লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ। তাই বলে কি ঈদের কেনাকাটা হবে না? অবশ্যই হবে। তবে সেটা করতে গিয়ে আমাদের নির্ভর করতে হবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ওপর।
এই লকডাউনেও ডেলিভারি চালু রেখেছে ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন পেজগুলো। তাই ঈদের পোশাকের জন্য সেখানে ঢুঁ মারতে পারেন। পোশাক কেনার আগে কী কী বিষয় খেয়াল রাখবেন, তা জানিয়েছেন অনলাইন শপ সেলাইঘর-এর মালিক তাসলিমা নীলু।
অনলাইনে কোনো একটি পোশাক পছন্দ হলেই অর্ডার দিয়ে ফেলবেন না। যে পেজটি থেকে আপনি কিনছেন আগে সেই পেজ সম্পর্কে খোজখবর নিন। কত দিন আগে পেজটি খোলা হয়েছে, পেজটিতে লাইকের সংখ্যা কত, পেজটিতে স্যাটিসফায়েড কাস্টমারদের রিভিউ দেয়া আছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে আগেই জেনে নিন। প্রতিটা পেজের ‘অ্যাবাউট’ সেকশনে গেলেই এই তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
এবার আপনার জন্য মানানসই পোশাক খুঁজুন। কোনো একটি পোশাক পছন্দ হলে ইনবক্সে সেটি সম্পর্কে খোঁজ নিন। কী ধরনের কাপড়, রং উঠবে কি না, অরিজিনাল ড্রেস নাকি কপি ইত্যাদিসহ আপনার মনে আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে সেগুলো জেনে নিন। এসব বিষয়ে বিক্রেতা সহযোগিতা না করলে বুঝতে হবে ঠকার আশঙ্কা আছে। তবে সন্তুষ্ট হলে ডেলিভারি এবং পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে জানুন এবং অর্ডার দিন।
সব সময় ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ সিস্টেম অর্থাৎ পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সিস্টেমে পোশাক কিনুন। তাহলে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
পোশাক হাতে পেয়ে ডেলিভারিম্যানকে সামনে রেখেই প্যাকেট খুলুন এবং পোশাকের গুণগত মান দেখে নিন। পোশাকে সমস্যা থাকলে তৎক্ষণাৎ সেটি ফেরত দিন। তবে যেমনটি বিক্রেতা বলেছিলেন, পোশাকটি ঠিক তেমন হলে সেটি গ্রহণ করুন এবং মূল্য পরিশোধ করে ডেলিভারিম্যানকে বিদায় দিন।