সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপরই আমাদের ক্ষুধা পায় না। তার কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরের সিস্টেমটা চালু হতে কিছুটা সময় নেয়। তাই ঘুম থেকে উঠে পেটকে খাবার গ্রহণ করার জন্য তৈরি হতে সময় দিন। তারপর নাশতা শুরু করুন।
দিন শুরু করুন লেবুপানি দিয়ে
খালি পেটে লেবু পানে অ্যাসিড হয় না মোটেই; বরং লেবুর টকভাব আপনার পেটের বাড়তি অ্যাসিডকে কাটিয়ে নিউট্রালাইজ করে দেয়। অ্যালকালাইন অবস্থাটা হজমের পক্ষে সহায়ক। এরপরই চা পান করবেন না; চেষ্টা করুন একটা ফল খাওয়ার।চলতে পারে চা-কফি
লেবুর পানি পানের কিছুক্ষণ পর চা বা কফি পান করা যায়। সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বাদ দিতে হবে। এক বাটি মুড়ি চলতে পারে। গোটা চারেক বাদাম খেতে পারেন। তবে ময়দা থেকে দূরে থাকতে পারলেই ভালো হয়।আস্থা রাখুন ডিমে
সকালে প্রোটিন খেলে আপনার পেট অনেক বেশিক্ষণ ভরে থাকবে। তাই ডিম রাখুন খাদ্যতালিকায়। তবে অমলেটের চেয়ে সিদ্ধ ডিম অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কুসুম বাদ দিয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশ খেয়ে কোনো লাভ নেই। নিশ্চিন্তে পুরো ডিমটাই খান।দুধ বা দুধজাত খাবার
সকালে এক গ্লাস দুধ চমৎকার একটি খাবার। সারা দিনের শক্তি সরবরাহের পেছনে এটি ভালো অবদান রাখতে পারে। চাইলে সামান্য টকদই খেতে পারেন।
ফল খান
এক বা একাধিক ফল খেয়েও দিন শুরু করা যায়। ফলের ক্ষেত্রে কোনো বাছবিচার করবেন না; সব ফল নিশ্চিন্তে খান। তবে স্রেফ ফল খেলে কিছুক্ষণ পরে ফের খিদে পেতে পারে। তাই শুধু ফল খেয়ে সকালটা পার করা যাবে না।চলতে পারে রুটি-সবজি
রুটি-সবজি আমাদের দেশের পরিচিত নাশতা। এটা পেট ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ। রুটির সঙ্গে সবজি দেওয়া ডাল খেতে পারেন। তাতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, রাফেজের ব্যালান্স বজায় থাকবে।যা এড়িয়ে চলবেন
প্যাকেজড সিরিয়াল, প্রসেসড মাংস, সল্টেড বিস্কুট, কোমল পানীয়, ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন। এর কোনোটাই আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে না। বাসি খাবারও বাদ দিন।