সারা দিন পরিশ্রমের পর অনেক সময় তাৎক্ষণিক এনার্জির দরকার হয়। আমাদের আশপাশেই এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি সরবরাহ করে এবং সেটা দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকে। চলুন দেখে নিই কী সেই খাবারগুলো।
কলা
কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম আর ভিটামিন বি সিক্সের আধার হচ্ছে কলা। খুব দ্রুত এনার্জি বাড়াতে সক্ষম। দেখবেন, অধিকাংশ টেনিস খেলোয়াড়ই লম্বা ম্যাচের মাঝের বিরতিতে এনার্জি পাওয়ার জন্য কলা খেতে পছন্দ করেন। সিন্থেটিক এনার্জি ড্রিঙ্কের চেয়ে তা শতগুণে ভালো। দুধ আর কলা দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে নিতে পারলে তো কথাই নেই, শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকবে।লাল চালের ভাত
লাল চালের ভাতে চালের পুষ্টিগুণের বেশির ভাগটাই সঞ্চিত থাকে। এর ফাইবার, প্রোটিন আর খনিজ খুব তাড়াতাড়ি প্রচুর এনার্জি উৎপাদনে সাহায্য করে। বাড়তি ফাইবারের কারণে নিয়ন্ত্রণে থাকে আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণও।আপেল
একটি মাঝারি আকারের আপেলে ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। থাকে প্রায় ২০ গ্রাম চিনি আর ৫ গ্রাম ফাইবার। এই ফাইবার আর প্রাকৃতিক সুগারের কারণেই যে এনার্জিটা পাওয়া যায়, তা অনেকক্ষণ শরীরে থাকে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও মেলে।ওটমিল
রোলড বা হোল ওটস থেকে দ্রুত এনার্জি পাওয়া যায় এবং সেটা দীর্ঘক্ষণ চাঙা থাকতে সাহায্য করে। ওটসে বিটা-গ্লুকান নামের একটি সলিউবল ফাইবার থাকে যা পানির সঙ্গে মিশে যখন রান্না হয়, তখন গাঢ় একটি জেল তৈরি করে। এই জেল আপনার পাচনতন্ত্রে অনেকক্ষণ থাকে, ফলে পেট বেশিক্ষণ ভরা আছে বলে মনে হয়। তার সঙ্গে এর ভিটামিন আর খনিজ পদার্থগুলো এনার্জি জোগায়।বাদাম
এনার্জি বাড়াতে কাজুবাদাম, আখরোট আর কাঠবাদামের কোনো বিকল্প নেই। ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই বাদাম থেকে কার্বোহাইড্রেট আর ফাইবারও মেলে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই এনার্জি সংরক্ষণ করার কাজে বাদামের ভূমিকা অপরিসীম।