বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা মুক্ত মুচলেকায়: জি এম কাদের

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:১৩

আইনি লড়াই ও বিএনপির রাজপথের ‘আন্দোলন’ ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএনপি নেত্রীর পরিবার উদ্যোগী হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় দুটি শর্তে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী। গত ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়ে মুক্তি নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বলেছেন, বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট আছে এবং এ কারণে লাভ হচ্ছে তার দলের। এখন আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি জাতীয় পার্টি।

রোববার বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটির এক মতবিনিময় সভায় এমন কথা বলেন সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা।

জি এম কাদের বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতেই পারছে না বিএনপি। আবার আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। তাই নতুন প্রজন্মের সামনে জাতীয় পার্টিই হচ্ছে রাজনীতির একমাত্র প্লাটফর্ম।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে সব আইনি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে তিনি কারাগারে যান। বিএনপির আশা ছিল, দ্রুতই তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে আসবেন।

তবে উচ্চ আদালতে আপিলে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। আর জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতে তার সাজা হয়েছে ১৭ বছর।

আইনি লড়াই ও বিএনপির রাজপথের ‘আন্দোলন’ ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএনপি নেত্রীর পরিবার উদ্যোগী হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে দুটি শর্তে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী।

গত ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ।

তবে শর্ত মেনে খালেদা জিয়া তার গুলশান বাসভবন থেকে বের হননি একদিনের জন্যও। এই কয়েক মাসে তিনি রাজনীতি নিয়ে একটি কথাও বলেননি। দলীয় কোনো দিক নির্দেশনা দেননি তিনি, যদিও রাজনীতি করা যাবে না এমন কোনো শর্তের কথা বলেনি কোনো পক্ষ।

জি এম কাদেরের দাবি, দলের সম্ভাবনা দেখে সবাই এখন তাদের থামিয়ে দিতে চেষ্টা করছে।

রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে দলের এক মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলই জাতীয় পার্টিকে জবাই করতে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি টিকে আছে, সারা দেশেই জাতীয় পার্টির সমর্থক আছে। আগামী দিনে জাতীয় পার্টিই দেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।’

তিনি বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশ পরিচালনা করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিবেচনায় জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশে সুশাসন বিদ্যমান ছিল। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে।’

জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই তাদের সংগঠন আছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি সারাদেশে ছড়িয়ে আছে।’

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমামের সভাপতিত্বে এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর