বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাণ্ডব: হেফাজত থেকে পদত্যাগের ঘোষণা নায়েবে আমিরের

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২১ ২১:০৪

‘ডিআইটি রেলওয়ে কলোনিতে মিছিলের সময় পুলিশের নির্দেশে কর্মসূচি স্থগিত করে সবাইকে চলে যেতে বলেছি। কিন্তু এরপরও একদল নেতা-কর্মী সহিংসতা করেছেন। মহাসড়কে গাড়িতে আগুন দিয়েছেন, জানমালের ক্ষতি করেছেন। এতে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। কারণ, আমরা সহিংসতা চাইনি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে চেয়েছি।’

হরতালে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডবের অভিযোগ তুলে পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিকভাবে পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছি। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছি, প্রয়োজনে লিখিত দেব।’আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্সেও হেফাজতের হামলা, সাংবাদিক পেলেই মারমুখী

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দুই সপ্তাহ ধরেই সক্রিয় ছিল হেফাজত।

সফরের চার দিন আগে তারা সংবাদ সম্মেলন করে অঙ্গীকার করে রাজপথে কোনো কর্মসূচি থাকবে না। তবে মোদির সফরের সময় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার অভিযোগ এনে ২৭ মার্চ হরতাল ডেকেছিল ধর্মভিত্তিক সংগঠনটি।

এই প্রাইভেট কারটি রোগী বহন করছিল। কিন্তু হেফাজত কর্মীরা তাকে ছাড়েনি, উল্টো গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

কর্মসূচিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল পর্যন্ত অংশে ভাঙচুর চালানো হয়েছে ৫০টির বেশি গাড়িতে। আগুন দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটিতে। ছাড় দেয়া হয়নি অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীবাহী গাড়িও। গণমাধ্যমকর্মীদের দেখলেই তেড়ে এসেছেন হরতাল সমর্থকরা। এমনকি এক গণমাধ্যমকর্মীর নাম সৌরভ শুনে তাকে কলেমা বলতে বাধ্য করা হয়েছে।আরও পড়ুন: ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আঁতকে উঠছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী

আবদুল আউয়াল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিআইটি রেলওয়ে কলোনিতে মিছিলের সময় পুলিশের নির্দেশে কর্মসূচি স্থগিত করে সবাইকে চলে যেতে বলেছি। কিন্তু এরপরও একদল নেতা-কর্মী সহিংসতা করেছেন। মহাসড়কে গাড়িতে আগুন দিয়েছেন, জানমালের ক্ষতি করেছেন। এতে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। কারণ আমরা সহিংসতা চাইনি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে চেয়েছি।’

দিনভর পুলিশের বিপুল উপস্থিতিতেও হেফাজত কর্মীরা সড়কে অবস্থান ছাড়েনি। ছবি: নিউজবাংলা

সোমবার শবে বরাত উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি রেলওয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রথম পদত্যাগের বিষয়টি জানান আউয়াল।

হেফাজতের এ নেতা তখন বলেছিলেন, ‘গতকাল হরতাল গেল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মিছিল বের করতে চাইলে তারা অ্যাকশনে যাবেন। তখন আমি সবার জানমালের স্বার্থে মসজিদের গেটের বাইরে যেতে বারণ করি। পরে চিটাগাং রোডে শুনি গাড়ি পুড়ছে। যদি তাদের কথা না শুনতাম, তাহলে যে গাড়িগুলো পোড়ানো হয়েছে সেই মামলার ১ নম্বর আসামি আমি হতাম।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই অ্যাম্বুলেন্সটিও ভাঙচুর করেছেন হেফাজত কর্মীরা।

আবদুল আউয়াল আরও বলেন, ‘আমরা যাব কোথায়? তারাও আমাদের বুঝতে চায় না, আমাদের অতি উৎসাহী লোকজনও বোঝেন না। ওদিকে যারা বলতেছে হুজুর কমান্ড ভেঙে গেলেন না কেন?

নিউজ টোয়েন্টিফোরের গাড়িটি ভেঙে আগুন দিতে চেয়েছিলেন হেফাজত কর্মীরা। পরে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের অনুরোধে তারা ক্ষান্ত হয়।

‘আমি বলছি, আল্লাহরওয়াস্তে আমি আর তোমাদের দল করব না। আমি মসজিদে থাকব। ভবিষ্যতে আর নেতৃত্ব দেব না। মসজিদ-মাদ্রাসা নিয়েই থাকব। সরাসরি নেতৃত্বে আর যাব না, যাব না।’আরও পড়ুন: বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় হামলা

হেফাজতের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল কেন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন, তা আমরা জানি না। উনি দোয়ার কর্মসূচিও পালন করেননি এবং আর করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত আছি।’

এ বিভাগের আরো খবর