গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় কম-বেশি সবাই ভুগছি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা অ্যান্টাসিডের আশ্রয় নিই। তবে দীর্ঘদিন অ্যান্টাসিড খেলে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া সমাধানের দিকে নজর দিন।
লেবুপানি
ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে লেবুপানি খেয়ে দেখতে পারেন। বেশির ভাগ অ্যাসিডিটির সমস্যা এতেই চলে যাবার কথা। লেবুর প্রভাবে আপনার সিস্টেম অ্যালকালাইজড বা ক্ষারীয় হবে, বাড়তি অ্যাসিডের প্রভাব কেটে যাবে। তবে যারা লেবুপানি হজম করতে পারেন না, তারা এটি এড়িয়ে চলবেন।
জিরা ও জোয়ানের পানি
এক লিটার পানিতে এক চা-চামচ জিরা ও এক চা-চামচ কাঁচা জোয়ান ভেজান। সকালে খালি পেটে এই পানিটা ছেঁকে পান করুন। জিরা আর জোয়ান হজমশক্তি বাড়ায়। কমে অ্যাসিডিটির সমস্যা।
মৌরি ভেজানো পানি
এক চা-চামচ মৌরি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে ছেঁকে খেয়ে নিন। বিশেষ করে গর্ভবতী ও স্তন্যদান করছেন এমন মায়েদের ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া সমাধানটি দারুণ কাজের।
ঠান্ডা দুধ
ঠান্ডা দুধের ক্যালশিয়াম বাড়তি অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। তাই অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ঠান্ডা দুধ পান করেন। আপনিও করে দেখতে পারেন। তবে যাদের দুধ হজম করতে সমস্যা হয়, এটা পান করবেন না।
মাঠা
মাঠার ল্যাকটিক অ্যাসিডও কিন্তু বাড়তি অ্যাসিডের হাত থেকে মুক্তি দিতে খুব কার্যকর। তা ছাড়া এর প্রোবায়োটিকের প্রভাবেও অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আদা
হজম-সংক্রান্ত নানান সমস্যার সমাধানে আদা দারুণ কার্যকর। যারা অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন, তারা এক ইঞ্চি আদা আর গোটা চার-পাঁচ পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে ফুটিয়ে নিন। ফোটানো পানিটা চায়ের মতো চুমুক দিয়ে দিয়ে পান করুন।