লকডাউনে সারা দিন শুয়ে-বসে থাকতে থাকতে স্বাভাবিকভাবে একঘেয়ে ভাব চলে আসে। কী করবেন ভেবে না পেয়ে মাথায় আইডিয়া আসে, ‘কিছু খাই।’
বিশেষ করে বিকেলের দিকে খাওয়ার আগ্রহ মনে উঁকি দেয়। মনকে লাই দিতে গিয়ে পেটে চলে যায় পিজ্জা, নুডুলস, বারগার, ভাজাপোড়া দিয়ে মাখানো মুড়ি ইত্যাদি। লকডাউনে অলস বসে থাকা শরীর যদি উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন এসব খাবার পায় তো সে মোটা হওয়া শুরু করে।
এ রকম পরিস্থিতিতে বিকেলের দিকে এমন কিছু খেতে হবে যা খিদেটাও মেটাবে, আবার শরীরও ভারী করবে না।
কী হতে পারে সেই খাবার?
বিকেলের নাশতায় সালাদ হতে পারে দারুণ একটা অপশন। নানাভাবে এটা তৈরি করা যায়।
যেমন ধরুন হালকা সেদ্ধ করা বিট বা গাজর কুচি করে নিয়ে পানি ঝরানো টক দই, চাটমসলা, কাঁচা মরিচ, বিট লবণ মিশিয়ে খেতে হেভি লাগে। এই পদটি অল্পতেই আপনার পেটকে পূর্ণ করে ফেলে কিন্তু ক্যালরি কম দেয়।
শসা, গাজর, টমেটো দিয়েও সালাদ হতে পারে। সঙ্গে কাঁচা মরিচ ও বিট লবণ থাকলে স্বাদটা হবে দারুণ।
সেদ্ধ ডিম, শসা, টমেটো, লেটুসপাতা, লবণ, কাঁচা মরিচ আর লেবুর রস মিশিয়ে বানানো যায় ডিম সালাদ।
ডিম বাদ দিয়ে বাদাম ভাজা বা ছোলা সেদ্ধ করে মিশিয়ে খেলেও চমৎকার লাগবে। বিভিন্ন রকম তাজা ফলের কুচি আর সামান্য চাটমসলা দিয়ে ফ্রুট সালাদও আপনার খিদের দারুণ সমাধান হতে পারে।
সালাদ না করে আস্ত ফলও খেতে পারেন। এখন আমের সিজন। চাইলে একটা আম খেয়ে নিতে পারেন, দুটো খেলেও সমস্যা নেই। তবে এর বেশি নয়। কারণ আমের চিনি আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে কাজ করবে।
নাশতা হিসেবে বাদাম দারুণ একটা অপশন। আখরোট, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ তাওয়ায় ভেজে নিন। কিছু সময় ফ্যানের নিচে রেখে ঠাণ্ডা করুন। তার মধ্যে শুকনো ক্র্যানবেরি, কালো আঙুর, কিশমিশ মেশান। ড্রাই ফুডের এই মিশ্রণটি বোতলে ভরে রেখে দিন। বিকেলে খিদে পেলে এক মুঠো নিয়ে আস্তে আস্তে খান। আপনার খিদে মেটাবে, পাশাপাশি আপনার হার্টকেও সচল রাখবে।
বিকেলে খাওয়ার জন্য পপকর্ন একটা ভালো অপশন হতে পারে। খুব বেশি লবণ এড়িয়ে এক বাটি পপকর্ন খান।
মরিচ, ধনেপাতা, লেবুর রস, বিট লবণ দিয়ে ভুট্টা বা ছোলা সেদ্ধ খেলে আপনার জিহ্বা এবং পেট দুটোই খুশি হবে। সঙ্গে খুব অল্প করে মুড়িও মিশিয়ে নিতে পারেন।