ডিম আমাদের সবার পছন্দের খাবার। তবে কোলেস্টেরলের ভয়ে অনেকেই ডিম খেতে চান না। খেলেও কুসুম ছাড়া খান। আপনাদের জন্য আছে সুসংবাদ।
সম্প্রতি এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ডিমের কুসুম থেকে যে কোলেস্টেরল পাওয়া যায়, তা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না।
এ ছাড়া ডিম থেকে পাওয়া যায় ফলেট, কোলিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, লেটিইন এবং জি-অ্যাকজানথাইন। ফলে গর্ভবতী মা, শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ডিম উপকারী।
সহজপাচ্য, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হলো সেদ্ধ ডিম। সেদ্ধ করতে তেল দিতে হয় না। এই কারণেই পুষ্টিবিদরা অমলেট না করে খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ডিম যে তেলে ভাজা হয়, তার মধ্যকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কাঁচা ডিম বা আধা সেদ্ধ ডিমও পুষ্টিযুক্ত। তবে সেই ডিমে জীবাণুর সংক্রমণ থাকলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
যারা ওজন ঠিক রাখতে চান কিংবা বাড়াতে চান না, তাদের ডিম পোচ এবং ডিম ভেজে না খাওয়াই ভালো। ব্লাডপ্রেশারের সমস্যা থাকলে পোচ এবং ভাজা ডিম একেবারেই ত্যাগ করা উচিত। তবে শিশুদের জন্য ডিম পোচ ভালো।
ডিমে অরুচি হলে ডিম কারি করে ভাত বা রুটির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। তাতে রুচি বাড়বে।
ডিম কেনার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। ফাটা কিংবা ট্যাপ খাওয়া ডিম কেনা যাবে না। এসব ডিমে জীবাণুর সংক্রমণ থাকতে পারে।
ফ্রিজের বাইরে সংরক্ষণ করলে ডিমের সাদা অংশ ভালো থাকে এবং কুসুম ভালো থাকে এক সপ্তাহ। তবে ফ্রিজে হিমায়িত অবস্থায় ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম ভালো থাকে তিন মাস।
ডিম খাওয়ার পর কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সেগুলো হলো কলা, মধু, লেবু, টক দই। এগুলো এক সঙ্গে খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে।