লোমহীন ঝকঝতে ত্বক কে না চায়। তবে সেটা পেতে গিয়ে ওয়্যাক্সিং, থ্রেডিং, শেভিং বা ইলেকট্রোলাইসিসের মতো পদ্ধতিগুলো ত্বকের ক্ষতি করে। রুক্ষ হয়ে পড়ে ক্রমশ। তারচেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্য নিন, যা ত্বকের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করবে এবং ধীরে ধীরে আপনি লোমমুক্ত হবেন। এর প্রতিটি উপায়ই যে নিরাপদ, তা নিয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহই নেই!
অ্যালোভেরা জেলের প্যাক
চার-পাঁচ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। তার মধ্যে লেবুর রস, মধু, আধা চা-চামচ চালের গুঁড়ো বা সুজি আর অলিভ অয়েল মেশান। চামচ দিয়ে নেড়ে ঘন প্যাক তৈরি করুন। প্যাকাটি চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে লাগিয়ে নিন পুরো শরীরে ও পিঠে। একেবারে শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি ছিটিয়ে দিন প্যাকের ওপর। চক্রাকারে খুব আলতো স্পর্শে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্যাকটা তুলে ফেলুন। ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।
হলুদের প্যাক
কাঁচা হলুদ বেটে নিন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ বা দই এবং তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে গোলাপজল মিশিয়ে ঘন প্যাক তৈরি করুন। সারা শরীরে, বিশেষ করে মুখে প্রতিদিন লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সবশেষে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন এই প্যাক ব্যবহার করা যায়। ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন যে লোম ক্রমশ হালকা হয়ে আসছে। যাদের রোম বেশি ঘন, তারা এই প্যাকে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রস ব্লিচ হিসেবেও কাজ করবে।
পাকা পেঁপের প্যাক
পাকা পেঁপে, বেসন বা আটা, অ্যালোভেরা জেল, দুধের সর একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ঘন একটা প্যাক তৈরি করে নিন। পুরো শরীরে মোটা করে লাগান। শুকনো হওয়ার অপেক্ষা করুন। একেবারে শুকিয়ে গেলে একটা পরিষ্কার কাপড় নিয়ে ঘষে ঘষে প্যাকটা তুলে ফেলুন। যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তারা কাপড়টা নারকেল তেলে ভিজিয়ে নিয়ে প্যাক তুলুন। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে নিন। প্রতিদিন এই প্যাক ব্যবহার করলে বাড়তি লোমের হাত থেকে নিষ্কৃতি তো মিলবেই, ত্বক থাকবে কোমল।