সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে একচেটিয়াত্ব আইনে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও দেশটির ৪৮ অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল।
প্রভাবশালী সামাজিক মাধ্যমটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের লক্ষ্যে স্থানীয় সময় বুধবার মামলা হয় বলে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেআইনিভাবে দমাতে নানা কৌশল অবলম্বনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ফেসবুকের নামে দুটি মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের অধীনে বছরের পর বছর ধরে একচেটিয়া আধিপত্য চালিয়ে আসছে ফেসবুক। বিশাল পরিমাণের ডাটা সংরক্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার, বিপুল সম্পদ আহরণ, হুমকি মোকাবিলায় করপোরেট শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ সেবায় পরিণত হয়েছে ফেসবুক।
অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে করা মামলায় মূলত ফেসবুকের বিরুদ্ধে চাপে ফেলে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ কেনার অভিযোগ তোলা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ কিনে ফেসবুক ডিজিটাল অঙ্গন থেকে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে ফেলেছে। বিজ্ঞাপন থেকে আসা অর্থে ফুলেফেঁপে উঠেছে টেক জায়ান্টটি।
১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রভাব খাটানো যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের জন্য মামলা দুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে সিলিকন ভ্যালির অন্যতম সর্বোচ্চ লাভজনক প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্ব নিরসনে বেশ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফেসবুককে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রিতে বাধ্য করাতে একচেটিয়া বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রকরা স্পষ্টভাবে আদালতের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
ফেসবুকের জেনারেল কাউন্সেল জেনিফার নিউস্টেড বিবিসিকে বলেন, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপকে সফল করতে ফেসবুক লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। তাই মামলা জিততে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘একচেটিয়াত্ব আইনটি ব্যবহারকারীদের রক্ষা ও নতুনত্বকে উন্নত করতে তৈরি করা হয়েছে; ব্যবসাসফল প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির উদ্দেশ্যে নয়।’