং তার উদ্দেশ্য থাকবে কোম্পানি সম্প্রাসারণ করে আয় বাড়াবে। কিন্ত দেশীয় কোম্পানিগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বোনাস দেয় ক্যাটাগরির ধরে রাখতে। কিন্তু বিদেশি কোম্পানিগুলো বোনাস দেয়ার পরপরই তারা কোম্পানি সম্প্রসারণের খবর প্রকাশ করে। ফলে তাদের শেয়ারদরে কোনো প্রভাব পড়ে না।’

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্যের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোম্পানি সম্প্রসারণের কথা বলে বোনাস দিয়ে সেই অর্থ বিনিয়োগ করে না। ফলে কোম্পানির আয় বাড়ে না। এতে সার্বিক কোম্পানি ও শেয়ারদরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বিএসইসিকে অনেক আগেই বলেছিলাম যেসব কোম্পানি নূন্যতম পাঁচ বছর টানা নগদ লভ্যাংশ দেবে না তাদের যেন বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমতি না দেয়া হয়। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েই দুই-তিন বছর টানা বোনাস দিয়ে পরে আর টিকে থাকতে পারে না। কিন্তু বড় অঙ্কের বোনাস লভ্যাংশ প্রলোভনে শেয়ারদর বাড়লেও পরে তা আর টিকে না। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।’

শেষ পর্বে থাকছে নগদ লভ্যাংশে জোর দিচ্ছে বিএসইসি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
ECNEC meeting chaired by the chief adviser

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Coxs Bazar Airport will start partially in international flights in mid October

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরুর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী।

রবিবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।

চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা আজকে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় টার্মিনাল ও সাগরের বুকে নির্মিত হওয়া রানওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি। তাতে মনে হয়েছে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'কত শতাংশ কাজ শেষে তা বলা না গেলেও তবে মাঝামাঝি সময়ে শুরু করা সম্ভব। যার জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইউনূছ ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
What is the income property of Baghdan Sachin son Arjun at the age of 20?

২৫ বছর বয়সেই বাগদান, শচীনপুত্র অর্জুনের আয়-সম্পত্তি কত?

২৫ বছর বয়সেই বাগদান, শচীনপুত্র অর্জুনের আয়-সম্পত্তি কত?

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ঘরে এবার বাজতে যাচ্ছে বিয়ের শানাই। তবে বোন সারা টেন্ডুলকার নয়, প্রথমেই আংটি বদল করলেন ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ২৫ বছর বয়সেই বাগদান সম্পন্ন করেছেন তিনি। পাত্রী ভেটেরিনারি চিকিৎসক সানিয়া চান্দোক।

গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হওয়া এই বাগদান অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই অর্জুন-সানিয়ার সম্পর্ক ছিল। এর আগে একাধিকবার অর্জুনের ম্যাচে দেখা গেছে সানিয়াকে। সারার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।

সানিয়া চান্দোক ভারতের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী রবি ঘাইয়ের নাতনি। তাদের হোটেল ও আইসক্রিম ব্যবসা রয়েছে। পশু চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি সানিয়া একজন উদ্যোক্তাও। তার নিজস্ব পোষা প্রাণীর স্কিন কেয়ার ও স্পা সেন্টার পরিচালনা করেন তিনি। বয়সে তিনি অর্জুনের চেয়ে এক বছরের বড়।

অর্জুন অবশ্য বাবার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম করতে পারেননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত খেলছেন গোয়ার হয়ে। ২০২৩ সালে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তিনি খেলেছেন ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৫৩২ রান ও নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। ঘরোয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যা ৪২।

আইপিএল থেকে অর্জুনের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বর্তমানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছ থেকে তিনি বছরে ৩০ লাখ টাকা পান। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আসে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো আয় করেন তিনি।

তবে পারিবারিক সূত্রেই অর্জুনের সম্পদ এখন প্রায় ২২ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনি থাকেন মুম্বাইয়ের সেই বাড়িতে, যেটি ২০০৭ সালে শচীন কিনেছিলেন প্রায় ৩৯ কোটি টাকায়। ছোটবেলা থেকেই বিলাসবহুল পরিবেশে বেড়ে ওঠা অর্জুনের জীবনযাত্রা তাই নিজের আয়ের সঙ্গে তুলনামূলক নয় বলেই মনে করছে গণমাধ্যম।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rickshaw driver arrested from Dhanmondi 12 has not been charged in the murder case DMP

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: ডিএমপি

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: ডিএমপি

ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে (২৭) হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া সেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে মো. আজিজুর রহমান (২৭) নামের এক রিকশাচালককে গত ১৫ আগস্ট আটক করা হয়। এর পরদিন সন্দেহজনক একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মো. আজিজুর রহমানের গ্রেপ্তার ও মামলা নিয়ে অহেতুক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আটক মো. আজিজুর রহমানকে যে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তা পেনাল কোডের একটি নিয়মিত মামলা। কিন্তু অনেকেই বিষয়টিকে হত্যা মামলা হিসেবে প্রচার করছেন, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।

