বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনের সব পশুর হাট

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২১ ১৬:২৫

‘খামারি, ফেসবুক, অনলাইনসহ সারা দেশের ১ হাজার ৯০০ অনলাইন পশু শপের ২৪১টি বিভিন্ন অনলাইন হাটে বেচাকেনা করছে। এর সব কয়টি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল হাটে যুক্ত হয়েছে। হাটে এরই মধ্যে ২০ লাখ মানুষ ভিজিট করেছে। ১০ লাখ ৯০ হাজার পশুর তথ্য আপলোড হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৮৮টি পশু বিক্রি হয়েছে। মোট বিক্রীত অর্থের পরিমাণ আকার ১ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।’

দেশের প্রায় আড়াই শ অনলাইন পশুর হাট নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে যাত্রা শুরু করেছে ডিজিটাল হাট। এখন থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তের ক্রেতা ও বিক্রেতা নিজেদের কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে পারবেন।

নিরাপদ বেচাকেনা নিশ্চিতের সুবিধার্থে সব অনলাইন হাটকে একই প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার ডিজিটাল হাট ডট নেট (digitalhaat.net) নামের এ হাটের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ভার্চুয়ালি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আইসিটি ডিভিশন ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ ব্যবস্থাপনায় এই অনলাইন হাট পরিচালিত হবে। ঈদের আগের দিন পশু ডেলিভারি দেয়ার শেষ তারিখ।

তবে একই শহরে হলে বিক্রেতারা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পশুর অর্ডার নিতে পারবেন। গত ৪ জুলাই চালু হওয়া ঢাকা মহানগরকেন্দ্রিক ডিজিটাল হাটকে মূলত দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

‘ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে একদিকে বিক্রেতারা ন্যায্যমূল্য পাবেন, অন্যদিকে ক্রেতারা পাবেন সঠিক পশু ক্রয়ের নিশ্চয়তা। হাটে না গিয়ে নিজেকে নিরাপদ রেখে ঘরে বসে কোরবানির পশু কেনার সুযোগ পাবেন। ডিজিটালি সক্ষম না হলে এই হাটের মতো এমন উদ্যোগ নেয়া হয়তো কঠিন হয়ে যেত।’

তিনি বলেন, ‘করোনার সময়ে সরকার প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা ৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে। এতে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত খামারি সুবিধা পেয়েছে। ৭৭ হাজার ৭০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিকে ৯৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনাকালেও সরকার নানা প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনকি আমেরিকার মতো দেশে ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের ভাতা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের দেশে ভাতা বাড়িয়েছি। বিদেশ থেকে আসা বেকাররা উদ্যোক্তা হচ্ছেন। সরকার তাদের সহায়তা দিচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থা আশঙ্কা করেছিল, করোনায় বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ মারা যাবে। কিন্তু সরকারের দূরদর্শিতায় তা হয়নি।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশে সংক্রমণের হার আরও অবনতির দিকে। তাই ফিজিক্যাল হাটকে ডিজিটাল হাটে রূপান্তর করা হচ্ছে। গতবার ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন ও কিছু শহরে এ হাট সীমাবদ্ধ ছিল। এবার শহর ছাড়াও সব উপজেলা ও ইউনিয়ন এমনকি যেকোনো গ্রাম থেকে ক্রেতারা তাদের কোরবানির পশু উপস্থাপন, প্রদর্শন করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘খামারি, ফেসবুক, অনলাইনসহ সারা দেশের ১ হাজার ৯০০ অনলাইন পশু শপের ২৪১টি বিভিন্ন অনলাইন হাটে বেচাকেনা করছে। এর সব কয়টি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল হাটে যুক্ত হয়েছে। হাটে এরই মধ্যে ২০ লাখ মানুষ ভিজিট করেছে। ১০ লাখ ৯০ হাজার পশুর তথ্য আপলোড হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৮৮টি পশু বিক্রি হয়েছে। মোট বিক্রীত অর্থের পরিমাণ আকার ১ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই টিকার জন্য নিবন্ধন করেছি। কিন্তু কালকেই সবাই টিকা পাব না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলুন। ডিজটাল হাটসহ অনলাইনে কেনাকাটা করুন। এবার আমাদের যেহেতু বিকল্প ব্যবস্থা আছে, পশু দেখা, ক্রয় এমনকি ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা আছে। তাই কেন আমরা ফিজিক্যালি হাটে যাব? এখানে ক্রেতার কোনো অভিযোগ থাকলে তা নিষ্পত্তির জন্য কল সেন্টারেরও (০৯৬১৪১০২০৩০) ব্যবস্থা রয়েছে। আর্থিকভাবে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য এসক্রো ব্যবস্থা যুক্ত হয়েছে। কোনো প্রতারণা হলে ক্রেতা তার অর্থ ফেরত পাবে।’

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, ‘দেশ গবাদিপশুর ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ১৮ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিক্রি হয়েছে ৯৪ লাখ পশু। চলতি বছর ১ কোটি ১৯ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এ বছর ১ হাজার ৮৪৩টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রেকর্ডসংখ্যক পশু অনলাইনে বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’

ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, ‘সম্পদের সুষম বণ্টনে আমরা যদি তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে এর সুফল প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। ই-ক্যাব প্যান্ডেমিকের শুরু থেকে ডিজিটাল হাট, লকডাউন ম্যানেজমেন্ট, টিসিবির পণ্য বিক্রি সব বিষয়ে সরকার এবং জনগণের পাশে রয়েছে।’

আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। একশপর টিম লিড রেজওয়ানুল হক জামি ডিজিটাল হাটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর