বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাঁত সুস্থ রাখবেন কীভাবে

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২১ ১০:৪০

গাজর, শসা, আপেল ও পেয়ারা ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে অনেকটা টুথব্রাশের মতোই কাজ করে, যা দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিষ্কারেও সহায়তা করে।

আমাদের দাঁত সমতল গঠনের নয়। দাঁতে আছে ভাঁজ, ফাঁকা স্থান। এসব ফাঁকায় খাবার গিয়ে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। স্তরটি চটচটে ও আঠালো এবং দাঁতের গায়ে তা পরতের মতো আটকে থাকে।

নিয়ম মেনে ব্রাশ না করলে ওই স্তর সরে না। সেখান থেকে অ্যাসিড তৈরি হয়ে দাঁতের ক্ষতি করে।

উল্লিখিত অবস্থা থেকে দাঁতকে রক্ষা করতে মানতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন সেগুলো দেখে নিই।

দিনে দুই বার ব্রাশ

আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দিনে দুই বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এতে দাঁত ভালো থাকবে। সকালে নাশতার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করতে হবে।

মনে রাখতে হবে এই দাঁত মাজাটা যেন দুই মিনিটের কম সময়ে না হয়, আবার বেশি সময় ধরেও না চলে। দাঁত ও মাড়ি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে, ব্যাকটেরিয়া ও দাঁতের প্লাক দূর করতে এ সময়টা দরকার।

দিনে চারবারের বেশি অথবা মোট চার মিনিটের বেশি সময় ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। যখন দাঁতে অ্যানামেল না থাকে, তখন দাঁত ডেন্টিনের একটি স্তর প্রকাশ করে।

ডেন্টিনের ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে যা স্নায়ুর গোড়ায় দিকে নিয়ে যায়। এগুলো ট্রিগার করা হলে ব্যথা অনুভব হতে পারে।

আলতো করে দাঁত ব্রাশ করুন

দাঁত মাজার সময় জোরে জোরে ব্রাশ ঘষলেই বেশি পরিষ্কার হবে, বিষয়টা তেমন নয়; বরং জোরে জোরে ব্রাশ করলে দাঁতের অ্যানামেলের ক্ষতি হতে পারে। কেবল সামনে-পেছনে ব্রাশ না টেনে ব্রাশটা মাড়ির সাপেক্ষে ৪৫ ডিগ্রি কোণে রেখে দাঁত মাজতে হবে আলতো করে।

ছাড়ুন কোমল পানীয়

কার্বোনেটেড ড্রিংকস বা কোমল পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি ও সোডা থাকে। এ সোডায় থাকে ফসফরিক অ্যাসিড, যেটা পানীয়গুলোকে অ্যাসিডযুক্ত স্বাদ দেয়। সোডা দাঁতের ক্ষতি করে। সোডায় থাকা অ্যাসিড দাঁতে আক্রমণ করে অ্যানামেল নষ্ট করে দেয়।

প্রতিদিন এক কাপ চা

চায়ে এমন কিছু উপাদান আছে, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে এবং মাড়ির রোগ সারাতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সেটা দুধ-চিনি মেশানো চা না হওয়া ভালো। ভারী খাবার দাবারের পর বা বিকেল-সন্ধ্যার অবসরে প্রতিদিন এক কাপ চা দাঁত সুস্থ রাখতে পারে।

অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ

এমন একটা মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে, যা অ্যালকোহলমুক্ত। বাজারের বেশির ভাগ মাউথওয়াশেই বেশ খানিকটা অ্যালকোহল থাকে বলে এসব ব্যবহারে সাময়িকভাবে মুখের টিস্যু শুষ্ক হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া যেনতেন মাউথওয়াশ বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলেও ধারণা করা হয়েছে কোনো কোনো গবেষণায়। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন

কিছু খাবার আছে শুধু শরীরেরই ক্ষতি করে না, দাঁতেরও যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতি করে। সিগারেট, জর্দা ও তামাক জাতীয় খাবার দাঁতের রং নষ্ট করে ফেলে; দাঁত হলদে ভাব হয়ে যায়।

খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার

মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত শাক-সবজি ও ফল (যেমন: লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, গাজর, টমেটো, শসা ও লেবু) খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, শসা, আপেল ও পেয়ারা ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে অনেকটা টুথব্রাশের মতোই কাজ করে, যা দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিষ্কারেও সহায়তা করে।

সতর্কতা

খাবার চিবানো আর কামড়ে খাওয়ার জন্যই দাঁত। বোতলের মুখ খোলা কিংবা চিপসের প্যাকেট ছেঁড়ার হাতিয়ার হিসাবে দাঁত ব্যবহার করা যাবে না।

অতিরিক্ত শক্ত খাবার, শক্ত হাড় কামড়ানো যাবে না। এতে দাঁতের বাইরের আবরণ বা অ্যানামেল নষ্ট হতে পারে। দাঁতে সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দিতে পারে।

আইসক্রিম, চকলেট কামড়ে খাওয়া যাবে না। এতেও দাঁতের ক্ষতি হয়।

এ বিভাগের আরো খবর