আমাদের চুলের দুটি মূল উপাদান হচ্ছে কেরাটিন আর অ্যামাইনো অ্যাসিড। দুটোই কিন্তু প্রোটিন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, চুলে প্রোটিনের প্রবাহ বজায় রাখতে না পারলে চুলের অবস্থা কী হবে!
আমি বলে দিচ্ছি। চুল হবে মলিন, রুক্ষ ও দুর্বল। ফলে চুল আঁচড়ানোর মতো সামান্য টানেই সেটা উঠে আসবে।
এসব সমস্যা এড়াতে অনেকেই পারলারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্য রকম। পারলার বন্ধ।
ভাবছেন, তাহলে চুলের কী হবে?
চিন্তা নেই। চাইলে ঘরে বসেই বানাতে পারবেন প্রোটিন প্যাক। আপনার হাতের কাছে যেসব সামগ্রী সারা বছর থাকে, তা দিয়েই এই প্যাক বানানো সম্ভব।
ডিম প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
একটা বাটিতে ডিমের কুসুম, নারকেল বা অলিভ ওয়েল তেল আর মধু নিন। ভালো করে নেড়ে পেস্ট বানান। ডিমের আঁশটে গন্ধ তাড়াতে এই প্যাকে মেশাতে পারেন পছন্দের কোনো অ্যাসেনশিয়াল অয়েল। পুরো মাথায় ও স্ক্যাল্পে এই প্যাক লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সময় শেষ হলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। খুশকির সমস্যা থাকলে এর মধ্যে লেবুর রসও মেশানো যায়। সপ্তাহে একবার লাগাতে পারেন। তবে ১৫ দিনে একবার লাগালেও চলবে।
টকদইয়ে ভালো পরিমাণে প্রোটিন পাবেন। তাই প্রোটিন প্যাক বানাতে টকদই ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাকা সাগর কলা থেঁতলে নিন। তাতে টকদই ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে চুলটা শ্যাম্পু করে ফেলুন।
কাঠবাদামের তেলে পাকা সাগরকলা চটকে দিন। আগের নিয়মে মিশ্রণটি চুলে লাগান এবং এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সময় শেষ হলে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
গোসলের সময় প্যাক তোলার জন্য চুলে বেশি ঘষাঘষি করবেন না। শাওয়ারে পানির প্রবাহের নিচে দাঁড়ান এবং দুই হাত দিয়ে হালকা করে ঘষুন। গোসল শেষে চুল মোছার কাজটাও আস্তে করুন।