মাইগ্রেনের সমস্যা যাদের আছে, তারাই বুঝতে পারেন এই ব্যথা কতটা অসহনীয়। তবে মাইগ্রেন সমস্যা অনেকটা নির্ভর করে কী খাচ্ছেন তার ওপর। খুব ঠাণ্ডা কিছু খেলে যেমন মুহূর্তেই ব্যথা শুরু হতে পারে, তেমনি আবার দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলেও এই ব্যথা হয়।
যাদের ব্যথা একেবারেই কমতে চায় না, তারা এই পাঁচ খাবার খেলে কমতে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা।
তরমুজ
বেশি বেশি পানি পান করলে মাইগ্রেনের আশঙ্কা কমে। তবে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে শুধু পানি পান করা যথেষ্ট নয়। এমন সব খাবার খাওয়া উচিত যেগুলোতে পর্যাপ্ত পানি থাকে। তরমুজের মতো ফলে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। এটা খেলে পানি স্বল্পতা কমে, খিদে কমে এবং মাইগ্রেনের আশঙ্কা কমে যায়।
কলা
দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকলে শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। এমন অবস্থায় মাথা ধরে যেতে পারে। আর সেটা রূপ নেয় মাইগ্রেনের ব্যথায়। এমন পরিস্থিতিতে জলদি করে যদি কলা খেয়ে নিতে পারেন তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথার আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
বাদাম-বীজ
শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে দীর্ঘ মাথাব্যথার কারণ হয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবার বা বাদাম ও তেলবীজ রাখুন, যা পুষ্টিকর। ঘুম থেকে উঠে নানা রকম বাদাম খেতে পারেন। সালাদের সঙ্গে ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড, বা কুমড়ার বীজ মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে ম্যাগনেশিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
ভেষজ চা
শরীর হাইড্রেটেড রাখতে ভেষজ চা হতে পারে অন্যতম উপকারী পানীয়। এমনিতেই লাল চা খেলে মাথা ধরার আশঙ্কা কমে আসে। আর ভেষজ চা এই প্রবণতা আরও কমিয়ে দেয়।
মাশরুম
অনেক সময় হজমের গোলমাল বা পেটের অন্য কোনো সমস্যা হলেও ধরতে পারে মাথা। এই ব্যথা বাড়লে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। মাশরুম, ডিম বা বাদামের মতো খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্ল্যাবিন। তাই এসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। খাবার হজম ঠিক থাকলে সমস্যা থাকবে না মাথা ধরার।