সহজে ব্যবহার করা যায় বলে টি ব্যাগের চাহিদা সব সময়ই বেশি। চা বানিয়ে আমরা সাধারণত টি ব্যাগটি ফেলে দিই। কারণ আমরা অনেকেই জানি না, ব্যবহারের পর টি ব্যাগটি আমাদের আরও কিছু কাজে আসতে পারে।
প্রথমেই বলতে হয় সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহারের কথা। ফেসস্ক্রাব হিসেবে টি ব্যাগের চা পাতাগুলো খুব কাজে দেয়। নিয়মটা একেবারেই সহজ। ব্যবহার করা টি ব্যাগটা কেটে চাপাতার গুঁড়াগুলো বের করে আনুন। সেগুলোতে এক চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এবার সেটা সারা মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে। এর মধ্যে পেস্ট শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অপর্যাপ্ত ঘুম ও দুশ্চিন্তার কারণে অনেকের চোখের নিচের নরম অংশ ফুলে যায়। এই ফোলাভাব কমাতেও টি ব্যাগ কাজে আসে। প্রথমে দুটো টি ব্যাগ নিয়ে গরম পানিতে ভেজাতে হবে। কিছুক্ষণ পর সেটাকে তুলে ঠান্ডা হবার জন্য রেখে দিন। বিছানায় শুয়ে দুই চোখের নিচে টি ব্যাগ দুটি দশ মিনিট রাখুন। এবার পানি দিয়ে মুখমণ্ড ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ফোলা ভাব কমে যাবে।
এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে টি ব্যাগের জুড়ি নেই। ব্যবহারের পর টি ব্যাগটি ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। তাতে কয়েক ফোঁটা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন। সেটাকে একটা পাত্রে নিয়ে রুমের এমন জায়গায় রাখুন যেন সহজে চোখে না পড়ে। আড়ালে থেকেই সে আপনার রুমের বাতাসে হালকা সুগন্ধ ছড়াতে থাকবে।
গাছের যত্নেও পিছিয়ে নেই টি ব্যাগ। আপনার বাগানে ছত্রাক-ফাঙ্গাস ইত্যাদির আক্রমণ হয়ে থাকলে টি ব্যাগের সাহায্য নিন। ব্যবহার করা টি ব্যাগ পানিতে ফেলে ফুটান। সেই পানিটাকে স্প্রে বোতলে ভরে গাছে স্প্রে করুন। এক মাস দিনে দুইবার নিয়মিত ব্যবহার করলে ছত্রাক কমে যাবে।
একইভাবে তাড়াতে পারেন ঘরে থাকা তেলাপোকা, চায়নাপোকা, উইপোকা ইত্যাদি। তবে সে জন্য লাগবে পিপারমিন্ট টি ব্যাগ। গরম পানিতে পেপারমিন্ট টি ব্যাগ ভিজিয়ে নিন। তাতে দুই ফোঁটা তরল সাবান যোগ করুন। ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ঘরের কোনায় কোনায় স্প্রে করুন। পোকামাকড়ের উৎপাত কমে যাবে।