সুস্থ থাকার জন্য আমাদের ব্যায়াম করতে হবে। বিশেষ করে লকডাউনের বন্দিদশায় ব্যায়াম না করলে শরীর ক্রমশ খারাপ হতে আরম্ভ করবে। টোনড চেহারা ধরে রাখাও মুশকিল হবে। এদিকে জিম বা হেলথ ক্লাব খোলা নেই। তাই যা করার, করতে হবে বাড়িতে থেকেই।আমাদের পায়ের মাসলগুলো আকারে বড়। ব্যায়াম করতে আরম্ভ করলে ব্যথা হবে। পেশিতে টানও ধরতে পারে। তাতে ভয় পাবেন না। ব্যায়াম শুরুর আগে ও পরে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ পেশির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
ব্যায়াম করতে হবে হাঁটু বাঁচিয়ে। হাঁটুতে চোট লাগলে ভুগতে হতে পারে। খুব ভালো হয় যদি নি-গার্ড পরে ব্যায়াম করা যায়। নি-গার্ড না থাকলে মোটা কাপড়ের টুকরো বেঁধে নিলেও চলবে। চেষ্টা করুন ব্যায়ামের উপযোগী জুতো পরতে। তাতে পা সুরক্ষিত থাকে। জুতোর সঙ্গে মোজা পরলে ভালো। তাতে বাড়ে পায়ের নিরাপত্তা।আমাদের পায়ের প্রধান মাসল গ্রুপ তিনটি, কোয়াড্রিসেপস, হ্যামস্ট্রিং আর কাফ।
থাইয়ের সামনের দিকের মাসল হচ্ছে কোয়াড্রিসেপ। বড় এবং লম্বা পেশি। এটি শক্তিশালী হলেই ব্যালান্স ঠিক থাকবে, চলায় আসবে গতি ও ছন্দ।
থাইয়ের পেছন দিকের লম্বা মাসল হল হ্যামস্ট্রিং। খুব চোটপ্রবণ এই মাসল এবং সেই চোট দীর্ঘদিন ভোগায়। তাই হ্যামস্ট্রিং শক্তপোক্ত রাখার জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম করা একান্ত প্রয়োজনীয়।
অনেকেই পায়ের যত্ন করতে গিয়ে অবহেলা করেন কাফ মাসলের। এটা ঠিক না। আপনার শরীরের ওজনের অনেকটাই বহন করে কাফ মাসল। তাই ব্যায়াম করার সময় তার দিকেও নজর দিতেই হবে।নানা ধরনের স্কোয়াট আর লাঞ্জেস পায়ের সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। ইউটিউব দেখে ব্যায়ামগুলো শিখে নিন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করুন।
কাফ মাসল আর নিতম্বের পেশির নানা ব্যায়াম হয়, বাদ দেবেন না সেগুলিও। অতি অবশ্যই পায়ের ব্যায়াম করার পর ম্যাসাজ করতে হবে। প্রথম দিকে একদিন ব্যায়াম করার পর অন্তত দুই দিন বিশ্রাম দিন পায়ের পেশিকে। চোট সারিয়ে শক্তি সংগ্রহ করতে তার এটুকু সময় লাগবে।