বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারও হুংকারে দেশ স্বাধীন হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ১৪:৪২

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার দৃশ্য আমরা দেখেছি। কেউ একজন হুংকার দিল বা হুইসেল দিল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল; এমনটি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সঠিক ইতিহাস শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরছেন। ইতিহাস কাউকে কোনো দিন ক্ষমা করে না। যে অন্যায় করে, কোনো না কোনো দিন প্রকাশ পায়।’

কারও হুংকার বা হুইসেলে দেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সোমবার এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার দৃশ্য আমরা দেখেছি। কেউ একজন হুংকার দিল বা হুইসেল দিল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল; এমনটি হয়নি। এ ধরনের একটি বিকৃত ইতিহাস শিশু-কিশোরদের কাছে প্রচার করা হচ্ছিল।

‘প্রধানমন্ত্রী সঠিক ইতিহাস শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরছেন। ইতিহাস কাউকে কোনো দিন ক্ষমা করে না। যে অন্যায় করে, কোনো না কোনো দিন প্রকাশ পায়।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে এ আলোচনা সভা হয়।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের আয়োজনে এই সভায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ ও ল্যাপটপ তুলে দেয়া হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৩ মার্চ তার বাসভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের এমন কোনো বাড়ি নাই, যেখানে স্বাধীনতার পতাকা উড়ে নাই। ৭ মার্চের ভাষণ বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।

‘আমরা নিরস্ত্র বাঙালি, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যার কাছে যা কিছু আছে তা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ আসছে আমাদের সামনে, সেই কালরাত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই দিন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষ শাহাদাত বরণ করেছিলেন।

‘এত রক্ত স্বাধীনতার জন্য কোনো দেশ দেয়নি। রক্তে রঞ্জিত হয়নি এমন কোনো গ্রামের নাম কেউ বলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কীভাবে হলেন, বাংলাদেশ কীভাবে হলো তা জানার জন্য বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি পড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী করছেন এবং ভবিষ্যতে কী পরিকল্পনা রয়েছে তা সভায় উপস্থিত শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরেন তিনি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর