খুশকি থেকে চুল রক্ষা করতে সচেতনতাই যথেষ্ট। নিয়ম মেনে চললে খুশকির আক্রমণ তো কমবেই, অনেক সময় খুশকি একেবারে দূর হয়ে যেতে পারে।
নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে তার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বাছাই করতে হবে।
শ্যাম্পু করার পর প্রচুর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। মাথার তালুতে যেন শ্যাম্পুর ফেনা বা কন্ডিশনার লেগে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শুধু পরিমাণমতো পানি পান করলেই অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খুশকিও তেমন একটি।
পানি কম পান করলে শরীরে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। মাথার ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। ফলে খুশকি দেখা দেয়। তাই পানি, স্যুপ, মাঠা, মিল্কশেক পান করুন। সঙ্গে তাজা ফল ও শাকসবজি খান।
খুশকি এক ধরনের ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ। আর সেটা ঠেকাতে পারে ভিটামিন ‘সি’।
নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লেবু, কমলা, মালটা, আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম রাখুন। ভিটামিন ‘বি’ আর জিঙ্কের ঘাটতি হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
মাথায় প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করে খুশকি তাড়াতে পারবেন। নারকেল তেল, কাঠবাদাম তেল, অলিভ অয়েল অথবা সরিষার তেলের মধ্যে কোনটি আপনার চুল সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর, সেটি আগেই পরীক্ষা করে নিন।
নির্বাচিত তেলটি কুসুম গরম করে মাথার তালুতে নিয়মিত লাগান। তেল দেয়ার সময় তালুতে ম্যাসাজ করুন। তারপর গরম পানিতে ভিজিয়ে নেয়া তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। তাতে তেলের পুষ্টিগুণ চুলের গভীরে পৌঁছে যাবে।
পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। তেল আপনার তালুর রুক্ষতা দূর করবে; মালিশ বাড়াবে রক্ত চলাচল। মাথার তালু সুস্থ থাকলে ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে।
চুল ধোয়ার জন্য অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নেয়ার পর অ্যাপল সিডার ভিনিগারের মিশ্রণ দিয়ে সবশেষ ওয়াশ করুন। সমপরিমাণ পানি ও ভিনিগার মিশিয়ে এই মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারবেন।
তবে যাদের চুল রুক্ষ, তারা অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করবেন না। কারণ এর ফলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
দই আর অ্যালোভেরা মিশিয়ে বানানো জেল প্যাক সপ্তাহে এক দিন চুলে ব্যবহার করলে চুল থাকবে মসৃণ ও মোলায়েম। খুশকি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে।