চারপাশের বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা ধরনের জীবাণু। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে আপনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে হবে।
সাধারণ কিছু খাবার নিয়মিত খেলেই এটা বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব। কী সেই খাবার? চলুন জেনে নিই।লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই যখনই সুযোগ মিলছে তখনই লেবু খান।
ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
যখন চা পান করবেন, তখন লেবু চাকেই বেছে নিন।
লেবুজাতীয় ফল যেমন কমলা, মাল্টা, জাম্বুরাও নিয়মিত খেতে পারেন।
পেয়ারাতেও ভিটামিন সি আছে।
একইভাবে পেঁপে, কলা, সবুজ পাতা গোত্রের সবজি ও শাকে পাওয়া যাবে এই ভিটামিন। তাই প্রতিদিনের খাবারে এসব রাখুন।
হলুদ, বিশেষ করে কাঁচা হলুদ কারকিউমিন নামক একটি যৌগের গুণে সমৃদ্ধ। ইনফ্লামেশন কমাতে এটা দারুণ কার্যকর। অধিকাংশ ব্যথাও এটি সারিয়ে তোলে।
তাই সাধারণ গলাব্যথা বা কাশি হলে আগে আদা, গোলমরিচ, হলুদ আর মধু একসঙ্গে ভালো করে ফুটিয়ে পানিটা পান করুন।
আদা তো হজমের জন্যও দারুণ সহায়ক, সেই সঙ্গে প্রদাহও কমায়।রান্নার সব আইটেমে রসুন রাখুন। পৃথিবীর সর্বত্র রান্নায় রসুন ব্যবহার হয়।
কারণ মানুষ বহুদিন আগেই বুঝেছিল যে রসুন জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে।
বাসায় চিনাবাদাম ও কাঠবাদাম রাখুন। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী।
এসব খাবার থেকে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। হজম-প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী রাখতে এটা দারুণ কাজের।
ঔষধি গাছ হিসেবে তুলসী সুপরিচিত। ভিটামিন সি ও দস্তা প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ধ্বংস করতে তুলসী একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ।
খালি পেটে দুই থেকে তিনটি সতেজ তুলসীপাতা খেতে পারলে উপকার পাওয়া যায়।
গোলমরিচেও আছে নানা রকম গুণ। ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ উপাদানসমৃদ্ধ এই মসলাটি। আরও রয়েছে ভিটামিন সি। ফলে প্রাকৃতিকভাবে এটা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।