ফেসবুককে নিয়ে বিতর্কের তালিকায় এবার যোগ হলো বর্ণবাদ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন (ইইওসি) বলছে, নিয়োগ ও পদোন্নতির প্রশ্নে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত জাতি ও বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেসবুকে তিনজন চাকরিপ্রার্থী এবং একজন ব্যবস্থাপকের আইনজীবীরা শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
বিষয়টি নিয়ে আগেই অনুসন্ধানে নামে ইইওসি। সংস্থাটির সন্দেহ, ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নীতিমালার কারণে বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
ইইওসি সাধারণত নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আবেদনকারীদের মামলা বা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধান করে। হাতেগোণা কিছু বিষয়কে ‘পদ্ধতিগত’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ঘটনার অভিযোগ খতিয়ে দেখে কর্মীদের সবার হয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয় এবং নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ দলকে কাজে লাগায়।
ফেসবুকের অপারেশন্স প্রোগ্রাম ম্যানেজার অস্কার ভেনেসজি জুনিয়র এবং নিয়োগ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া দুই ব্যক্তি গত বছর জুলাইয়ে ইইওসির কাছে অভিযোগ করেন। এরপর ডিসেম্বরে নাম যুক্ত হয় চাকরির আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া তৃতীয় অভিযোগকারীর।
প্রত্যেকেরই অভিযোগ, কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আচরণ বৈষম্যপূর্ণ। প্রার্থীদের নিয়োগ বা পদোন্নতির যোগ্যতা যাচাইয়ে পদ্ধতিগতভাবে বর্ণবাদী আচরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে ইইওসির অনুসন্ধান কতোটা এগিয়েছে, তা জানা যায়নি। ফেসবুকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও আনেনি প্রতিষ্ঠানটি। তদন্ত শেষ হতে লাগতে পারে কয়েক মাস।
এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, সব কর্মী যেন নিরাপদ কর্মপরিবেশে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিতে ফেসবুক বদ্ধপরিকর। বৈষম্যপূর্ণ আচরণের যে কোনো অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় ফেসবুক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থাও নেয় সামাজিক মাধ্যমটি।
ফেসবুকের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের জুন পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের ৩.৯ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ।
ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি ও বিক্রির মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে।