বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেষ বেলাতেও ভোটারের দেখা কম

  • রাফসান জানি ও আল হেলাল শুভ   
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৭:৩৫

অল্প সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতিতে শেষ হলো ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন। বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের ভয়ে কেন্দ্রে ভোটার আসেনি। আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপির অভিযোগ কথার কথা। ইভিএমে ভোট নেয়ায় ফল ঘোষণা করতে বেশি সময় লাগবে না বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

স্বল্প সংখ্যার ভোটারের উপস্থিতিতে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে নিরুত্তাপ ভোট শেষ হলো। শুরুর মতো শেষ বেলায়ও ভোটারের তেমন দেখা মেলেনি।

সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা ভোট নেয়া হয়। কেন্দ্রগুলোর পরিবেশ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও বিএনপির এজেন্ট না থাকা নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন দলটির প্রার্থী।

বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেছেন, বিএনপির এজেন্ট দেয়ার মতো লোকই ছিল না।

ফাঁকা কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। তবে অলস বসে কেটেছে নিরাপত্তা কর্মীদের সময়

 

আসনের ভোটার না হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি ভোটার স্থানান্তরের আবেদন করলেও সময় মত তা হয়নি। তবে ভোট দিয়েছেন কাজী মনিরুল। আর এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালাউদ্দিন।

 

বেলা ১২টা পর্যন্ত চারটি কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে পাঁচ থেকে বড়জোর ১০ শতাংশ ভোট পড়তে দেখা গেছে। শেষ বেলাতেও তেমন কোনো আগ্রহ দেখা দেয়নি ভোটারদের।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে নেয়া এই ভোটে প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল নিরাপত্তার আয়োজন। অবাঞ্ছিত লোকদের কেন্দ্রে ঢুকার অভিযোগ মেলেনি তেমন।

আরও পড়ুন: হৈ চৈ নেই, ভোটারও কম

ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি ভোটারদের

 

 

নিরুত্তাপ ভোটে বিতর্ক কিছুটা হয়েছে এজেন্ট নিয়ে। ১৮৭টি কেন্দ্রের ৮৬৪ বুথে বিএনপির এজেন্টের দেখা মিলেছে কমই।

বিএনপির অভিযোগ, তাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। এ কারণে ভোটার আসেনি তেমন।

কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নানা অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ

 

সকালে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের বলেন, ১৪ ওয়ার্ডের প্রায় সবকটি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুরো এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে- এমন অভিযোগও করেন তিনি।

তবে এই অভিযোগকে কথার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির পোলিং এজেন্ট দেয়ার মতো লোকই নেই। তারা কেন্দ্রে না এসেই বের করে দেয়ার মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেছেন, বিএনপির অভিযোগ অসত্য

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। এবার রেজাল্ট শিট বের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল দেয়া হবে।

আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া অন্যরা হলেন জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় শূন্য হয় ঢাকা-৫ আসন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এ বিভাগের আরো খবর