বিকেল বেলা কিংবা সন্ধার পরপরই আমাদের ক্ষুধা লাগে। এ সময় পিজা, পাস্তা, নুডলস, বার্গার ইত্যাদি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আজ আপনাদের এমন কিছু খাবারের কথা জানাব, যেগুলো খেলে ক্ষিধে তো মিটবেই, ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রনে।কলা
সহজে এবং দ্রুত হজম হয় এ রকম একটি খাবার হচ্ছে কলা। এতে রয়েছে আমিষ, ভিটামিন, খনিজ এবং সহজে হজমযোগ্য শর্করা।
কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে। একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামের জোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে ১০ লাখ মানুষ।
উপকারী এই ফলটি বিকেলে খেতে পারলে আপনার ক্ষুধাও মিটবে, শরীরের কাজেও লাগবে। চাইলে দুধ আর কলা দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে খেতেও মজা পাবেন। শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভালো হবে।আপেল
মাঝারি আকারের একটি আপেলে ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, থাকে আন্দাজ ২০ গ্রাম চিনি আর ৫ গ্রাম ফাইবার। এই ফাইবার আর প্রাকৃতিক চিনির কারণেই আপনি যে এনার্জিটা পাবেন, তা অনেকক্ষণ থাকবে শরীরে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও মেলে। সেটা ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমাদের শরীরকে সাহায্য করে।বাদাম
অল্প খাবার খেয়ে এনার্জি বাড়াতে চাইলে কাজুবাদাম, আখরোট আর আমন্ডের কোনো বিকল্প নেই। ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ এই বাদাম থেকে কার্বোহাইড্রেট আর ফাইবারও মেলে যথেষ্ট পরিমাণে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম একসঙ্গে মিলিয়ে বিকেলে খেতে পারেন।
সবজি সালাদ
সবজি সালাদের ভালো দিক হচ্ছে, খুব বেশি খেলেও এটা থেকে তেমন একটা ক্যালরি পাওয়া যায় না। ফলে ওজনও বাড়ে না। সালাদ খুব সহজেই তৈরি করা যায় এবং এটা স্বাস্থ্যকরও। শসা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকামের সঙ্গে টকদই, লবণ, মরিচ, চাটমসলা মিশিয়ে সালাদ তৈরি করতে পারলে খেয়েও মজা পাবেন।
ছোলা-মুড়ি
বিকেল বেলা ছোলা-মুড়ি হতে পারে দারুণ একটা খাবার। সেদ্ধ ছোলার সঙ্গে মুড়ি মাখিয়ে নিন। তাতে লেবু, বিটলবণ, চাটমসলা ইত্যাদি রুচিমতো ছিটিয়ে খেতে পারেন। ছোলা থেকে এনার্জি যেমন পাবেন তেমনি পাবেন ফাইবার।