ব্যাংক খাতে দাম বৃদ্ধির পর দিনই পতনের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারল না চাঙা পুঁজিবাজারও। বস্ত্র খাতে। তালিকাভুক্ত ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে প্রথমটির লভ্যাংশ চমৎকৃত করলেও এই খাতেও দরপতনে তৈরি হয়েছে বিস্ময়।
তবে সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাতে দরপতনেও লভ্যাংশের অপেক্ষায় থাকা প্রধান প্রধান খাত বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিকের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির চাঙাভাবে টানা পঞ্চম দিনের মতো বাড়ল পুঁজিবাজার।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বিমা খাতের শেয়ারধারীদেরকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। টানা প্রায় দুই মাস ধরে সংশোধনের মধ্যে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান এখন সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্টের ঘর ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে। সূচকের অবস্থান এখন ২০১১ সালের ২৭ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৬২৭ পয়েন্ট। সেখান থেকে ৩১ পয়েন্ট কমে শেষ হয়েছে আজকের লেনদেন।
তখন অবশ্য ডিএসইএক্স সূচক ছিল না, সে সময় সূচকের নাম ছিল ডিএসই সূচক। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হয় ডিএসইএক্স সূচক।
এই ডিএসই ও ডিএসইএক্স সূচকের তুলনা করলে দেখা যায়, চালুর দিন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৫৫। তবে সেদিন ডিএসই সূচকের মানদণ্ডে তা ছিল ৪ হাজার ১৭১ পয়েন্ট।
সূচক ৬০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার দিন লেনদেনেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। প্রায় দুই মাস পর লেনদেন আবার ছাড়াল আড়াই হাজার কোটি টাকার ঘর। এর আগে গত ১০ জুন ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা আর তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এই লেনদেন ছিল ২০১০ সালের মহাধসের পর সর্বোচ্চ।
আগের কর্মদিবস মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের উত্থান আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। ২০২০ সালে অর্থবছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ, চলতি বছর আরও বেশি মুনাফা করে আলোচনায় থাকা এই খাতটির ঝিমিয়ে থাকার মধ্যে সেদিন ৩১টি কোম্পানির সবগুলোর দাম বৃদ্ধি ঘটে।
পুঁজিবাজারের চাঙাভাবের মধ্যে এই খাতটির শেয়ার দর অবমূল্যায়িত বলেই ধারণা করা হয়। এর আগে গত ২৭ মেও একই দিন সব কটি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির চিত্র দেখেছিল পুঁজিবাজার। সেদিনও এই খাতের বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হয়ে উঠেন যে, খাতটি হয়ত ভালো করবে। কিন্তু পরের দিনেই দাম কমে যায় আর ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ২০টির দামই এখন সেই ২৭ মের দামের চেয়ে কমে।
ব্যাংক খাতে কোনো একদিন দাম বৃদ্ধি পেলেও পরে তা ধরে রাখতে না পারার এই বিষয়টি ঘটল আবার। এদিন ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে আটটির দাম বেড়েছে নগণ্য পরিমাণে। এর বিপরীতে কমেছে ১৭টির দর। শতকরা হিসেবে দাম খুব বেশি কমেছে এমন নয়, তার পরেও দ্বিগুণ সংখ্যক শেয়ারের দাম হারানো নিশ্চিতভাবেই হতাশ করেছে এই খাতের বিনিয়োগকারীদের। বাকি ৬টি ব্যাংক দাম ধরে রাখতে পেরেছে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এই খাতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড চলতি বছরের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই লভ্যাংশ পুঁজিবাজারের অন্য খাতের কোম্পানির এর চেয়ে কিছুটা বেশি হারে লভ্যাংশের চেয়ে ভালো। কারণ, ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশের জন্য কর দিতে হয় না বিনিয়োগকারীদের, যেখানে অন্য খাতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আয়কর কেটে রাখা হয়।
এই খাতের ৩০টি ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আসছে আরেও ১৩টির ঘোষণা।
ফান্ডগুলো চাঙা পুঁজিবাজারে গত এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করেছে। আর এখন লভ্যাংশ সব বিতরণ করতে হয় নগদে ফলে বেশ ভালো লভ্যাংশের আশা করা হচ্ছে।
এনএলআই দেখিয়েছে এবার লভ্যাংশ কেমন হতে পারে, কী নীতিমালায় হবে। তারা চমৎকৃত করার পর লেনদেনের শুরুতে এই খাতটি চাঙা হয়েছিল বটে, কিন্তু শেষ বেলায় দর হারিয়ে বসে বেশিরভাগ ফান্ড।
দিন শেষে ১১টি ফান্ডের দর বৃদ্ধির বিপরীতে মূল্য হারায় ১৩টি। দর ধরে রাখে বাকি ১২টি। এর মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করা এনএলআই এর দাম কমেছে ইউনিটপ্রতি ৬০ পয়সা।
টিকল না ব্যাংকের বাড়তি দর
আগের দিন সব কটি ব্যাংকের দাম বাড়ার কারণে এই খাতটি নিয়ে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, তাতে ধাক্কা লাগল দ্বিতীয় দিনই। বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি লেনদেনও অর্ধেক হয়ে গেছে।
যদিও দাম বৃদ্ধি ও কমার হার খুব একটা বেশি না। সবচেয়ে বেশি কমা এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর হারিয়েছে ২.৩৯ শতাংশ। শেয়ার দর ২৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা।
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেনের ৪০ শতাংশের বেশি ছিল বস্ত্র, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও প্রকৌশল খাতে
রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর ৩২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২.১৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৩১ টাকা ৯০ পয়সা।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ২ শতাংশ কমে ৫ টাকার শেয়ার দিন শেষে হয়েছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা।
ইউসিবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৮১ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৬ টাকা ২০ পয়সা।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর ৮৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১.৭৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৪ টাকা ৪০ পয়সা।
ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার দর কমেছে দেড় শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
এ তালিকায় আছে ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক।
এদিন দর বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকের তালিকায় ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ। উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার দরও বেড়েছে একই হারে। ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৮৫ শতাংশ। ব্যাংকটির শেয়ার দর ৩৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১১৮.৭০ কোটি টাকা যা আগের দিন ছিল ২৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১২৮ কোটি টাকার মতো।
আগ্রহের কেন্দ্রে তিন খাত
এদিন যত লেনদেন হয়েছে তার ৪৩.৮২ শতাংশই হয়েছে তিনটি খাতে। এগুলো হলো বস্ত্র, প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন।
এই তিনটি খাতের ১১৪টি কোম্পানির অর্থবছর শেষ হয়েছে। যদিও একটি অংশের কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ বা লোকসানে আছে, তার পরেও এসব কোম্পানিকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। কারণ, এগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করে আবার চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আবার যেগুলো মুনাফায় আছে, সেগুলোর বেশিরভাগ করোনার মধ্যেও বেশ ভালো মুনাফা করেছে।
এই তিন খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে ৩৯৮ কোটি ২০ টাকা। আগের দিন এই খাতে হাতবদল হয়েছিল ২৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। এক দিনেই লেনদেন বেড়েছে ১২২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
১০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির অর্ডার পাওয়ার পর গত সোমবার এই খাতে উত্থান দেখা দিলেও মঙ্গলবার ঘটে দর পতন। বুধবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেন ছিল বন্ধ। আর এই বিরতির শেষে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ এই খাতেই।
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি ছিল বস্ত্র খাতের ঢাকা ডাইং, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০ শতাংশ, দাম ২৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬ টাকা ৪০ পয়সা।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৯.৮৭ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৭ টাকা ৮০ পয়সা।
সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৯.৮১ শতাংশ বেড়ে ২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা।
মালেক স্পিনিং মিলসের দর ৩০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৯.৭০ শতাংশ থেকে হয়েছে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা।
৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টির দর কমেছে, পাল্টায়নি চারটির, বেড়েছে বাকি ৫৮টির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে ৩৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে যা ছিল ৩১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বন্ধ কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাতের। ৯.১৭ শতাংশ বেড়ে ১০ টাকা ৯০ পয়সার শেয়ার হয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা।
জিপিএইচ ইস্পাতের দর ৮.৫০ শতাংশ বেড়ে ৪৯.৪ টাকা থেকে হয়েছে ৫৩.৬ টাকা।
নাহি অ্যালুমিনিয়ামের দর ৬.৭৫ শতাংশ, কপারটেকের ৬.৩১, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৬ শতাংশ।
