বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা রাজনীতিতে আছেন, থাকবেন: ফখরুল

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:২৬

‘আমরা তো মনে করি, ওনি এখনও একটিভ আছেন রাজনীতিতে। শি ইজ অলওয়েজ ইন আওয়ার মাইন্ড। ওনি রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাবের নাম। বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে কখনও সরে যাননি এবং যাবেন না। আমরা মনে করি, ওনি আছেন, ওনি থাকবেন। যখনই ওনি সুস্থ হবেন, বেরিয়ে আসবেন অবশ্যই ওনি একটিভ হবেন।’

সাময়িক মুক্তি পাওয়ার পর দৃশ্যমান তৎপরতা না থাকলেও বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতির বাইরে নন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, তিনি সুস্থ হলেই রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে এ কথা বলেন ফখরুল।

গত মার্চে বিশেষ বিবেচনায় সাময়িক মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেত্রী নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। রাজনীতি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি, কোনো বক্তব্য-বিবৃতি দেননি।

একজন সাংবাদিক জানতে চান, মামলার যে অগ্রগতি, শারীরিক যে অবস্থা, এই পরিস্থিতিতে তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ আছে কি না।

জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো মনে করি, ওনি এখনও একটিভ আছেন রাজনীতিতে। শি ইজ অলওয়েজ ইন আওয়ার মাইন্ড।

 

‘ওনি রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাবের নাম। বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে কখনও সরে যাননি এবং যাবেন না।

‘আমরা মনে করি, ওনি আছেন, ওনি থাকবেন। যখনই ওনি সুস্থ হবেন, বেরিয়ে আসবেন অবশ্যই ওনি একটিভ হবেন।’

দেশের মানুষের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্থান অত্যন্ত গভীরে দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘গ্রামের মহিলারা তার জন্য এখনও রোজা রাখেন। এটা আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

 

এই সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি নেত্রীকে ‘মিথ্যা মামলায়’ সাজা দিয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘এই ধরনের মামলাগুলোতে সবাই বেইল পেয়ে যায়, বের হয়ে যায়। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে সব আইনি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আইনি লড়াই ও বিএনপির রাজপথের ‘আন্দোলন’ ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএনপি নেত্রীর পরিবার উদ্যোগী হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে দুটি শর্তে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী।

 

ফখরুল বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) কোভিডের কারণেই হোক আর যে কারণেই হোক, তাকে বাসায় আসার অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু তিনি বাইরে যেতে পারবেন না। অর্থাৎ সারাক্ষণ ধরে ওনাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে সমস্যা হবে।’

আরেকজন সাংবাদিক ফখরুলকে বলেন, খালেদা জিয়া বিশ্বস্ত নেতৃত্ব তৈরি করতে পারেননি বলে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে কী বলবেন।

জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এ কথা সঠিক নয়, একেবারেই সঠিক নয়। উনি জেলে যাওয়ার পরে দুই বছর তার সহকর্মীরা কিন্তু তার নেতৃত্ব নিয়েই কাজ করেছে।’

খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের মধ্যে মতের অমিল বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন নিয়েও ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিএনপিতে কোন দ্বন্দ্ব নেই। প্রতি শনিবার আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’

রাজাধানীতে বাস পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র থাকে না তখন এ ধরনের ঘটনা, নাশকতা ঘটে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে এইসব ঘটনো হচ্ছে। সরকারের কিছু এজেন্ট থাকে, যাদের দিয়ে এইসব করানো হয়।’

মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন মির্জা ফখরুল

 

গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির দুই নেতার অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে। এ বিষয়েও ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে তিনি বলেন, ‘জানেনই তো, এগুলো সব তৈরি করা হয়।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবিও তুলে ধরেন ফখরুল।

দাবি পূরণ না হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি না, এমন প্রশ্নও ছিল বিএনপি নেতার কাছে।

জবাবে সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া কোনভাবেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা প্রতিনিধিত্বশীল সরকার চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে শেখার আছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বক্তব্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন ফখরুল। বলেন, ‘গতকাল উনি নির্বাচনের পরে যা বললেন কী বললেন?’

অন্য এক প্রশ্নে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ দেশের গণতন্ত্রের প্রধান অন্তরায় আওয়ামী লীগ নিজেই। বাকশাল গঠন করে তারাই এ দেশের গণতন্ত্র ধবংস করেছে। আন্দোলন দমনের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ বিভিন্ন আইন করেছে তারা।’

রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআরইউ'র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুলের জীবনী পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর