কুমিল্লার চান্দিনায় পুকুর থেকে যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহিদপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গাবুরগাঁও গ্রামের ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী শুক্কুর আলী।
প্রাণ হারানো ৩০ বছর বয়সী আরিফ হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি ছাতক উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে পরিকল্পিতভাবে আরিফকে হত্যা করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল বলেন, ‘চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের করতলা গ্রামের ছাড়াগাঁও নামক এলাকা থেকে বুধবার সন্ধ্যায় আরিফ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
তিনি জানান, আরিফের সঙ্গে চার সন্তানের জননী ফাতেমা বেগমের বিয়ে বহিভূর্ত সম্পর্ক ছিল। এক মাস আগে ফাতেমা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আরিফের ভাড়া বাসায় চলে যান। দুইজন এক মাস স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় থাকার পর ফাতেমা বুঝতে পারেন আরিফ তাকে বিয়ে না করে প্রতারণা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে ফাতেমা তার স্বামী শুক্কুরকে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত বলে জানান। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে আরিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ জানায়, শুক্কুর বুধবার আরিফের ভাড়া বাসায় গিয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। রাতে আরিফ বাসায় এসে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে শুক্কুর খাটের নিচ থেকে বের হয়ে আসেন।
প্রথমে আরিফকে লোহার শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন শুক্কুর। তারপর মাছের মতো ছটফট করতে থাকা আরিফকে বালিশ চাপা দেন ফাতেমা। এতে আরিফের মৃত্যু হয়। মরদেহ বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় আরিফের বড় ভাই তারিছ আলী চান্দিনা থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের শুক্রবার কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান।