রান্নায় আমরা সাধারণত সয়াবিন তেল ব্যবহার করি। তবে সব খাবারের জন্য একই তেল ব্যবহার করা ঠিক না। রান্না, ভাজাপোড়া, স্টেক ইত্যাদি রান্নায় উপযুক্ত তেল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর। চলুন দেখে নিই, কোন রান্নায় কোন ধরনের তেল ব্যবহার করবেন।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের ফ্লেভার খুব হালকা। অল্প তেলে ভেজে যেসব রান্না করা হয়, তার জন্য এই তেল আদর্শ। রসুন, চিকেন, চিংড়ি ইত্যাদি অলিভ অয়েলে রান্না করুন। হোয়াইট সস আছে বা চিজ দেয়া হচ্ছে এমন রান্নার জন্যও অলিভ অয়েল আদর্শ। তবে মনে রাখবেন, এটি ডিপ ফ্রাইংয়ের জন্য ভালো নয়। ডুবোতেলে মুচমুচে করে কিছু ভাজতে গেলে তেলের উত্তাপ যা হওয়া উচিত, তাতে অলিভ অয়েল পুড়ে যাবে।
বাদাম তেল
ডিপ ফ্রাই করার জন্য আদর্শ বাদাম তেল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাদাম তেলে ভাজাভুজি করলেও কোনো বিশেষ খাবারের স্বাদ তেলে প্রবেশ করে না। তাই চিকেন পকোড়া ভাজার পরে সেই তেলেই আপনি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভেজে নিতে পারবেন স্বচ্ছন্দে!
অ্যাভোকাডো তেল
গ্রিল করা বা কড়া তাপে ভাজার জন্য আদর্শ অ্যাভোকাডো তেল। খুব বেশি তাপেও তেলে কোনো বিক্রিয়া হয় না। সমস্যা একটাই, দাম খুব বেশি।
সরষের তেল
রান্নাবান্না ও ভাজাভুজির জন্য আদর্শ। বেশি তাপ সহ্য করতে পারে। নিজস্ব গন্ধ আর ফ্লেভারের জন্য কাঁচাও ছড়িয়ে দেয়া যায় বিশেষ বিশেষ রান্নার ওপর। চেষ্টা করুন নন-রিফাইন্ড তেল ব্যবহার করার।
সয়াবিন তেল
কোনো ফ্লেভার শোষণ করে না, কোনো খাবারে নিজস্ব স্বাদ বা গন্ধও যোগ করে না। তাই ভাজাপোড়ার জন্য খুব ভালো। কেক বেক করার জন্যও আজকাল মাখনের বদলে সয়াবিন তেলের পরীক্ষামূলক ব্যবহার হচ্ছে।
নারকেল তেল
মাখনের পরিবর্তে নারকেল তেল দিয়ে রান্নার চেষ্টা চলছে গোটা উন্নত বিশ্বে। বিশেষ করে ভেগান রেসিপির ক্ষেত্রে তা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। আমাদের দেশে বহুদিন ধরেই নারকেল তেল দারুণ জনপ্রিয়। দক্ষিণ ভারতে নারকেল তেলই রান্নার প্রধান মাধ্যম। ভাজাভুজিও করা যায় স্বচ্ছন্দে।