সব মিলিয়ে এই খাতে বেড়েছে ৩২টি শেয়ারের দর, কমেছে ১০টির। যেগুলোর দর কমেছে, সেগুলোর দাম কমার হার খুবই কম।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ২৩৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। এই খাতে লেনদেন কমলে বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর।
এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত বহুদিন ধরে। বাকিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির আর কমেছে ৭টির দর।
চাঙা পুঁজিবাজারে ব্যাংক গা ঝাড়া দেয়ার পর দিন আবার মূল্য পতন দেখল, দাম কমেছে আর্থিক খাতেরও
এই ৩০টি কোম্পানির সিংগভাগই মুনাফায় আছে, আর এগুলোর অর্থবছরও শেষ হয়েছে ৩০ জুন। যে কোনো দিন আসবে বোর্ড সভার খবর। আর সেই সভা শেষে ঘোষণা হবে লভ্যাংশ।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সেন্ট্রাল ফার্মার। ৯.৫৭ শতাংশ বেড়ে ১৮ টাকা ৮০ পয়সার শেয়ার হয়েছে ২০ টাকা ৬০ পয়সা।
৮.৫৭ শতাংশ বেড়ে ফার কেমিক্যালের দাম ১৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা।
৭.৪৮ শতাংশ বেড়েছে লিব্রা ইনফিউশনের দর। ৬৬০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে শেয়ার দর হয়েছে ৭০৯ টাকা ৮০ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশনের দাম বেড়েছে ৭.১৬ শতাংশ। ৭২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে শেয়ার দর হয়েছে ৭৭ টাকা ৮০ পয়সা।
একই গ্রুপের ওরিয়ন ফার্মার দাম বেড়েছে ৬.৮৯ শতাংশ। ৬৩ টাকা ৮০ পয়সার শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৬৮ টাকা ২০ পয়সা।
হারানো দর কিছুটা হলেও ফিরে পেল বিমা খাত
লেনদেনের শুরুতে বিমা খাতের শেয়ারের দর পতন হলেও দিন শেষে বেড়েছে সিংহভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দর।
দিন শেষে এই খাতের ১০টি কোম্পানির দর কমার বিপরীতে বেড়েছে ৩৩টির। লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
আগের কর্মদিবসে এই খাতের ১১টির দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছিল ৩৯টির। লেনদেন হয়েছিল ১৮০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৫.৮৯ শতাংশ। এছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৭২ শতাংশ। ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ৫.১১ শতাংশ, প্রগতি লাইফের ৪.৮৮ শতাংশ, এছাড়া সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৪.৬৫ শতাংশ।
সিটি, গ্লোবাল, প্রাইম ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের দর বেড়েছে ৬টির, কমেছে ১৩টির। লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে এই খাতে ১১টির দর বাড়ার বিপরীতে কমেছিল ৬টির আর লেনদেন ছিল ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে বাকি চারটির। লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে ১২টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৭টির, লেনদেন ছিল ১০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৫টির। লেনদেন হয়েছে ১৪৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে আছে এই খাতের সিভিও পেট্রোক্যামেকেল যার দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ।
আগের কর্মদিবসেও এই খাতে ১৭টি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৬টির লেনদেন ছিল ১৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র। সূচকের এই অবস্থান ২০১১ সালের ২৭ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ
একটি ফান্ডের চমকপ্রদ লভ্যাংশ ঘোষণার দিনও বেশিরভাগ ফান্ডের দর হারানোর দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন অবশ্য বেড়েছে। ১১টির দর বৃদ্ধি, ১৩টির হ্রাস আর ১২টির দর অপরিবর্তিত থাকার দিন হাতবদল হয়েছে ১৪২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
আগের কর্মদিবসে দিন এই খাতে ১৩টির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৯টির, লেনদেন হয়েছিল ১০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতে এদিনও বেশ ভালো লেনদেন হয়েছে। ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টির, কমেছে ৩টির। হাতবদল হয়েছে মোট ১৮৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
আগের কর্মদিবসে ৭টি করে কোম্পানির দর বৃদ্ধি ও কমার দিন লেনদেন ছিল ১৮৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
এদিন আগ্রহের নতুন মোড় দেখা গেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। ১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টিরই। কমেছে অন্যটির। হাতবদল হয়েছে মোট ৭৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৯৬ দশমিক ০৭ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩৯ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫১১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ১৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৮১ কোটি টাকা।