এ বিষয়ে কোনোরকম বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ করে হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Full draft of the July Charter to the political parties

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রেরণ

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রেরণ

জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ, সমন্বিত ও সংশোধিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

খসড়াটি সম্পর্কে যে কোনো মতামত আগামী ২০ আগস্ট বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

গতকাল (শনিবার) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

খসড়া সনদটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে একটি পটভূমি, সংস্কার কমিশনসমূহ গঠন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন ও এর কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ঐকমত্যে উপনীত হওয়া বিষয়সমূহ এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা রয়েছে।

পটভূমিতে বলা হয়েছে, '১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতিকে ধারণ করে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, দীর্ঘ ৫৩ বছরেও তা অর্জন করা যায়নি। কারণ, শাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সংস্কৃতি বিকাশের ধারা বারবার হোঁচট খেয়েছে।'

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের নানা কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, 'বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন একটি দলীয় সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করতে থাকে। তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, নিপীড়ন-নির্যাতন, মামলা, হামলার মাধ্যমে একটি নৈরাজ্যকর ও বিভীষিকাময় ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব কায়েম করে।'

খসড়ায় সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্তকরণ, জরুরি অবস্থাকালীন সময়ে নাগরিকের জীবনের অধিকার ও ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ খর্ব না করা, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সময় কোনো ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পদে না থাকা, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে যত মেয়াদ বা যত বারই হোক সর্বোচ্চ ১০ বছর থাকতে পারবেন এবং প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একইসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না - এই বিধান সংবিধানে যুক্তকরণ- ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, 'মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার পরবর্তী নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ৫৮ (খ) সংশোধনপূর্বক সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে ভঙ্গ হওয়ার পরবর্তী পনের (১৫) দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক ৯০ দিন। তবে দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও সর্বোচ্চ ৩০ দিন দায়িত্ব পালন করতে পারবে।'

রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত, আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ের মোট ৮৪টি প্রস্তাবিত দফা উল্লেখ করে এতে সুনির্দিষ্টভাবে ঐকমত্য, ও নোট অভ ডিসেন্টসহ কোন রাজনৈতিক দলের কি মতামত সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।

সবশেষে রয়েছে 'জুলাই জাতীয় সনদ,২০২৫' বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা।

অঙ্গীকারনামার শুরুতেই বলা হয়েছে, 'যেহেতু বাংলাদেশের সাংবিধানিক কনভেনশনের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সংবিধান না থাকা সত্ত্বেও ওই সময়ের সব কার্যাবলী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সন্নিবেশিত করে এর আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান করা হয় এবং একইভাবে যেহেতু ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানোত্তর সময়ে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ, অতঃপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণ এবং পরবর্তীকালে প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যাওয়া সংক্রান্ত কোনো আইনি কাঠামো না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের রূপরেখা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ওই ধরনের কার্যাবলীকে বৈধতা দিয়ে পরবর্তী সংসদ গণ-অভ্যুত্থানে প্রদত্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে সাংবিধানিক কনভেনশন এবং গণতন্ত্রকে সংহত করে; সুতরাং উল্লেখিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সাংবিধানিক কনভেনশন বজায় রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাক্ষরকারীরা এই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করবেন।'

সমন্বিত খসড়ায় থাকা অঙ্গীকারগুলো হলো-

১) জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।

২) এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ; তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় আমরা রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট ও সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছি বিধায় এই সনদের সকল বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করব এবং বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে।

৩) এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

৪) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ ’-এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

৫) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব।

৬) আমরা ঐকমত্যে স্থির হয়েছি যে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত; ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

৭) আমরা সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করছি যে, রাষ্ট্র ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

৮) আমরা এই মর্মে একমত যে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর যে সকল প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই জাতীয় সনদের আইনী বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞজনের সাথে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদের মধ্যে রয়েছেন দেশ-বিদেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Two people were detained with five thousand Yaba from the cricket bat at Coxs Bazar Airport

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে বিমানবন্দরের কর্মিরা; যাদের মধ্যে একজন বিমানবন্দরের চাকুরিচ্যুত কর্মি।

রোববার সকাল সোয়া ১০ টায় বিমানবন্দরে মালামাল তল্লাশীর সময় তাদের আটকের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।

আটকরা হল, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন (২৬) এবং বরিশাল জেলার বাসিন্দা তানভীর আহমদ (৩০)। এদের মধ্যে তানভীর বিমানবন্দরেক চাকুরিচ্যুত কর্মি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের বরাতে ইলিয়াস খান বলেন, আটকরা বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা নামের বিমান পরিবহন সংস্থার একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তারা ফ্লাইটে উঠতে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। এসময় বিমানবন্দরের কর্মিরা যাত্রীদের মালামাল তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

এতে ব্যাগ ও মালামাল স্কেনিং করার সময় ক্রিকেট ব্যাটের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৫ হাজার ১০০ টি ইয়াবা পাওয়া বলে জানান ওসি।

ইলিয়াছ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে