নরসিংদীতে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল পর্যন্ত নরসিংদী মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদী শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকার মাহমুদুর রশিদের ছেলে ফজলুল রশিদ ওরফে আদর (৪০) ও একই এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (৩৫), শহরের বৌয়াকুর এলাকার শওকত মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া (২২), শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও এলাকার শামসুল হক খন্দকারের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৪), সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকার বিরাজ খার ছেলে কুদরত হাসান রবিন (২৩) ও মো. রকিব খাঁ (৩০) এবং ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বালিয়া এলাকার শামসুল আলমের ছেলে শান্ত মিয়া (২৩)।
এর আগে শনিবার পৌর এলাকার আরশীনগরে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় রাতেই নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহারে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে আনোয়ার হোসেনের (সদর সার্কেল) নেতৃত্বে একটি টিম সদর উপজেলার বীরপুর এলাকার পুরানপাড়ায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে শহরের আরশীনগর মোড়ে সড়কের মাঝখান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিলেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ দুজনকে হাতেনাতে আটক করে। আটকের খবর শুনে তাদের ছাড়িয়ে নিতে ৩০/৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে হুমকি দিতে থাকে। পুলিশ কর্মকর্তা তাদের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তারা হামলা চালায় এবং কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় সন্ত্রাসীরা দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারী পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।