× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
তিন বছরে শেয়ার ২৩ গুণ করে ডুবল স্টাইলক্রাফট
google_news print-icon
বেশি বোনাসের করুণ ফল-২

তিন বছরে শেয়ার ২৩ গুণ করে ডুবল স্টাইলক্রাফট

তিন-বছরে-শেয়ার-২৩-গুণ-করে-ডুবল-স্টাইলক্রাফট
বস্ত্র খাতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আয় করে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা স্টাইলক্রাফট ২০১৬ সালে ৮০ শতাংশ, পরের বছর ৪১০ শতাংশ আর ২০১৯ সালে ১৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়। সেই কোম্পানি এখন লোকসানি।

ব্যাপক বোনাস শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে লোকসানে পড়েছে বস্ত্র খাতের প্রখ্যাত কোম্পানি স্টাইলক্রাফট।

পাঁচ বছর আগে যে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৯৫ টাকা, সেই কোম্পানির শেয়ারসংখ্যা প্রায় ২৩ গুণ বাড়ার পর এখন তা লোকসানি।

ব্যাপক লাভজনক কোম্পানিটি লোকসানে পড়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে যারা কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করেছে, তারাও এখন হতাশ।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি প্রতিবছর ব্যাপক মুনাফা করে আলোচিত ছিল। মাত্র ৬০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৯৫ টাকা মুনাফা করে চমক দেখায়।

এরপর থেকে টানা তিন বছর ব্যাপক হারে বোনাস শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা করে। শেয়ারসংখ্যা ৬ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজারের বেশি।

পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে কোম্পানি সম্প্রসারণ হবে, এই আশায় উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা হয়েছে।

ঈর্ষণীয় মুনাফা থেকে ক্রমাগত ডুবতে থাকার কারণ জানতে কোম্পানি সচিব এডমান্ড গোডার নম্বরে বহুবার কল করলেও কেউ ফোন ধরেননি।

তবে গত ১ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির পক্ষ থেকে লোকসানের একটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয়। সেদিন বলা হয়, শেয়ারপ্রতি আয়ে ব্যাপক পরিবর্তনের কারণ কোভিড নাইনটিনের কারণে বিক্রি কমে যাওয়া।

এর আগে ব্যাপক হারে বোনাস শেয়ার দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে কোম্পানি সম্প্রসারণের কথা জানানো হয়।

তিন বছরে শেয়ার ২৩ গুণ করে ডুবল স্টাইলক্রাফট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ। ছবি: চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রা থেকে নেয়া।



পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের বোনাস শেয়ারের নাম যা হয়েছে তা পুরোটাই আইনবহির্ভূত। নিয়ম হচ্ছে, কোম্পানি চাইলেই বোনাস দিতে পারবে না। কেন বোনাস দিতে চাচ্ছে, তার কারণ অবশ্যই জানাতে হবে। এবং সেটি কতটা যৌক্তিক তা-ও দেখতে হবে, থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিএসইসির অনেক দায়িত্ব আছে। কিন্তু আগের যে কমিশন ছিল, তারা সেটি ভালোভাবে পালন করেনি। দেশীয় কোম্পানির সিংহভাগই বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ারের দর ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু কিছু বহুজাতিক কোম্পানি এটা পেরেছে।’

বোনাস শেয়ার আর আয়ে পতন সমানুপাতিক

স্টাইলক্রাফট নিয়ে পুঁজিবাজারে আলোচনা ছিল বরাবর। শেয়ারপ্রতি ১০০ টাকার আশপাশে আয়, প্রতিবছরই তা বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারমূল্যও বাড়ত নিয়মিত।
১০ টাকা অভিহিত মূল্যের দেশি উৎপাদনকারী কোম্পানির হিসেবে গত ১০ বছরে মুন্নু অ্যাগ্রোর পরে এই কোম্পানির শেয়ারদরই সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

২০১৭ সালে কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো ৮০ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারে আটটি শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দেয়। তখন শেয়ারের দাম বেড়ে ২ হাজার ৮০০ টাকার মতো হয়ে যায়।

পরের বছর কোম্পানিটি আরও চমক দেখায়। ওই বছর প্রতি ১০০ শেয়ারে বোনাস শেয়ার হিসেবে দেয়া হয় ৪১০টি শেয়ার। আরও ব্যাপক বোনাস শেয়ার দেয়া হবে, এই খবরে দাম ছাড়ায় ৪ হাজার ৯০০ টাকা।

