বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুদের ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে জাকারবার্গকে চিঠি

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২১ ১২:১৩

সিসিএফসির মতে, ইনস্টাগ্রামের বর্তমান সংস্করণটিও শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। এতে অ্যাকাউন্ট খুলতে কোটি কোটি শিশু বয়সের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এদের সুরক্ষায় ফেসবুকপ্রধানের এগিয়ে আসা উচিত।

ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ন্যূনতম বয়স ১৩ বছর নির্ধারণ করা উচিত বলে মত দিয়েছে একটি অলাভজনক পরামর্শক সংস্থা।

ক্যাম্পেইন ফর আ কমার্শিয়াল-ফ্রি চাইল্ডহুড (সিসিএফসি) নামের সংস্থাটি ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের কাছে লেখা চিঠিতে এমন মত দিয়েছে।

চিঠিতে শিশুদের উপযোগী ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্ম চালুর পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাকারবার্গের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে সিসিএফসি জানায়, জনপ্রিয় অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের নতুন সংস্করণ ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের উপযোগী হবে বলা হলেও এটি আদতে তাদের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলবে। শৈশব থেকেই তারা স্মার্টফোনে বন্দি হয়ে পড়বে।

গত মাসে বাজফিড নিউজ প্রথম জানায়, কৈশোর না পেরোনো শিশুদের জন্য ইনস্টাগ্রামের একটি সংস্করণ চালুর পরিকল্পনা করছে ফেসবুক।

সিসিএফসি বলছে, ইনস্টাগ্রামে আত্মপ্রচার সবচেয়ে গুরুত্ব পায়। ফলে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিজীবন এবং সমৃদ্ধি ও বিকাশের পথে আগে থেকেই বড় বাধা।

১৩ বছরে পা রাখার আগে ও পরের সময়ে শিশু-কিশোররা সামাজিক যোগাযোগ, নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা বুঝতে শেখে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে অনলাইন জগতে আরও বেশি ঝুঁকে গেলে তারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির শিকার হবে।

সিসিএফসির মতে, ইনস্টাগ্রামের বর্তমান সংস্করণটিও শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। এতে অ্যাকাউন্ট খুলতে কোটি কোটি শিশু বয়সের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এদের সুরক্ষায় ফেসবুকপ্রধানের এগিয়ে আসা উচিত।

ইনস্টাগ্রামে কম বয়সীদের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের অনলাইনে গোপনীয়তা রক্ষাসহ বিভিন্ন আইনের পরিপন্থি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী যে শিশুরা এখনই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছে, তারা পরবর্তী সময়ে অ্যাপটির শিশু সংস্করণের সীমিত সুবিধায় আগ্রহী হবে না বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

এতে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের কারণে শিশুদের মধ্যে শারীরিক স্থূলতা, বিষণ্নতা, এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে; কমছে মানসিক বিকাশ, আনন্দ-উৎসাহ-উদ্দীপনা আর ঘুমের পরিমাণ। সবগুলোর সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীলতার সম্পৃক্ততা পেয়েছেন গবেষকরা।

গবেষণায় দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুবান্ধব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯ শতাংশ কিশোর-কিশোরী এসব প্ল্যাটফর্মে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। বিশেষ করে লাইক কিংবা সামাজিক মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা পেতে বিশেষ ভঙ্গিতে সেলফি তোলার মানসিক চাপে থাকে মেয়েশিশুরা।

সিসিএফসির লেখা এ চিঠিতে সই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর জাস্টিস অ্যান্ড ক্রাইম প্রিভেনশন, নরওয়েজিয়ান ক্যান্সার সোসাইটি, কনজিউমার ফেডারেশন অব আমেরিকাসহ অর্ধশতাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিশু মনোবিজ্ঞানী, মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী ও শিক্ষাবিদরা।

এ বিভাগের আরো খবর