বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিগগিরই ইউটিউব, ফেসবুক করের আওতায়: মন্ত্রী

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২১ ১৮:৩৮

এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুরুতে প্রত্যাখ্যান করলেও এখন ট্যাক্স দিতে রাজি হয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কমিটি কাজ করছে।...অন্য দেশ থেকে পরিচালিত হয়ে আমাদের দেশে ব্যবসা করছে এবং অন্যের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাকে কোনো লভ্যাংশের অংশ দেবে না, সেটি হওয়া অনুচিত।’

ইউটিউব, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে করের আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। সেই সঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ অনলাইন সম্প্রচার আনা হচ্ছে একটি নীতিমালার অধীনে।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম ‘তথ্য ও সম্প্রচার’ মন্ত্রণালয় করা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘শুরুতে প্রত্যাখ্যান করলেও এখন ট্যাক্স দিতে রাজি হয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কমিটি কাজ করছে। তাদের রিকমেন্ডেশন আসলে তখন আমি বলতে পারব, আমরা কি করতে পারব।

‘তবে এটি সত্য, অন্য দেশ থেকে পরিচালিত হয়ে আমাদের দেশে ব্যবসা করছে এবং অন্যের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাকে কোনো লভ্যাংশের অংশ দেবে না, সেটি হওয়া অনুচিত।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে আরও নিবিড় সেবা দিতে একটি আলাদা উইং করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওটিটি প্লাটফর্ম (ওভার দ্য টপ) ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচার- এটি পৃথিবীর বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে আমাদের মেনে নিতে হবে।’

এসব পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে সরকারে আপত্তি রয়েছে জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। বলেন, ‘এটি এখন যেভাবে কোনো বিধিনিষেধ ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে, সেটি হতে পারে না। সেজন্য আমরা একটি নীতিমালার ভিত্তিতে যাতে এগুলো পরিচালিত হয় এবং একইসঙ্গে তারা যে ব্যবসা করছে, সেখানে সে ব্যবসা করার জন্য ট্যাক্স দিচ্ছে না, সেটি যাতে ট্যাক্সের আওতায় আসে, সেজন্য সরকার কাজ করছে।’

খুব শিগগিরই নীতিমালা প্রণয়নের প্রত্যাশা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা মিটিং হয়েছে। আমরা খুব সহসাই এজন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে সেটি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করতে পারব বলে আশা করছি।

‘যাতে অনলাইন মিডিয়াগুলো পরিচালিত হয়, ওটিটি প্লাটফর্মগুলো পরিচালিত হয়। তারা যাতে ট্যাক্সের আওতায় আসে, সেটিও আমরা করছি।’

অনলাইন সম্প্রচার নিয়ে আলাদা একটা উইং করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আরও একটি উইং করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেটা ডেডিকেটেডলি কাজ হবে, অনলাইনে যে সমস্ত সম্প্রচার হয়, আইপিটিভিসহ অন্যান্য যা সম্প্রচার হয়; সেগুলো দেখার জন্য আমরা এ উইং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় দেখতে চায় সরকার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা হবে কি-না, জানতে চাওয়া হয় হাছান মাহমুদের কাছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে সীমান্ত হত্যা অনেক কমেও গেছে। আগে যে সীমান্ত হত্যা হতো, সেটি এখন অনেক কমে গেছে।

‘তবে আমরা চাই সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আসুক। এটি নিয়ে সবসময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়েও আলোচনা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা

তিস্তা চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে ব্যর্থতা নেই

প্রতিশ্রুতি, আশ্বাসের পরও বাস্তবায়ন হয়নি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরেও হচ্ছে না এই চুক্তি। তবে এর জন্য মোদি সরকারের কোনো ব্যর্থতা দেখছেন না তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে সরকারকে ব্যর্থ বলছে বিএনপি। বিষয়টি নজরে আনা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আমরা তো অনেক দূরে এগিয়েছি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেক দূর এগোনো হয়েছে। কিন্তু ভারতের সংবিধান অনুযায়ী এ চুক্তি করতে রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য এখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই। তাদের যে একাগ্রতা, সেটি আছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলে চুক্তি বাস্তবায়ন হবে।’

বিএনপি বিষয়টি জেনেও না জানার ভান ধরে সরকারের সমালোচনা করছে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘এটি তারাও (বিএনপি) বুঝে। বুঝেও না বুঝার ভান করে। এটি অপ্রাসঙ্গিক হলেও প্রসঙ্গ বানানোর চেষ্টা করছে। আসলে বিএনপি কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বলে খড়কুটো ধরে চেষ্টা করছে, এছাড়া অন্য কিছুই নয়।’

ধন্যবাদের সংস্কৃতি নেই বিএনপিতে

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির একটি অভিনন্দন দেয়া প্রয়োজন ছিল সরকারকে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে তার শাস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখেছেন।’

‘বিএনপি ধন্যবাদ দিতে ব্যর্থ হয়েছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আসলে বিএনপি ধন্যবাদ দেয়ার সংস্কৃতি লালন করে না। কাউকেই ধন্যবাদ দিতে পারে না।’

এ বিভাগের আরো খবর