বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে পুরোদমে লকডাউন। অফিস নেই, মার্কেট নেই, বিনা কারণে ঘোরাঘুরি নেই। ফলে সারা দিন থাকতে হবে বাসায়। স্বাভাবিকভাবে বাসার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের ব্যবহার যাবে বেড়ে। মাস শেষে আসবে বাড়তি বিল।
বাড়তি বিলের এই বোঝা নিতে না চাইলে এখনই আপনাকে সাবধান হতে হবে। মানতে হবে সহজ কিছু নিয়মকানুন।
প্রথমেই আসা যাক গ্যাসের কথায়।
গ্যাস বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্রেশার কুকার। যেকোনো রান্নায় প্রেশার কুকার ব্যবহার করতে পারেন।
লাউ, পেঁপে, বাঁধাকপির মতো সবজি সেদ্ধ হতে সময় লাগে বেশি। সামান্য লবণ দিয়ে প্রেশার কুকারে ভাপিয়ে নিয়ে রান্না করুন।
চাল বা ডাল রান্নার আগে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। রান্নার আগে পানি ফেলে দিন। প্রেশার কুকার দিয়ে সেদ্ধ করা যায় দুটোই। তাতে গ্যাস বাঁচে।
অনেকে প্রেশার কুকারের রান্নায় স্বাদ পান না, তারা বাধ্য হয়ে গ্যাসের চুলায় রান্না করেন। সে ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।
রান্নার পাত্র ভালো করে মুছে চুলায় বসান। পাত্রে পানি লেগে থাকলে সেটা শুকাতে গিয়ে বাড়তি গ্যাস খরচ হয়ে যায়।
সবজি, মাছ, মাংস চুলায় বসানোর আগে সমস্ত মসলাপাতি জোগাড় করে রাখুন। রান্না বসিয়ে মসলাবাটা নেই, সবজি কাটা নেই- পরিস্থিতি তৈরি হলে গ্যাস খরচ তো বেশি হয়-ই, কড়াইও যায় পুড়ে।
অল্প আঁচে রান্না করা ভালো। তাতে সবজির পুষ্টিগুণ বজায় থাকে, গ্যাস কম খরচ হয়।
যাদের বারবার চা পান করার অভ্যাস আছে, তারা একবারে চা বানিয়ে ফ্ল্যাক্সে রেখে দিন। যখন প্রয়োজন হবে তখন ফ্ল্যাক্স থেকে নিয়ে পান করুন।
তাতে বারবার চুলা জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না। বাঁচবে গ্যাস।
বৃষ্টির দিনে অনেকেই রান্নাঘরে দড়ি টানিয়ে কাপড় শুকাতে দেন। এটা একদিকে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি হয় গ্যাসের অপচয়।
বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে খুব বেশি কিছু করতে হয় না। অপ্রয়োজনীয় বাতি, ফ্যান বন্ধ করে রাখলেই বিদ্যুৎ খরচ উল্লেখযোগ্য হারে সেভ হবে।
অ্যানার্জি সেভিং বাল্ব যেমন এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। এসি এবং ফ্রিজের ক্ষেত্রে ইনভার্টার আছে এমন এসি-ফ্রিজ বেছে নিন।
মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে ভুলে যাওয়া যাবে না। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ চার্জ হলেই ডিভাইসটা চার্জার থেকে খুলে নিন।
১০০ শতাংশ চার্জ হওয়ার পরও চার্জে দিয়ে রাখলে কিন্তু কিছু বিদ্যুৎ অপচয় হয়।