রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসায় ‘ফার্স্ট এইড বক্স’-এর প্রয়োজন হয়। এটা বাসায় থাকলে সামান্য কেটে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, পড়ে যাওয়ার চিকিৎসা বাসাতেই করে ফেলা সম্ভব। বড় বড় ওষুধের দোকানে ফার্স্ট এইড বক্স কিনতে পাওয়া যায়। তবে চাইলে আপনি খুব সহজেই এটা বানিয়ে নিতে পারেন।
ফার্স্ট এইড বক্সে কী কী সরঞ্জাম এবং দরকারি ওষুধ রাখবেন, জানিয়েছেন ডা. মনোয়ার হোসেন।
ব্যান্ডেজ
কেটে যাওয়া বা ক্ষত জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে প্রয়োজন জীবাণুমক্ত কাপড়। প্রাথমিক চিকিৎসা করতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বাজারে রোলার ব্যান্ডেজ পাওয়া যায়। সেটা সংগ্রহ করতে পারেন। চাইলে পরিষ্কার কাপড় লম্বা করে কেটে ব্যান্ডেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এটাকে জিপ প্লাস্টিক ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে।
চিমটা এবং কাঁচি
হাতে-পায়ে কাঁটা ঢুকলে চিমটা দিয়ে বের করতে হয়। কাঁচি লাগে ব্যান্ডেজের কাপড় কাটতে। তাই ফার্স্ট এইড বক্সে এই দুটি জিনিস অবশ্যই রাখুন।
অ্যান্টিসেপটিক ওষুধ
কেটে যাওয়া অথবা আঘাত পাওয়া স্থানে ইনফেকশন রোধে অ্যান্টিসেপটিক মলম ব্যবহার করতে হয়। তা না হলে ক্ষত থেকে পচন শুরু হতে পারে। স্যাভলন, ডেটল, হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড, পভিসেভ ইত্যাদি ক্ষত স্থানে ইনফেকশন রোধে দারুণ কার্যকরী। তাই ফার্স্ট এইড বক্সে এগুলো রাখুন।
লিউকোপ্লাস্ট টেপ
ক্ষতের ওপর ব্যান্ডেজ দেয়ার পর সেটা আটকে রাখতে ব্যবহার করা হয় লিউকোপ্লাস্ট টেপ। সে কারণে ফার্স্ট এইড বক্সে এটাকে জায়গা দিতেই হবে।
হ্যান্ড গ্লাভস
প্রাথমিক চিকিৎসা যিনি করবেন তিনি হ্যান্ড গ্লাভস পরে কাজ করলে রোগীর ক্ষত স্থানে জীবাণু সংক্রমণের হার অনেক কমে যাবে। বাজারে ৫০টি গ্লাভসের প্যাকেট পাওয়া যায়। ফার্স্ট এইড বক্সে এক প্যাকেট গ্লাভস রাখতে পারেন।
থার্মোমিটার ও ব্লাড প্রেশার মাপার যন্ত্র
জ্বর মাপতে থার্মোমিটার এবং ব্লাড প্রেশার মাপতে প্রেশার মাপার যন্ত্র প্রয়োজন হয়। ফার্স্ট এইড বক্সে এই দুটি যন্ত্র রাখতেই হবে। আজকাল ডিজিটাল থার্মোমিটার এবং ডিজিটাল প্রেশার মাপার যন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করা সহজ।
ওষুধ
ওরস্যালাইন, প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ, পেইন কিলার, বার্নল এবং অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ রাখতে হবে। চাইলে আপনার প্রয়োজন অনুসারে অন্য ওষুধও রাখতে পারেন।
এ ছাড়া ডায়াবেটিস মাপার মেসিন, অ্যাডহেসিভ ব্যান্ডেজ, টর্চ, সিরিঞ্জ, সেফটিপিন, হ্যান্ড সেনিটাইজার ইত্যাদি রাখলে আপনার ফার্স্ট এইড বক্স আরও সমৃদ্ধ হবে।