একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কোথাও জঙ্গি হামলার হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে রোববার দুপুরে একুশে ফেব্রুয়ারির সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিতে জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নাই। গত ডিসেম্বরে আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবে ছিনতাই হওয়া ২ জঙ্গি এখনও পলাতক।’
তিনি বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১২টার পরপরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
‘তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিদায় নেয়ার পরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এই দুই ভাগে শহীদ মিনারের নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পলাশী প্রান্তর থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। ব্যাগজাতীয় কোনো জিনিস সঙ্গে নিয়ে আসবেন না।’
শহীদ মিনারে প্রবেশের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অন্যান্যবারের মতো এবারও একইভাবে প্রবেশ করানো হবে। ভিভিআইপিরা দোয়েল চত্বর হয়ে প্রবেশ করবেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা জিমনেসিয়াম মাঠে গাড়ি রেখে বাকিটা পথ হেঁটে আসবেন। আর সাধারণরা পলাশী মোড় হয়ে জগন্নাথ হল হয়ে প্রবেশ করবেন ও দোয়েল চত্বর-চানখাঁরপুল হয়ে বের হয়ে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘করোনার পরে যেহেতু পুরোপুরি উন্মুক্ত পরিবেশে প্রথমবারের মতো একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হবে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসবেন; ঢাকার নাগরিকরা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আসবেন। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ঢাবির সহযোগিতায় সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
‘২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী মোট তিন ধাপে এ এলাকায় পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। প্রবেশপথ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথ ছাড়া সবগুলো সড়ক বন্ধ করে দেয়া হবে।’