ফিলিপাইন ও চীন থেকে খোলা কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায় ফেসবুকের ওপর চটেছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্ত।
সম্প্রতি টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ভুয়া বিবেচনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৫৫টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ফেসবুক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বলছে, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ফিলিপাইনের কমিউনিস্ট পার্টি ও তাদের সশস্ত্র শাখা নিউ পিপলস আর্মির (এনপিএ) বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছিল।
১৯৬৮ সাল থেকে ফিলিপাইন সরকার ও নিউ পিপলস আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে ফিলিপাইন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে ফেসবুক। তবে বাহিনীগুলো এসব অ্যাকাউন্টের মালিকানা অস্বীকার করেছে।
অ্যাকাউন্ট বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে দুদার্ত বলেন, সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য প্রচার ব্যাহত করতে পারে না ফেসবুক।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুক আমাদের কথা শুনো। আমাদের সাহায্য করতে পারো বিবেচনায় এখানে (ফিলিপাইন) তোমাদের কার্যক্রম চালাতে দিয়েছি। এখন কথা হলো, সরকার যদি জনকল্যাণে কোনো কিছুর সমর্থন বা পক্ষে বলতে না পারে, তাহলে আমার দেশে তোমাদের (ফেসবুক) কাজটা কী?’
ফেসবুকের উদ্দেশে দুতার্ত বলেন, ‘আমরা কোনো গণবিধ্বংসী কাজের প্রচারণা চালাচ্ছি না। আমরা গণহত্যার পক্ষে বলছি না। এটি মতাদর্শিক লড়াই।’
তিনি বলেন, ‘তোমরা বিদ্রোহকে উসকে দিলে...নিজেদের উদ্দেশ্য কী ছিল বা আছে, সেটা ভুলে গেলে, আমাদের মুখ খুলতে হবে।’
এদিকে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায় ফেসবুকের সমালোচনা করেছে সেনাবাহিনী। সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বাহিনীটি বলেছে, কমিউনিস্টদের ব্যাপারে সচেতনতা চালাতে কিছু অভিভাবক ওই পেজগুলো খুলেছিলেন।
‘হ্যান্ডস অফ চিলড্রেন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ফিলিপাইন সশস্ত্র বাহিনী। গত সপ্তাহে তাদের মুখপাত্র বলেন, সেনাদের স্বার্থের পক্ষে প্রচার চালাত পেজটি।
ফেসবুক বলছে, ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো সমন্বিতভাবে অসমর্থনযোগ্য আচরণে জড়িত ছিল। এ কারণে এগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ফিলিপাইনে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো রাজনৈতিক লড়াইক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
২০১৬ সালের নির্বাচনের প্রচারণায় ফেসবুককে কাজে লাগিয়েছেন দুতার্ত। ফেসবুকের সমর্থন কাজে লাগানো নির্বাচনে জয় হয় তার।