বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়া আর আপসহীন নন: জাতীয় পার্টি

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৩০

তাদের আপোষহীন নেত্রী এমন আপোষ করেই জেল থেকে বের হয়েছেন, যে তিনি দেশ ও মানুষের স্বার্থে একটি কথাও বলতে পারছেন না: জি এম কাদের

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আর ‘আপসহীন নেত্রী’ পরিচিতি পেতে পারেন না বলে মনে করে জাতীয় পার্টি।

এরশাদের ছোট ভাই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বিএনপি নেত্রী সরকারের সঙ্গে আপস করে কারাগার থেকে বের হয়েছেন।

বুধবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে সব আইনি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে তিনি কারাগারে যান। বিএনপির আশা ছিল, দ্রুতই তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে আসবেন।

তবে উচ্চ আদালতে আপিলে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। আর জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতে তার সাজা হয়েছে ৭ বছর।

আইনি লড়াই ও বিএনপির রাজপথের ‘আন্দোলন’ ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএনপি নেত্রীর পরিবার উদ্যোগী হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে দুটি শর্তে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী।

গত ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে সাময়িক মুক্তির মেয়াদ।

তবে শর্ত মেনে খালেদা জিয়া তার গুলশান বাসভবন থেকে বের হননি একদিনের জন্যও। এই কয়েক মাসে তিনি রাজনীতি নিয়ে একটি কথাও বলেননি। দলীয় কোনো দিক নির্দেশনা দেননি তিনি, যদিও রাজনীতি করা যাবে না এমন কোনো শর্তের কথা বলেনি কোনো পক্ষ।

বুধবার রাজধানীর বনানীর দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: নিউজবাংলা

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জি এম কাদের বলেন, ‘তাদের আপসহীন নেত্রী এমন আপস করেই জেল থেকে বের হয়েছেন, যে তিনি দেশ ও মানুষের স্বার্থে একটি কথাও বলতে পারছেন না।’

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৬ সালের নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্তে অটল থাকা খালেদা জিয়াকে বিএনপি ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে তুলে ধরে। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অপ্রত্যাশিত জয়ের পেছনে দলের নেত্রীর এই পরিচয়ও কাজে লেগেছে বলে ধারণা করা হয়।

প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এখন আর বলার মতো কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয় দাবি করে জাপা নেতা বলেন, ‘সরকারের বিকল্প শক্তি এখন জাতীয় পার্টি। বিএনপি রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে পারছে না। নেতৃত্বহীনতায় দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।’

বিএনপি টিকে থাকবে কি না, সেটা নিয়েও সন্দিহান জিএম কাদের। বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জড়িত। আবার বিএনপির শাসনামলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে, এমন ধারণাও ক্ষমতাসীনদের। তাই রাজনীতির মাঠে বিএনপির টিকে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার পেছনেও জাতীয় পার্টির ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যতবার আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে, ততবারই তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কোন রাজনৈতিক শক্তিই রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখতে পারবে না।’

জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন আওয়ামী লীগ আর বিএনপির শাসনামল দেখতে চায় না। দেশের মানুষ ফিরে পেতে চায় পল্লীবন্ধুর শাসনামলের স্বর্ণালী যুগ।’

এ বিভাগের আরো খবর