‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’, ‘হ্যাভ এ রিল্যাক্স’ এই কথাগুলো দিয়ে মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন শ্যামল চন্দ্র।
শ্যামলের একটি ইন্টারভিউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয় তার কথাগুলো।
সেই ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেছিলন, ‘ওয়াইফকে সময় দেয়ার মতো সময় আমার বর্তমানে নাই। খুবই ব্যস্ত।’
তার কথার রেশ ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে শেষ হওয়ার আগেই বিয়ে করেছেন শ্যামল। ১২ আগস্ট রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পুটিমারী গ্রামের দীপা রানীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
শ্যামলের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় শ্যামল বাংলাদেশ রেলওয়ের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী।
তার বিয়ের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, চিরকুমার থাকার ঘোষণা দিয়েও শ্যামল বিয়ে করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিয়ে করব না বা বিয়ে করতে চাইনি এটা মিথ্যে কথা, এটা অ্যাড করে দিচে জাস্ট, ইট নট ফর এ লিগ্যাল।
“আমি বলেছি, ‘আমাকে কোন মাইয়া চয়েস করব? আমি তো ইন হাউস টাইম বিজি’ এই কথা বলেছি। আর বলেছি ওয়াইফকে সময় দেয়ার মত এতটা টাইম আমার নাই।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিয়ে করব না কেন? একটা ছেলে বিয়ে করতে চাইবে না এটা কেমন ধরনের কতা দাদা? ওটা অ্যাড করে দিচে। একন আমার ভয়েস অনেক জাগায় চলছে।’
কবে বিয়ে করেছেন সে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিয়ে করেছি অনলি টুয়েলভ তারিখে। বিয়ে করার পর ছেলেদের যেভাবে লাগে আমাকেও সেরকম লাগছে। আসলে আমি ওরকম ছেলে না। আগেও যেমন আছি একোনো তেমন আছি। নট চেঞ্জ যাকে বলা হয়।
‘আমি পারিবারিক সিদ্ধান্তে হিন্দু ধর্ম মেনে বিয়ে করেছি। ইউ নট ফর মাইন্ড বাট হ্যাভ এ রিল্যাক্স।’
স্ত্রীকে দেয়ার সময় না থাকলেও কেন করলেন বিয়ে?
ফ্যামিলি থেকে বলা হয়েছে, ‘বিয়ে না করলে বাসা থেকে বের করে দেয়া হবে। গোয়েং টু দ্যা হোম গেট লক, তুমি বাসা থেকে বাহির হয়ে যাও। তোমার কাপুড়-চুপুড়, রান্নাবান্না, খাওয়াদাওয়া কে করি দিবে? তোমার মা করবে সারা বছর? তোমার বউ লাগবে না? তখন আমি একটু ভাবি নিলাম, কথাটা তো আসলে রিয়েলি সত্য।
‘আমি এক জায়গায় জব করি সময় পাই না। ব্যস্ত থাকি এনি হাউজ টাইম। ব্যস্ত থাকার কারণে তো কাপুড়-চুপুড়, এনিফরম (ইউনিফর্ম) ধোয়ার সময় পাই না। আমার তো লোক লাগবে একটা। ফলে বিয়ে করে ফেলছিলাম।’
শ্যামল বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ শ্যামল, সাধারণই আছি। আমার মধ্যে কোনো গ্রাইভিটি বা কোনো অহংকার নেই। আমার একটা সংস্থা আছে সেটা দিয়ে কিছু করে থাকি। মাস্ক বিতরণ করে থাকি।
‘যারা আমার কাছে আসে তাদের আমি সহযোগিতার হাত বাড়াই। আমার কাছে যেই ছোট ভাইরা আসে আমি সবসময় তাদের সহযোগিতার হাত বাড়ায়ে দেই।’
যারা তার ভক্ত, তাকে ভালোবাসে তাদের ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকতে চান শ্যামল।
মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তাকে জানান, সেই ইংরেজি বলা শ্যামলের বিয়ে হচ্ছে পুটিমারী গ্রামে। এ খবর পাওয়ার পর তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে তাদের বিয়েতে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন।
শ্যামল চন্দ্রের বিয়ের খবর জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই ভিড় জমায় তাদের বাড়িতে।