কানে ব্যথা শুরু হবার কোনো সময়-অসময় নেই। দুপুরে, মাঝ রাতে, ভোরে যেকোনো সময় কান টনটন করতে পারে।
সাধারণত কানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে ব্যথা হয়। পুরোনো সর্দিকাশি থেকেও এটা হতে পারে।
কানে পানি ঢুকে সংক্রমণ হলেও ব্যথা হয়।
এরকম পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে চিকিৎসকের কাছে যাবার আগে ঘরোয়া পদ্ধত্তিতে কানের ব্যথা কমানোর টিপস জানাচ্ছেন ডা. মনোয়ার হোসেন।১. গরম শেক নিলে কানের ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, যাদের কানে পুঁজ জমেছে তারা গরম শেক দিলে পুঁজ ঝরে যাবে। কমে যাবে ব্যথাও।
গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। যে কানে ব্যথা, তার উপরে ভেজা কাপড়টা দিয়ে মিনিট দুই রাখুন। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন।
২. দুই চা চামচ অলিভ অয়েলে দুই কোয়া রসুন দিয়ে গরম করুন। রসুন দেয়ার আগে সেটা থেঁতলে নিন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে ব্যথাযুক্ত কানে দুই তিন ফোঁটা দিন। দুই ঘণ্টার পর পর তেল দিলে কিছুটা ব্যথা কমবে।
৩. নিমপাতার রস ব্যথা কমাতে পারে। বেশ কয়েকটা পরিষ্কার নিমপাতা পাটায় থেঁতলে রস বের করুন। দুই তিন ফোটা রস সরাসরি কানে দিন। চাইলে নিমের তেলে কানে দিয়ে একভাবে শুয়ে থাকুন। ব্যথা কমবে।
৪. ভিনেগারের মধ্যে যে অ্যাসিড থাকে তা কানের সংক্রমণ কমাতে পারে। সমপরিমাণে সাদা ভিনিগার আর রাবিং অ্যালকোহল একটা পাত্রে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ড্রপার দিয়ে সংক্রমিত কানে দুই তিন ফোটা দিন। পাঁচ মিনিট ওভাবেই শুয়ে থাকুন। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে তরলটা কান থেকে বের করে দিন।
মনে রাখতে হবে কানে যদি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে থাকে, তাহলে এখানে দেয়া টিপসগুলো আপনাকে সাময়িক আরাম দেবে ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
কিন্তু তা আপনার কানকে সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে না। এগুলো চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি নয়। তাই ব্যথা সাময়িক কমে গেলেও অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।