বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মতপ্রকাশে বাধা ভারত নয়, টুইটার দেয়’

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ২২:৩৪

ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ভারতে মতপ্রকাশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা টুইটারের মতো বেসরকারি, লাভজনক, বিদেশি সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। বরং তা নিশ্চিত করা বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ও এর বলিষ্ঠ বিভিন্ন সংস্থার অঙ্গীকার।’

ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সম্ভাব্য হুমকি ও নতুন ডিজিটাল আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। বৃহস্পতিবার দেয়া ওই বিবৃতির পাল্টা জবাব দিয়েছে দেশটির ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রণালয়।

ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টুইটারের উচিত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নির্দেশ না দিয়ে আইন মেনে কাজ করা।

ডিজিটাল মাধ্যমের ওপর আরও কড়া নজরদারি চায় সরকার। এজন্য নতুন আইন করা হয়েছে। ২৬ মে থেকে কার্যকর হওয়া এই আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস্‌অ্যাপ।

সোমবার টুইটারের দিল্লি কার্যালয়ে যায় পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে মাধ্যমটি।

‘‌ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা হুঁশিয়ারির মুখে’‌, এমন মন্তব্য করে এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টুইটার।

নতুন আইন মেনে চলার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‌যে মানুষগুলোকে আমরা পরিষেবা দিই, তাদের ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ভারতে আমাদের কর্মীদের নিয়ে এখন আমরা উদ্বেগে রয়েছি।’‌

টুইটারের এমন বক্তব্য ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ভারতকে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা’ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে আইটি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আইন প্রণয়ন ও নীতি ঠিক করা সার্বভৌম দেশের অধিকার। টুইটার কেবল একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ভারতের আইনি নীতি বিষয়ক কাঠামো কেমন হবে, সে বিষয়ে নির্দেশ দেয়ার অধিকার সামাজিক প্ল্যাটফর্মটির নেই।’

টুইটারের দিল্লি কার্যালয়ে পুলিশের যাওয়ার বিষয়ে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘টুইটারসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভারত সরকার পরিষ্কারভাবে বলতে চায়, এ দেশে তারা সবসময় নিরাপদে থাকবেন এবং তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই।’

মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে ভারতের সুদীর্ঘ গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভারতে মতপ্রকাশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা টুইটারের মতো বেসরকারি, লাভজনক, বিদেশি সংস্থার দায়িত্ব নয়। বরং তা নিশ্চিত করা বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ও এর বলিষ্ঠ বিভিন্ন সংস্থার অঙ্গীকার।’

ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ও সমালোচনা করার জনগণের অধিকারকে সম্মান জানায় ভারত। একই সঙ্গে মানুষের গোপনীয়তার অধিকারকেও সমানভাবে মর্যাদা দেয় ভারত সরকার।

‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় যদি কেউ হস্তক্ষেপ করে থাকে, তবে তা টুইটার নিজেই ও এর অস্বচ্ছ নীতি। এর ফলে মানুষের অ্যাকাউন্ট স্থগিত হয় ও নির্বিচারে টুইটবার্তা মুছে ফেলা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর