বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয়ার পর ডিবি কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজ করানোকে মানবিক পুলিশের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী এর আগে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর একটি অডিও প্রকাশের কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা কিছুক্ষণ আগে বিএনপির এক নেত্রী নিপুণ রায়ের ফেসবুকের একটি অডিও শুনেছি। তিনি বলছেন- ‘তোমরা আগুন ধরাও। এগুলো আমাদেরকে দেখাতে হবে। জায়গামতো দেখাতে হবে।’ জায়গাটা কোনটা সেটা তিনি নিজেই জানেন। দাউ দাউ করে আগুন জ্বালানোর হুকুম দিচ্ছেন তিনি। সব জায়গা থেকে বিএনপির নেতারা এ ধরনের কাজের জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন।”
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন ছিল- বিএনপির যে নেতার কথা বলছেন তার শ্বশুরকে ডিবিতে এনে আপ্যায়ন করা হয়েছে। আরেকজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস গিয়ে জুস খাইয়েছেন। যারা পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য নেতৃত্ব দিলেন তাদেরকে আপনারা তোষামোদ করছেন কিনা?
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নেহায়েত ভুল ধারণা। আমানউল্লাহ আমানকে যখন পুলিশ আটক করছে তখন আপনারা দেখেছেন যে তিনি রাস্তার ওপর পড়ে গিয়েছিলেন।
‘আমাদের পুলিশ বাহিনী শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নয়, মানবতার কাজও করে। বঙ্গবন্ধু যেটা আহ্বান করেছিলেন মানবতার পুলিশ বাহিনী হওয়ার জন্য। সেই কাজটিই পুলিশ বাহিনী করেছে। আমানউল্লাহ আমানকে পুলিশ নিয়ে হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করেছে, তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন- যখন কোকোর ডেডবডি নিয়ে আসা হয় তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তার মুখের ওপর দরোজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। দরোজা তো খোলেইনি, বাইরে এসে কুশল বিনিময়টুকুও করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মানবতার নেত্রী। তিনি মাদার অফ হিউম্যানিটি। এখানেও তিনি যখন শুনেছেন যে গয়েশ্বর ও আমানউল্লাহ আমান আহত হয়েছেন তখন তাদেরকে যথাযোগ্য চিকিৎসা কিংবা যা যা প্রয়োজন সেটা করার জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন। এটাই হলো মানবতার নেতা। অপরদিকে আরেকজন দেখছেন- জ্বালাও-পোড়াও, নৃশংসতা আর হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য নেতারা কী নির্দেশনা দেয়।’