পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন এনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির আদেশ জারির পর খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ফুংওয়াং ফুডের শেয়ারদর বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার লেনদেনে আড়াই ঘন্টায় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। ১৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা।
এর আগে রিং সাইন, এমারেল্ড অয়েল, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্সসহ যতগুলো কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছিল, তার সবগুলোর দাম দুই থেকে তিন গুণ বা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে।
- আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ‘জাগবে’ এমারেল্ডের স্পন্দন
- আরও পড়ুন: পুরোদমে চালু হচ্ছে রিং সাইন, শেয়ার কমছে ৫৪%
বিএসইসির এই উদ্যোগে এরই মধ্যে রিংসাইন ও আলহাজ্ব উৎপাদনে এসেছে। আর এমারেল্ড উৎপাদন শুরুর তারিখ জানিয়েছে। সিঅ্যান্ডএ, ফ্যামিলি টেক্স চালু নিয়ে নিয়ে বিএসইসির মধ্যে সংশয় থাকলেও এই দুই কোম্পানির শেয়ারদরেও হয়েছে উত্থান।
ফু ওয়াং উৎপাদনে, যে কারণে পর্ষদ পুনর্গঠন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিন্ত সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে বেছে বেছে আবারও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে ফুংওয়াং ফুডে স্বতন্ত পরিচালক নিয়োগের কারণ অন্য।
- আরও পড়ুন: সিঅ্যান্ডএ, ফ্যামিলিটেক্স: আশা কম, মামলার চিন্তা
- আরও পড়ুন: ইউনাইটেড এয়ার: কঠিন চ্যালেঞ্জে নতুন বোর্ড
উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের যে নির্দেশনা আছে সেটিও পরিপালন করেনি কোম্পানিটি। বর্তমানে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে আছে মোট শেয়ারের মাত্র ৯.৮৬ শতাংশ শেয়ার। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৭১.৭১ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ চৌধুরী তার মেয়ে লুবাবা তাবাস্সুমকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ নিয়ে মাসিক সম্মানীসহ আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন, যা আইনগতভাবে হয়নি বলেই অভিযোগ আছে।
বিএসইসি কোম্পানিটির বিষয়ে তদন্ত করে দেখেছে, কোম্পানিটি নানা অনিয়ম ও পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যাক্তিদের উচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন, যা সঠিক ডিসক্লোজার দেয়া হয়নি।
বিএসইসি এমন উদ্যোগের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা জম্মেছি, সব দুর্বল কোম্পানির বোর্ড ভেঙে দেয়া হবে আর সব কোম্পানি আবার চালু হবে। ফলে গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে দাপটের সঙ্গে দর বাড়াছে এসব খাতের কোম্পানির শেয়ারের।
যারা যুক্ত হলেন বোর্ডে
ফুংফুডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আরও পাঁচজন স্বতন্ত পরিচালক নিয়োগ করেছে বিএসইসি। তারা হলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফোশনালের প্রধান ফিন্যান্স কর্মকর্তা ইসরাত হোসাইন, সিঙ্গার বিডির সাবেক কোম্পানি সচিব ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) একাধিকবারের সভাপতি মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এফআইপিএম,এফসিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, এফসিএ, অধ্যাপক নিজামুল হক ভুইয়া এবং সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল।
জুন ক্লোজিংয়ের এই কোম্পানিটির ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১৭ পয়সা। ২০২১ সালের নয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২৬ পয়সা। কোম্পানিটির রিজার্ভে জমা আছে ২২ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ১.৬৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগের ২ শতাংশ, অর্থাৎ ২০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।