ধর্মভিত্তিক দল ইসলামী আন্দোলনের ধর্ষণবিরোধী এক সমাবেশে পুরুষকে বাঘ আর নারীকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ধর্ষণ কেন হয়, এ নিয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে পোশাকের দায় খোঁজার পরামর্শও দেয়া হয়েছে বরিশালের চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন দলটির পক্ষ থেকে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সমাবেশে এ কথা বলেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।
নারীর প্রতি বর্বরতা ও সিলেটে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
নারীদেরকে পুরুষ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, ‘আমার মায়া লাগে, আপনি একজনকে বাঘের মুখে ঠেলে দেবেন, আর বাঘকে বলবেন খবরদার কিছু করবে না। এটা ইনসাফ হতে পারে না। বরং বাঘ থেকে দূরে থেকে বাঁচতে হবে।’
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করায় পুরুষদের নিয়ে চিন্তিত এই ধর্মীয় নেতা। বলেন, ‘জানি না কত পুরুষ এই ফাঁসির দড়িতে ঝুলবে।’
‘ধর্ষণের আইন হয়েছে। আমি অনুরোধ করব অপপ্রয়োগ যেন না হয়।’
ধর্ষণের কারণ জানতে গবেষণার পরামর্শ দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, আইনও হয়েছে। প্রশ্ন হলো বিশ্বের বহু দেশেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন আছে। কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে? এর কারণ খুঁজতে হবে।’
ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাককে দায়ী করে সম্প্রতি সমালোচিত হয়েছেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে তিনি তার ভিডিও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
- আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন অনন্ত জলিল
নারীকে দায়ী করার যে প্রবণতা, তার প্রতিবাদে সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন চার তরুণ।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করে খোলামেলা পোশাক ধর্ষণের জন্য দায়ী নয়।…আমি মনে করি সরকারি উদ্যোগে একদল মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করা হবে যারা গবেষণা করে বের করবেন কেন ধর্ষণ হয়।
‘যদি নারীর পোশাক পুরুষদের উত্তেজিত না করে, তবে পোশাক দায়ী নয়। মনোবিজ্ঞানীরা যদি বলেন পোশাকই পুরুষকে উত্তেজিত করছে, তা হলে পোশাকই দায়ী।’
ধর্ষণ বন্ধে ইসলাম কী বলছে সে বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি ইসলামি আইন প্রণয়ন করার পরামর্শও দেয়া হয় সমাবেশে।