এই দরে যারা শেয়ারটি কিনেছেন, তারা পরের বছর আরও দেড় শ শতাংশ অর্থাৎ দুটি শেয়ারের বিপরীতে আরও তিনটি শেয়ার বোনাস হিসেবে পাওয়ার পরও বিপুল পরিমাণে লোকসানে আছেন।

৪ হাজার ৯০০ টাকায় একটি শেয়ার যারা পেয়েছেন, ২০১৭ সালে ৪১০ শতাংশ বোনাস যোগ হওয়ার পর শেয়ারের দাম সমন্বয় হয় ৯৬০ টাকা। পরের বছর ১৫০ শতাংশ বোনাস যোগ হওয়ার পর দাম সমন্বয় হয় ৩৮৪ টাকা ৩০ পয়সা।

এরপর কোম্পানিটি আর বোনাস শেয়ার ইস্যু করেনি। এখন শেয়ারপ্রতি দাম ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।

অর্থাৎ তিন বছর পর বর্তমানের সমন্বয় হওয়া শেয়ারমূল্যের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২৩৮ টাকা। আগের দুই বছরের বোনাস শেয়ার বিবেচনায় নিলে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৪ টাকা।

অর্থাৎ ৪ হাজার ৯০০ টাকায় কিনে যিনি ৪১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার নিয়ে এখনও ধরে রেখেছেন, তার এই পরিমাণ লোকসান এখন।

তিন বছরে শেয়ার ২৩ গুণ করে ডুবল স্টাইলক্রাফট
ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা



ফ্লোর প্রাইসের কারণে আরও নিচে নামতে পারছে না দাম

এই কোম্পানির দামও মুন্নুর মতো কৃত্রিমভাবে ধরে রাখা হয়েছে। ফ্লোর প্রাইসেও এই শেয়ারের হাতবদল হচ্ছে না বললেই চলে।

গত বছর মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়া হয়, যার নাম দেয়া হয়েছে ফ্লোর প্রাইস।

কোম্পানির আয়, মৌলভিত্তি বিবেচনা না করেই কেবল বাজারমূল্যের বিবেচনায় এই ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণত কোম্পানি খারাপ করতে থাকলে শেয়ারদর নেমে আসে। কিন্তু স্টাইলক্রাফট খারাপ করতে থাকলেও এর শেয়ারদর বেঁধে দেয়ায় ওই দামের চেয়ে নামতে পারছে না।

কিন্তু এই দাম যে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না, তার প্রমাণ শেয়ার হাতবদলের সংখ্যা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এক দিনই কেবল বলার মতো শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
৯ ফেব্রুয়ারি ৬৪ হাজার ১৭১টি শেয়ার কেনার অর্ডার ছিল ফ্লোর প্রাইসে। একদিন সর্বনিম্ন ৩০০টি শেয়ারও হাতবদল হয়েছে।

কোম্পানিটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর কারণ এর ব্যালান্সশিট ক্রমাগত নিম্নমুখী হওয়া।

গত বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৩ পয়সা আর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা।

এরই রকম অভিজ্ঞতা আরও

গত এক দশকে যেসব কোম্পানি মাত্রাতিরিক্ত বোনাস শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন হঠাৎ করে বাড়িয়েছে, তার সিংহভাগের পরিণতিই স্টাইল ক্রাফটের মতো।
মুন্নু স্টাফলার পরিশোধিত মূলধন প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে কোম্পানির নাম ও ব্যবসা পালটে মুন্নু অ্যাগ্রো হওয়ার পর কোম্পানির আয় কমেছে। সেখানেও উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে লোকসান হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

দেড় শ শতাংশ বোনাস শেয়ার নিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরাও এখন হতাশ। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে দেড় শ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দাম ২২১ টাকা উঠে যায়। এই লভ্যাংশ নিয়েও লোকসান হয়েছে।
প্রথমে ৫০ ও পরে ১২৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার পর জেমিনি সি ফুডের শেয়ারমূল্য ব্যাপকভাবে বাড়লেও পরে বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করেছে কোম্পানিটি।

২০১২ সালে ডেলটা লাইফ একটির বিপরীতে ২১টি বোনাস শেয়ার দেয়াকে কেন্দ্র করে শেয়ারদর বেড়ে আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ার পর তাতে বিনিয়োগকারীরা টাকা হারিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন।

২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার পর ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ারের মূল্য ৭৪ টাকা ৮০ পয়সা হয়ে যায়। পরে তা কমতে কমতে ২০২০ সালে ১ টাকা ৬০ পয়সায় নামে।

