কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে সর্বস্তরের জনগণ ফুল দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় গুলশানের আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়।
প্রথমে তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির আহমেদ।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমোডর এম এম নাঈম রহমান।
শহীদ মিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ মুহিতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মুহিতকে শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (মুহিত) ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্ব। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তার মতো এমন কাজপাগল মানুষ দেখিনি। ছুটির দিনও সচিবালয় বসে তিনি কাজ করতেন।’
মুহিতকে একজন সৎ মানুষ হিসেবে অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে সৎ মানুষ বেশি নেই। তিনি শতভাগ সৎ মানুষ ছিলেন।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘তিনি একজন জাঁদরেল আমলা ছিলেন। তারপরও আমরা তাকে দেশের যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় কাছে পেয়েছি। তিনি ছিলেন জনগণমুখী।’
মুহিতকে একজন শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে অভিহিত করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মুহিতকে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অনেকে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বেলা দেড়টা পর্যন্ত মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়।
মুহিতের মরদেহ বনানীর বাসার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দাফনের জন্য মরদেহ নেয়া হচ্ছে তার জন্মস্থান সিলেটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার বাদ জোহর জানাজা শেষে সিলেটে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে মুহিতকে।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শুক্রবার রাত ১টার দিকে মৃত্যু হয় আবুল মাল আবদুল মুহিতের। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি।