বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউনে প্রাথমিক চিকিৎসা

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২১ ১২:৫৮

জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন নম্বর ১৬২৬৩-এ ফোন করে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায়। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। নম্বরটি আপনার মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখুন।

শরীর খারাপ হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। হঠাৎই কেটে যেতে পারে হাত। তেল ছিটে পুড়তে পারে মুখ কিংবা পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে কোমর। অন্য সময়ে চাইলেই ছুটে গিয়ে মোড়ের ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়া যেত। কিন্তু লকডাউনের এই বন্দি সময়ে সেই সুযোগ নেই। তাই হাতের কাছেই রাখতে হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম। জানতে হবে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু নিয়মকানুন।

পুড়ে গেলে প্রথমেই আক্রান্ত স্থানে ঠাণ্ডা পানি ঢালুন। ঠাণ্ডা পানি পাওয়া না গেলে সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিতে পারেন। ফ্রিজে বরফ থাকলে ক্ষতস্থানে সেটা ঘষুন। জ্বালা না থামা পর্যন্ত হালকাভাবে ঘষতেই থাকুন। জ্বালা কমে গেলে বার্ন ক্রিম বা সিলভার নাইট্রেট মলম লাগিয়ে দিন।

অনেকে পুড়ে যাওয়া স্থানে টুথপেস্ট, ডিমের সাদা অংশ লাগান। এটা করা যাবে না। যদি থার্ড ডিগ্রি বার্ন হয় কিংবা শরীরের অনেক অংশ পুড়ে যায়, তাহলে বার্ন ক্রিমও লাগানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হাসপাতালে যেতে হবে।

কেটে গেলে প্রথমেই কাটা অংশটি পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে বেঁধে রক্তপাত বন্ধ করুন। সম্ভব হলে কেটে যাওয়া জায়গাটা একটু উঁচুতে তুলে রাখুন। তাতে রক্তপাত দ্রুত কমবে।

রক্তপাত কমে এলে কাপড়ের বাঁধন খুলে জায়গাটা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। অ্যান্টিসেপটিক মলম লাগিয়ে আবার বেঁধে ফেলুন।

রক্তপাত বন্ধ না হলে এবং ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়লে শিরা কেটেছে বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুই আঙুলে শক্ত করে ধরে রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

কিসের সাহায্যে কেটেছে এবার সেদিকে নজর দিন। মরিচাধরা কিংবা নোংরা বস্তুর সাহায্যে কাটলে টিটেনাস ইনজেকশন নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তেমন হলে সময় সুযোগমতো ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে প্রথমেই আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গের নড়াচড়া বন্ধ করতে হবে। হাতে আঘাত পেলে পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে গলায় ঝুলিয়ে দিন। পায়ে আঘাত লাগলে পা স্থিরভাবে রাখতে চেষ্টা করুন। বরফ লাগালে ব্যথা কমবে। যদি হালকা ব্যথা অনুভব হতে থাকে তাহলে প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। তবে তীব্র ব্যথার অনুভূতি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে প্রথমেই হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করতে হবে। হৃদস্পন্দন বন্ধ থাকলে সিপিআর বা কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন দিতে হবে।

আপনার সঙ্গে কেউ থাকলে প্রথমেই তাকে ৯৯৯ জরুরি সেবাকেন্দ্রে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। তবে সঙ্গে কেউ না থাকলে নিজেই ফোন করুন এবং ফোনটি স্পিকার মুডে রেখে সিপিআর শুরু করুন।

সিপিআর দেয়ার ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

পিরিয়ডের সময় যাদের পেটে ব্যথা হয়, তারা গরম সেঁক দিলে আরাম পাবেন। দাঁতে ব্যথা হলে গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। ব্যথা না কমলে প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খেয়ে দেখুন কমে কি না। তাতেও কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন নম্বর ১৬২৬৩-এ ফোন করে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায়। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। নম্বরটি আপনার মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখুন। জরুরি চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য বাতায়নে ফোন করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এ বিভাগের আরো খবর