ব্যতিক্রম বহুজাতিক দুই কোম্পানি আর দেশি ফার্মা এইড

মাত্রাতিরিক্ত বোনাস শেয়ার দিয়ে দরপতনের দৌড়ে ব্যতিক্রম বহুজাতিক দুই কোম্পানি- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বা বিএটিবিসি ও বার্জার পেইন্টস আর দেশি কোম্পানি ফার্মা এইড।

তবে বহুজাতিক দুই কোম্পানির ক্ষেত্রেও ব্যাপক হারে বোনাস দেয়ার পর উচ্চমূল্যে কেনা শেয়ারের দাম সমন্বয়ের পর লোকসান কাটিয়ে উঠতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছে বিনিয়োগকারীদের।

বিএটিবিসি ২০১৮ ও ২০২০ সালের জন্য ২০০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন ৯ গুণ বাড়িয়েছে।

শেয়ারটি ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৮০০ টাকা উঠে যায়। ৯ গুণ পরিশোধিত মূলধন হওয়ার পর সেই দামের সঙ্গে সমন্বয় করা দাম দাঁড়ায় ৫৩৩ টাকা। তবে সবশেষ দর ৫৫৬ টাকা।

একইভাবে ২০১৮ সালে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া বার্জার পরিশোধিত মূলধন ২৩ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৪৬ কোটি করেছে।

বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর দাম বেড়ে তিন হাজার টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়। সমন্বয়ের পর দাম হয় দেড় হাজার টাকার আশপাশে। এখন দাম দেড় হাজার টাকার কিছু বেশি।

২০১০ সালে ফার্মা এইড ৫০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে পাঁচটি বোনাস শেয়ার দেয়ার পর ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি ১৮ হাজার ৭০০ টাকা হয়ে যায়।

সেদিন যারা কেনেন, তাদের সমন্বয় করা দাম পড়ে ৩ হাজার ১১৬ টাকা। ১০ টাকা অভিহিত মূল্য হওয়ার পর সে দাম দাঁড়ায় ৩১১ টাকা ৬০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।

পরের পর্বে থাকছে জেমিনি সি ফুডের কথা

আরও পড়ুন:
লভ্যাংশ দেয়ার কথা ১ টাকা ১৭ পয়সা, দিয়েছে ১৬ পয়সা
মহামারিতে মুনাফা বাড়ল ডাচ বাংলার
পকেট ফাঁকা করেছে মুন্নু অ্যাগ্রো
ওটিসিতে ৩ দিনেই শেষ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের শেয়ার
দুর্বল শেয়ারে হুমড়ি খেয়ে ‘শিক্ষা’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In Khulna the locker of the Agricultural Bank broke the loot of Tk 1 lakh

খুলনায় কৃষি ব্যাংকের লকার ভেঙে ‘১৬ লাখ টাকা’ লুট

খুলনায় কৃষি ব্যাংকের লকার ভেঙে ‘১৬ লাখ টাকা’ লুট

খুলনায় কৃষি ব্যাংকের পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে প্রায় ১৬ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে এ লুটের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্যাংক বন্ধ ছিল। রাতে পাহারাদার ছিল না। এরপর গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিরাপত্তা প্রহরী ব্যাংকের কলাপসিবল গেটের তালা কাটা দেখে চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি বুঝে রূপসা থানায় জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

স্থানীয়রা বলছেন, ব্যাংকের ওই শাখায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ছিল। সেখান থেকে ১৬ লাখ টাকা গায়েব হয়ে গেছে।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা ব্যাংক থেকে এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের কোনোপ্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতরাতে (বৃহস্পতিবার) ব্যাংকে কোনো প্রহরী ছিল না। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Do not want to participate in active politics or participate in elections the chief adviser

সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ কিংবা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে নেই: প্রধান উপদেষ্টা

'বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো সমস্যা ফিরবে'
সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ কিংবা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে নেই: প্রধান উপদেষ্টা

সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ কিংবা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বার্নামার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে বার্নামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘না, আমি এমন লোক নই। আমার এমন কোনো সুযোগ নেই।’

প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সংস্কারের যে লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে সেটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তার কাজ।

তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা অনেকটা পথ এসেছি। এই আগস্টে আমরা আমাদের প্রথম বছর সম্পন্ন করেছি এবং আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।’

ড. ইউনূস বলেন, তার অন্যতম বড় অর্জন হলো ঐকমত্য কমিশন গঠন করা। যেটি ১১টি সংস্কার কমিশনের ওপর ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার প্রতিবেদন এ মাসের শেষের দিকে দিতে পারে। যার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গঠন করা যাবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এটির শেষ দিকে আসছি। সম্ভবত এ মাসের শেষ দিকে, আমরা ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন পাব।’

এই ঐকমত্য কমিশনকে রাজনৈতিক স্পর্শকাতর ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সম্মতি আদায়েরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়ে, আপনার একটি ঐকমত্য প্রয়োজন। সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট নাকি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট হবে— এটি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।’

দেশ এখন সঠিক পথে যাওয়ায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। আর এবারের নির্বাচনটি আগের তিনটি ‘মিথ্যা’ নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বছর পর প্রথমবারের মতো, জনগণ একটি নির্বাচন পাবে। কারণ আগের নির্বাচন গুলো ছিল ‘মিথ্যা’ নির্বাচন। কেউ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। মানুষ জানে না ভোটকেন্দ্রে কি হয়েছে।’

যেসব লাখ লাখ ভোটার হাসিনার আমলে ভোট দিতে পারেননি তাদের জন্য এবারের নির্বাচনটি অনেক বড় হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেলনিউজএশিয়া (সিএনএ) টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে আবার পুরোনো সমস্যাগুলো ফিরে আসবে।

সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য, পরিষ্কার ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের কথাও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, সেগুলো অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন যদি বৈধ না হয়, তাহলে এর কোনো অর্থ নেই। আমার কাজ হলো এমন একটি গ্রহণযোগ্য, পরিষ্কার ও আনন্দদায়ক নির্বাচন নিশ্চিত করা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রায় আমাদের লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে গেছি। বহু বিষয় সংস্কার প্রয়োজন, কারণ যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল তা দুর্নীতিগ্রস্ত, অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগে ভরা।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আগস্টে হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান এবং তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। বাংলাদেশ তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করলেও দিল্লি সাড়া দেয়নি।

ইউনূস জানান, হাসিনা যেন বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ না পান, সে বিষয়ে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা বলেছি, আপনারা তাকে রাখুন, আমাদের বিচার চলবে। কিন্তু তিনি যেন দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো সুযোগ না পান।

শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আঞ্চলিক কূটনীতিতে ঢাকার অবস্থান কিছুটা বদলেছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত। মার্চে ইউনূস বেইজিং সফর করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তিনি বলেন, আমাদের পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে, ভারতের সঙ্গেও আমরা ভালো সম্পর্ক চাই। এটা শুধু চীনের জন্য নয়—ভারত বা অন্য যে কেউ এর সুযোগ নিতে পারে।

বিপ্লবের পর নেতৃত্বে আসা ৮৫ বছর বয়সী ইউনূস জানান, প্রথমে তিনি দায়িত্ব নিতে চাননি। কিন্তু ছাত্রনেতাদের অনুরোধ এবং জনগণের ত্যাগ তাকে রাজি করায়। নির্বাচন শেষে তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান।

শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ আর পথভ্রষ্ট হবে না। যুবসমাজ যেন ভোট দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ব্যালট বাক্সে তুলে ধরে। আমি চাই, একটি ভালো সরকার আসুক এবং তা গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলুক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Clash over football game

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, দোয়ারায় নিহত ২

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, দোয়ারায় নিহত ২

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ফুটবল খেলা কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার বিকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা বীরাঙ্গনা কাঁকন বিবির মেয়ের জামাই আব্দুল মতিন ও একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আকবর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকালে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে আব্দুল মতিন ও আকবর গুরুতর আহত হন। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাদের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Loot in the white jaflong 1 lakh 3 thousand cubic feet of stone recovered in two days

সাদাপাথর-জাফলংয়ে লুট: দুই দিনে ১ লাখ ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

সাদাপাথর-জাফলংয়ে লুট: দুই দিনে ১ লাখ ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া আরও ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতেই জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করে। এতে জানানো হয়, গত দুই দিনে মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথরের অর্ধেক ইতিমধ্যে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা, মিডিয়া সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথর পর্যায়ক্রমে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পাথর ব্যবসায়ীরা অভিনব কৌশলে এসব লুট হওয়া পাথর লুকিয়ে রাখছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাটিচাপা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার হয়।

এর মধ্যে সাত ট্রাক পাথর ইতোমধ্যে সাদাপাথর এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও আনুমানিক পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে, যা আজ শনিবার ফেরত পাঠানোর হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) মাহমুদ আশিক কবির।

এদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন স্পট জিরো পয়েন্ট থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে।

পিয়াইন নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথর পূনরায় নদীতে প্রতিস্থাপনের লক্ষে জাফলং জিরো পয়েন্টে নৌকা দিয়ে ফেলা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী রাতের আধারে বৃষ্টির মধ্যে কিছু পাথর সরিয়ে ফেলছিল। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নিই। এরপর থেকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ ও বিজিবির টহল অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখান থেকে যে পাথরগুলো সরানো হয়েছে আমরা সেই পাথরগুলো খুঁজে বের করে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছি।’

তবে পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Janmastami Import export stops at Hilli port

জন্মাষ্টমী: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

জন্মাষ্টমী: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আজ (শনিবার) বন্ধ রয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।

হিলি কাস্টমস সিএঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফেরদৌস রহমান জানান, আজ শনিবার সারা দেশে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন করছে। দিনটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামীকাল (রবিবার) থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীরা বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচল করতে পারবেন।’

এ বিষয়ে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দীন জানান, সরকারি ছুটির কারণে আজ কাস্টমসের সব বিভাগ বন্ধ থাকবে। তবে আগামীকাল থেকে কাস্টমস অফিস খোলাসহ পণ্য আমদানি-রপ্তানিও পুনরায় শুরু হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Elections are no doubt in February
প্রেস সচিব

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই, কোনো সন্দেহ নেই

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই, কোনো সন্দেহ নেই

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এমন কোনো শক্তি নেই নির্বাচন প্রতিহত করবে।

গতকাল শুক্রবার মাগুরায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি ও আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। আশা করছি সেটি সবার সহযোগিতায় সম্ভব হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে প্রেস সচিব বলেন, যারা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছে, তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটাকে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্ষাটা শুরু হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষাটা শেষ হলে দেখবেন পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনের আমেজ নেমে এসেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। পাড়ায় পাড়ায় ভোটের অফিস হবে। এই ভোটের আমেজটা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

‘আমরা নিশ্চিত যে পুরো জাতি, কারও মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে সেই সন্দেহটুকু চলে যাবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে এবং রোজার আগেই হবে।’

চব্বিশের জুলাই-আগস্টে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ-যুবলীগের খুনি বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন মেহেদী হাসান রাব্বি। উনি ছাত্রদলের স্থানীয় একজন নেতা ছিলেন। আমি তার কবরে গিয়েছিলাম। একই এলাকার আল আমিন ছোট ব্যবসা করতেন ঢাকায়, ওনাকেও গুলি করে মারা হয়েছে, ওনার কবর মাগুরার উপকণ্ঠে রয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম ফুল দিতে। মাগুরা জেলায় মোট ১০ জন শহীদ আছেন। বাকি আটজন প্রত্যেকের কবরস্থানে যাব।

এই শহীদদের নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মদানের ফলে আমরা নতুন একটা দেশ পেয়েছি। আমরা আজকের এই দিনে সবাই মুখ ফুটে কথা বলতে পারছি। আমরা এখন পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট করছি। সামনে সুন্দর একটি নির্বাচন হবে। শহীদদের কারণে আমরা নতুন বাংলাদেশটা পেয়েছি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Two teenagers died in road accidents while playing motorcycle racing with friends in Kushtia

কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং খেলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং খেলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পাবনা–কুষ্টিয়া হাইওয়ে সড়কের বারোমাইল এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং চলাকালে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই কিশোর নিহত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—নাহিদ হোসেন (১৭), দৌলতপুর উপজেলার তাগুনিয়া সরদারপাড়া গ্রামের নিপুল হোসেনের ছেলে এবং তার বন্ধু সিয়াম হোসেন (১৬), একই উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় প্রায় ১০টি মোটরসাইকেল লালন শাহ সেতু থেকে উচ্চগতিতে রেসিং করছিল। এসময় নাহিদ ও সিয়াম যে মোটরসাইকেলে ছিলেন, সেটি বারোমাইল এলাকার যাত্রীছাউনি সংলগ্ন ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে একটি পিকআপ ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নাহিদ মারা যান। গুরুতর আহত সিয়ামকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়দেব কুমার সরকার জানান, নিহত দুই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব তালুকদার বলেন, বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখভাল করছে।

মন্তব্য

p
উপরে